ঢাকা, শুক্রবার ১৯, এপ্রিল ২০২৪ ৮:১৩:৫৩ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই দেশ আরও উন্নত হতো টাইমের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা নান্দাইলে নারী শ্রমিককে কুপিয়ে হত্যা তীব্র গরমে জনজীবনে দুর্ভোগ, বাড়ছে জ্বর-ডায়রিয়া কারাগার থেকে সরিয়ে গৃহবন্দী অবস্থায় সুচি কৃষকরাই অর্থনীতির মূল শক্তি: স্পিকার মধ্যপ্রাচ্যের দিকে নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

দেশের প্রথম সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্রের যাত্রা শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:৪৬ পিএম, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ বুধবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হলো রাঙামাটির কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান বাঁধ-সংলগ্ন এলাকায় ৭ দশমিক ৪ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র। আজ বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিদ্যুৎকেন্দ্রটি উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০১ সালে সরকারে আসতে না পারলেও অনেকগুলো বিদ্যুৎকেন্দ্র রেখে যাই। বিএনপি অর্থ-সম্পদ অর্জনে বেশি ব্যস্ত ছিল। আমরা যেগুলো শুরু করেছিলাম সেগুলো শেষ করলেও জনগণ স্বস্তি পেতো। শুধু যেগুলো শেষের দিকে ছিল সেগুলো সম্পন্ন করেই তারা তৃপ্তি পেয়েছে।

আওয়ামী লীগ সরকার ২০০১ সালে যে চার হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ রেখে গিয়েচিল সেটা বিএনপি ৩ হাজার ২০০ মেগাওয়াটে নামিয়ে এনেছিল বলেও অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা স্বাক্ষরতার হার বাড়িয়ে গিয়েছিলাম। পরে ২০০৮ সালে ক্ষমতায় এসে দেখি কমে গেছে। গ্যাস বিক্রির জন্য আমার উপর চাপ ছিল ২০০১ সালে, আমরা বলেছিলাম আমাদের কত চাহিদা আছে জানি না, সেটা আগে বের করে দেন। ৫০ বছরের রিজার্ভ রেখে তারপর আমরা বিক্রি করবো। কিন্তু বিএনপি রাজি হয়ে গিয়েছিল। নেবে যুক্তরাষ্ট, কিনবে ভারত। যে জন্য ক্ষমতায় আসেত পারিনি।

আমাদের চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস নেই এবং এলএনজি এনে চাহিদা মেটানো হচ্ছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

কাপ্তাইয়ে সৌর শক্তির সাহায্যে সরকারিভাবে দেশের প্রথম সোলার বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে। ২০২০ সালের মধ্যে বিদ্যুতের মোট উৎপাদনের ১০ ভাগ নবায়নযোগ্য শক্তি থেকে উৎপাদনের লক্ষ্যে, ২০১৭ সালের ৯ জুলাই প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়। বর্তমানে পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন চলছে। এ প্রকল্পের প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ টাকা ৪৮ পয়সা।

জেটটি করপোরেশনের প্রজেক্ট ম্যানেজার আবু বক্কর ছিদ্দিক জানান, পাওয়ার প্ল্যান্টটি নির্মাণ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জেটটি করপোরেশন। ২৪ হাজার ১২টি প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে সোলার প্যানেলটি স্থাপন করা হয়েছে। এই ইউনিট থেকে ৭.৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হওয়ার কথা থাকলেও, এখন পর্যন্ত ৬.৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছে, যা সোলারচালিত কেন্দ্রের জন্য সন্তোষজনক। এ প্রকল্প থেকে আগামী ২৫ বছর পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন সেবা পাওয়া যাবে বলে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

পিডিবির চিফ ইঞ্জিনিয়ার প্রকৌশলী মোঃ আবদুর রহমান বলেন, কাপ্তাই প্রজেক্টের ভেতরে কর্ণফুলী পানি বদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান বাঁধ সংলগ্ন দুই একর খালি জায়গায় সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়। পুরো প্রকল্প এলাকা সুউচ্চ সীমানা প্রাচীর দিয়ে ঘেরাও করা হয়েছে। পাশাপাশি পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।

১১০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়। সৌর শক্তির সাহায্যে এই প্রকল্প থেকে প্রতিদিন ৭.৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। যার ২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কাপ্তাই প্রজেক্টে ব্যয় করা হবে। বাকি ৫.৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সঞ্চালন করা হবে।

কাপ্তাই হ্রদের ওপর ভাসমান আরও ৫০ মেগাওয়াটের একটি সোলার প্যানেল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নেও এডিবি সহায়তা দেবে বলে জানিয়েছেন কর্ণফুলী জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ম্যানেজার এটিএম আব্দুরজ্জাহের।

-জেডসি