ঢাকা, শুক্রবার ১৯, এপ্রিল ২০২৪ ১৬:০৩:৫২ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
মানুষ এখন ডাল-ভাত নয়, মাছ-মাংস নিয়ে চিন্তা করে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট তীব্র তাপপ্রবাহ, সতর্ক থাকতে মাইকিং ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপ আজ শুরু জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই দেশ আরও উন্নত হতো টাইমের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা

দেশে স্বামীর হাতে ২৫ শতাংশ নারী নির্যাতিত

ডেস্ক রিপোর্ট | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৪:০৯ পিএম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ মঙ্গলবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

কথা ছিল নারী তার স্বামীর ঘরে সুখে ভাত খাবেন, মার নয়। কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে বাংলাদেশে বিবাহিতা নারীদের প্রতি চারজনের মধ্যে একজন স্বামীর হাতে মার খান।

বউ পেটানোর জন্য অন্তত: পাঁচটি কারণ চিহ্নিত করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান বুরোর মাল্টিপল ইনডেক্স ক্লাস্টার সার্ভে ২০১৯-এর সমীক্ষায়। কারণগুলো হচ্ছে: স্বামীর অনুমতি ছাড়া বাইরে যাওয়া, বাচ্চাদের প্রতি যত্নশীল না হওয়া, স্বামীর সাথে তর্ক করা, স্বামীর চাহিদা মত যৌন সম্পর্কে সাড়া না দেয়া এবং রান্না ঘরে খাবার পুড়িয়ে ফেলা।

গতকাল সোমবার প্রকাশিত সমীক্ষা প্রতিবেদন অনুয়ায়ী- ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী স্ত্রীদের ২৫.৪ শতাংশ উল্লেখিত পাঁচটির যেকোনো একটি কারণের জন্য স্বামীর হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।  

এই সমীক্ষা প্রতিবেদনের জন্য ২০১৯ সালের ১৯ জানুয়ারী থেকে ১ জুনের মধ্যে  ৬১,২৪২ টি পরিবারের কাছ থেকে ৩৩ ধরণের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। সমীক্ষার আওতাধীন এসব পরিবারের প্রত্যেকটিতে অন্তত: একটি মোবাইল বা ল্যান্ড ফোন আছে। এসব পরিবারের ৩৭ ভাগের বাসায় ইন্টানেট ডিভাইস রয়েছে এবং ৫ ভাগের বেশী পরিবারে পারসোনাল কম্পিউটার (পিসি) রয়েছে। সমীক্ষায় জানা গেছে ২০-২৪ বছর বয়সী স্ত্রীদের মধ্যে ১৫.৫ ভাগের বিয়ে হয়েছে ১৫ বছর হবার আগেই।

বিবাহিত স্ত্রীর প্রতি স্বামীর সহিংস আচরণ সম্পর্কে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বিপ্লবী নারী ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক আমেনা আখতার বলেন, শুধু স্বামী নয় পরিবারে অন্য সদস্যদের দ্বারাও নির্যাতনের ঘটনা ঘটে থাকে। অনেক ক্ষেত্র কর্মজীবী মহিলাকেও তার আয়ের অর্থ স্বামীর হাতে তুলে দিতে হয় না হলে নির্যাতন নেমে আসে। এসব ঘটনা এখন অনেক বেশী ঘটছে যার সবটাই প্রকাশ পাচ্ছে না। এ ব্যাপারে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।

এই প্রসঙ্গে বিশিষ্ট নারী নেত্রী খুশি কবির বলেন, যতদিন সমাজ পুরুষতান্ত্রিক মনোভাব বজায় থাকবে, যতদিন নারীকে সমমার্যাদা দেয়া হবে না;  ততদিন ঘরে বা বাইরে নারীদের প্রতি সহিংস আচরণ বন্ধ হবে না।

এই প্রসঙ্গে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে. চৌধূরী গণমাধ্যমকে বলেন, পরিবারে গুরুতর কোনো অপরাধ না করে স্ত্রীরা স্বামীর হাতে মার খাচ্ছেন। এটা সভ্য সমাজে গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি মনে করেন, নারীরা আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী না হবার কারণেই মূলত স্বামীরা এভাবে বউ পেটাতে উৎসাহ পান।

-জেডসি