ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৮, মার্চ ২০২৪ ১৮:৫৮:২৩ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
বিশ্বে প্রতিদিন খাবার নষ্ট হয় ১০০ কোটি জনের বাসায় পর্যবেক্ষণে থাকবেন খালেদা জিয়া ট্রেনে ঈদযাত্রা: ৭ এপ্রিলের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু গাজায় নিহত বেড়ে ৩২ হাজার ৪৯০ অ্যানেস্থেসিয়ার ওষুধ বদলানোর নির্দেশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঈদ কেনাকাটায় ক্রেতা বাড়ছে ব্র্যান্ড শপে বাঁচানো গেল না সোনিয়াকেও, শেষ হয়ে গেল পুরো পরিবার

ধস নেমেছে সঞ্চয়পত্র বিক্রিতে

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:৪৬ এএম, ২২ নভেম্বর ২০১৯ শুক্রবার

নানা নামে, বেনামে, একই ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে বহুবার, সীমার অতিরিক্ত ও অবৈধ অর্থে সঞ্চয়পত্র বিক্রি ঠেকাতে অনলাইন ডেটাবেস চালু হয়েছে। সঞ্চয়পত্র কেনায় আরোপ করা হয়েছে বেশকিছু শর্ত। ফলে চলতি অর্থছরের শুরু থেকেই সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমছে। সেপ্টেম্বরে ধস নেমেছে বিক্রিতে, বিক্রি ৩৪২ শতাংশ কমেছে। জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

অধিদপ্তরের হালনাগাদ প্রতিবেদনের তথ্যমতে, চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের তৃতীয় মাস সেপ্টেম্বরে সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে নিট আয় হয়েছে ৯৮৫ কোটি টাকা। আগের অর্থবছরের একই মাসে এ আয় ছিল ৪ হাজার ৩৫৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ সঞ্চয়পত্র বিক্রি প্রায় সাড়ে ৪ ভাগে নেমে এসেছে।

প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ক্রমান্বয়ে প্রতি মাসেই কমছে সঞ্চয়পত্র বিক্রি। জুলাই মাসে সঞ্চয়পত্র নিট বিক্রি হয় ২ হাজার ১৬০ কোটি এবং আগস্টে ১ হাজার ৪৯৯ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। সবমিলিয়ে প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) সঞ্চয়পত্র বিক্রির নিট পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৬৯৮ কোটি টাকা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ১৩ হাজার ৪১২ কোটি টাকা। এ হিসাবে গত বছরের তুলনায় বিক্রি কমেছে ১৮৫ শতাংশ।

সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমে যাওয়ার পেছনে উৎসে করারোপসহ বিভিন্ন কড়াকড়িকেই প্রধান কারণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। চলতি অর্থবছরে সঞ্চয়পত্রের সুদের হার না কমিয়ে সরকার উল্টো উৎসে কর বাড়িয়ে দ্বিগুণ করে দেয়। অর্থাৎ ৫ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্রের সুদের ওপর উৎসে কর ৫ শতাংশের পরিবর্তে ১০ শতাংশ করা হয়। এক লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র কিনতে কর শনাক্তকরণ নম্বর বা টিআইএন বাধ্যতামূলক। সঞ্চয়পত্রের সব লেনদেন ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে করতে হচ্ছে ক্রেতাদের। সঞ্চয়পত্র কিনলেই অনলাইন ডেটাবেস নিবন্ধিত হয়ে যাচ্ছে। এতে একই ব্যক্তি একাধিকবার সঞ্চয়পত্র কেনার সুযোগ পাচ্ছেন না। অনলাইন ডেটাবেস চালুর আগে সঞ্চয়পত্র বিক্রিতে কোনো শৃঙ্খলা ছিল না। ফলে অবৈধ অর্থের নিরাপদ এবং লাভজনক খাত ছিল সঞ্চয়পত্রের স্কিমগুলো।

একদিকে সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমেছে অন্যদিকে রাজস্ব আদায় হচ্ছে না লক্ষ্যমাত্রা অনুসারে। ফলে বাজেটের ঘাটতি পূরণে ব্যাংকমুখী হয়ে পড়ছে সরকার। এতে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ কমে যাচ্ছে। চলতি অর্থবছরের সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৫ শতাংশ। কিন্তু জুলাই-সেপ্টেম্বরে অর্জিত হয়েছে মাত্র ২ দশমিক ৬২ শতাংশ। ফলে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ঘাটতি বিপুল পরিমাণ। ঘাটতি পূরণে এ তিন মাসে সরকার ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছে ২৭ হাজার ৫০৮ কোটি টাকা। ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণগ্রহণ বেড়েছে ৪৫ শতাংশ। অন্যদিকে দেশের বেসরকারি খাতে ঋণ বেড়েছে মাত্র ১০ দশমিক ৬৬ শতাংশ। এতে বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।