ঢাকা, শুক্রবার ২৯, মার্চ ২০২৪ ১৩:৪৩:১৭ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
টাঙ্গাইলে শাড়ি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তাঁতীরা রমজানের অর্ধেকেও কমেনি মাছ ও মাংসের দাম সেতু থেকে খাদে পড়ে বাসে আগুন, নিহত ৪৫ রমজানের অর্ধেকেও কমেনি মাছ ও মাংসের দাম ঈদযাত্রা: ৮ এপ্রিলের ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে আজ বিশ্বে প্রতিদিন খাবার নষ্ট হয় ১০০ কোটি জনের বাসায় পর্যবেক্ষণে থাকবেন খালেদা জিয়া

দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চলবে : প্রধানমন্ত্রী

বাসস | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৯:৪৬ এএম, ১৪ জানুয়ারি ২০১৯ সোমবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতি বিরুদ্ধে তাঁর সরকারের কঠোর অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং এর অর্জনসমূহ সমুন্নত রাখার জন্য সরকার তাঁর দুর্নীতি বিরোধী লড়াই অব্যাহত রাখবে।

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চতুর্থবারের মতো পুনঃনির্বাচিত হওয়ার পর রোববার প্রথম অফিস করেন প্রধানমন্ত্রী। 

এ সময় তিনি কার্যালয়ের (পিএমও) সিনিয়র কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বলেন, ‘যদিও কোন দেশের পক্ষেই শতভাগ দুর্নীতি নির্মূল করা সম্ভব নয়, তবে আমাদের সরকারের একটা দায়িত্ব হলো এই দুর্নীতি প্রতিরোধ করা যাতে এটি দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে না পারে এবং আমাদের সকল সাফল্য ম্লান করে না দেয়।’

প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদ, দুর্নীতি ও মাদক নির্মূলের ক্ষেত্রে আমাদের যুদ্ধ অব্যাহত থাকবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, টেন্ডার ছিনতাইয়ের ঘটনা দেশে বারংবার ঘটেছে। ‘কিন্তু আমরা দেশকে এই অবস্থা থেকে মুক্ত করতে পেরেছি। প্রযুক্তির বদৌলতে এই সাফল্য এসেছে এবং এটা ডিজিটাল বাংলাদেশের একটা ভাল ফল।

প্রধানমন্ত্রী সরকারি কর্মকর্তাদের দেশের উন্নয়নের জন্য কঠোর পরিশ্রম করার আহবান জানিয়ে বলেন, দেশের জনগণের কল্যাণে সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে, যাতে জনগণ তার সুফল ভোগ করতে পারে। আমরা দেশকে উন্নত ও সম্ভাবনাময় জাতিতে পরিণত করতে চাই। ইতিমধ্যে আমরা দেশকে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি লাভ করেছি। এটাকে অবশ্যই আমাদের ধরে রাখতে হবে।

শেখ হাসিনা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে সব সময় তার সরকারকে সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তাঁর সরকার যখন ক্ষমতায় আসে তখন সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সহযোগিতা করেন।

তিনি বলেন, সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সহযোগিতায় সকল প্রকার উন্নয়ন কাজ শেষ করতে চাই, যাতে করে দেশ আরো এগিয়ে যাবে। দেশ সকল ক্ষেত্রে নিজস্ব সক্ষমতা অর্জন করতে চায়। বিশ্বের সাথে বাংলাদেশও শান্তি বজায় রাখতে সচেষ্ট রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা আর অপরের উপর নির্ভরশীল থাকবো না। আমরা নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাই। আর যেন দেশে স্বাধীনতা বিরোধীরা ক্ষমতায় আসতে না পারে তার জন্য সকলকে সতর্ক থাকতে হবে ‘ 

তিনি বলেন, আমরা চাই যে বা যারা দেশের ক্ষমতায় আসুক না কেন তারা মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করবে এবং উন্নয়নকে সামনের দিকে নিয়ে যাবে। বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নয়নের কারণে বিশ্ববাসী আমাদের দেশকে সম্মানের চোখে দেখে থাকে। কিন্তু এক সময় বাংলাদেশকে খরা, দুর্ভিক্ষ, বন্যার দেশ হিসাবে বিশ্বে পরিচিত লাভ করেছিলো। যা আমাদের কষ্ট দিতো । আর আমরা এটাকে সহ্য করতে চাই না।

তিনি বলেন, ‘সেই সময় থেকে আমি মনে করতাম আর কাউকে দেশকে খাটো করতে দিবো না। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন করেছি তাই সব সময় মাথা উচু করে থাকতে চাই।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘এমনকি পাকিস্তানি জনগণ আমাদের ব্যাপক উন্নয়ন দেখে বাংলাদেশের মতো তাদের দেশকে রূপান্তরিত হতে দেখতে চায় এবং এর চেয়ে আনন্দের মূহুর্ত আর হতে পারে না’। তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীদের জনগণের সেবা করার ব্যাপারে কোন চিন্তা ছিল না। ‘কিন্তু একটি রাজনৈতিক দল হিসাবে আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য কিভাবে কাজ করা যায় সেকথা চিন্তা করে এবং ওই চিন্তার কারণে আমরা তাদের জন্য কি করেছি।’

শেখ হাসিনা চলমান প্রকল্পসমূহ দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করার জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়ে বলেন, তাদের (সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারি) কর্মকান্ডে গতি আনতে তিনি তাঁর আগের মেয়াদগুলোর মতো শিগগিরই মন্ত্রণালয়সমূহ পরিদর্শন শুরু করবেন। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার ব্যাপারে তাঁর লক্ষ্যের কথা পুনঃব্যক্ত করেন।

শেখ হাসিনা ২০২০-২০২১ সালে ব্যাপক ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ‘মুজিব বর্ষ’ পালনের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ এবং এ বিষয়ে ব্যাপক প্রচারণা চালানোর জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমানের সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ. টি. ইমাম, ড. মসিউর রহমান, ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী ও মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক সমন্বয়কারি এম. আবুল কালাম আজাদ।

এরআগে, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, সামরিক সচিব, প্রেস সচিব, উপদেষ্টাবৃন্দ এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিভিন্ন অনুবিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ, এসএসএফ-এর মহাপরিচালক ও অন্যান্য পরিচালকরা ফুলের তোড়া দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।