ঢাকা, শনিবার ২০, এপ্রিল ২০২৪ ৬:১৬:০০ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
হাসপাতালের কার্ডিয়াক আইসিইউ পুড়ে ছাই, রক্ষা পেল ৭ শিশু সবজির বাজার চড়া, কমেনি মুরগির দাম সারা দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি কৃষক লীগ নেতাদের গণভবনের শাক-সবজি উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি শিশু হাসপাতালের আগুন সম্পূর্ণ নিভেছে

দীপিকাকে কটাক্ষ স্মৃতি ইরানির

বিনোদন ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:৫৫ পিএম, ১০ জানুয়ারি ২০২০ শুক্রবার

তার ‘অপরাধ’ জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (জেএনইউ) ক্যাম্পাসে গিয়ে আন্দোলনকারী ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। তার জের ধরে দীপিকা পাড়ুকোনকে আক্রমণ করে চলেছেন বিজেপি নেতা-মন্ত্রীরা। এবার সেই তালিকায় যোগ দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্যা স্মৃতি ইরানি।

কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি বলেছেন, ‘‘উনি এমন সব লোকজনের পাশে দাঁড়িয়েছেন, যাঁরা ‘ভারত তেরে টুকরে হোঙ্গে’ স্লোগান দেন’’।

দীপিকা কংগ্রেসকে সমর্থন করেন বলে ২০১১ সালের একটি সাক্ষাৎকারের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় সামনে এসেছে। সেই প্রসঙ্গ টেনেও বলিউড তারকাকে কটাক্ষ করেছেন কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী।

আজ শুক্রবার চেন্নাইয়ে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন স্মৃতি। সেখানেই দীপিকা পাড়ুকোনের জেএনইউ ক্যাম্পাসে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন করেন উপস্থাপক। জবাবে স্মৃতি বলেন, ‘‘যারা খবরটা পড়েছেন, সবাই জানেন উনি (দীপিকা পাড়ুকোন) কাদের পাশে দাঁড়াতে গিয়েছিলেন। তাদের পাশে, যারা প্রতিটি সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যুতে উৎসব পালন করে।’’

গত ৫ জানুয়ারি এক দল মুখোশধারী যুবক জেএনইউ ক্যাম্পাসে ঢুকে তাণ্ডব চালায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐষী ঘোষসহ ছাত্র-ছাত্রী ও অধ্যাপকদের মারধর করা হয়। আহত হন মোট ৩০ জন। মাথা ফাটে ঐশীর। হামলার অভিযোগ ওঠে আরএসএস-এর ছাত্র সংগঠন এবিভিপির বিরুদ্ধে।

ওই দিনের ঘটনার প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে আন্দোলন চালাচ্ছিলেন শিক্ষার্থীরা। অন্য দিকে ৭ জানুয়ারি নিজের ছবি ‘ছপাক’-এর প্রচারে দিল্লিতে ছিলেন দীপিকা। তার মধ্যেই ওই দিন সন্ধ্যার দিকে ক্যাম্পাসে গিয়ে ছাত্রদের পাশে দাঁড়ান দীপিকা। তারপর থেকেই বিজেপির নিশানায় ‘ছপাক’-এর নায়িকা। ২০১১ সালে দীপিকা পাড়ুকোন একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি রাহুল গান্ধীকে পছন্দ করেন। জেএনইউ-এ যাওয়ার পর সেই ভিডিওটিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

স্মৃতি ইরানি সেই প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘‘আমি ওর (দীপিকা পাড়ুকোন) রাজনৈতিক-যোগ জানি। আমি তার সেই অধিকারে হস্তক্ষেপ করতে চাই না। তিনি কার পাশে দাঁড়াবেন, সেটাও তার ব্যক্তিগত স্বাধীনতা।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘২০১১ সালেই উনি নিজের রাজনৈতিক-যোগের পরিচয় দিয়েছিলেন। এটা ওর অধিকার যে, যারা বলেন ভারত টুকরো টুকরো হবে, তাদের পাশে দাঁড়াবেন।’’