নারী-পুরুষের আলাদা শিক্ষাব্যবস্থা চান এরদোগান
আন্তর্জাতিক ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪প্রকাশিত : ০৪:২৪ পিএম, ৯ জুলাই ২০১৯ মঙ্গলবার
ছবি: ইন্টারনেট
জাপানের আদলে তুরস্কেও নারী-পুরুষের জন্য আলাদা শিক্ষা ব্যবস্থা চালুর ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোগান৷ তবে তার এমন বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা হয়েছেন সেদেশের অনেক অধিকারকর্মী৷ জাপানে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনে গিয়ে নারী-পুরুষের পৃথক শিক্ষা নিয়ে বক্তব্য দেন এরদোগান৷ জাপানে ৮০ টি নারী বিশ্ববিদ্যালয় থাকাকে ‘খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়’ হিসাবে উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট জানান, তুরস্কেও তিনি এটি চালু করতে চান৷
সম্মেলন থেকে ফিরে আঙ্কারায় ফিরে জাপানি মডেলে নারী-পুরুষের পৃথক শিক্ষার কথা বলেন এরদোগান৷ তিনি বলেন, তুরস্কের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পৃথক শিক্ষার মধ্যে ভালো কিছু দেখছেন তিনি৷ তুরস্কের উচ্চ শিক্ষা কাউন্সিল-(ওয়াইওকে) কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বলার কথাও জানান প্রেসিডেন্ট এরদোগান৷
শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কারে তার এমন ইচ্ছার তীব্র সমালোচনা করেছেন নারী অধিকার কর্মী ও নারীবাদীরা৷ তারা বলছেন, জাপানের আদলে সবদেশে এটা করে ফেলা কোনোভাবে উপযুক্ত নয়৷ কারণ নারী অধিকার বিবেচনায় বৈশ্বিকভাবে অনেক পিছিয়ে জাপান৷
২০১৮ সালে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডাব্লিউইএফ)-এর এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, জেন্ডার সমতার ক্ষেত্রে ১৪৯ দেশের মধ্যে ১১০তম স্থান জাপানের৷ যদিও তুরস্ক জাপান থেকে ২০ ধাপ পেছনে ছিল৷
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও নারী অধিকার বিশেষজ্ঞ ফাতমাগুল বার্কতাই বলেন, ১৯শতকে শিক্ষায় নারীদের এগিয়ে আনার জন্য জাপানে পৃথক শিক্ষাব্যবস্থার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল৷ কারণ এমন এগিয়ে আনা জাপানে দীর্ঘদিনের অঙ্গীকার ছিল৷ কিন্তু এখন তো নারী-পুরুষকে আলাদা করাকে বৈষম্য হিসাবেই বিবেচনা করা হয়৷
এই ধরনের উদ্ভট সিদ্ধান্ত না নিয়ে তুরস্কের শিক্ষাব্যবস্থাকে উন্নতিতে নজর দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে ফাতমাগুল বার্কতাই বলেন, ‘আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা মৌলিকভাবে ভেঙে পড়া৷ এ কারণে আমাদের শিক্ষার উন্নতি দরকার৷ এমতাবস্থায় নারী-পুরুষের জন্য পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় করার কথা বলা নিতান্তই বোকামি৷’
এরদোয়ানের পৃথক শিক্ষা-পদ্ধতি পরিকল্পনাকে ‘অলীক কল্পনা’ হিসাবে অভিহিত করেন নারীবাদী শিক্ষাবিদ আকসু বোরা৷ ‘একবিংশ শতকে এসে কোনো নারী, এমনকি রক্ষণশীল নারীরাও এমন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চাইবে না,’ ডয়চে ভেলেকে বলেন তিনি৷
কামাল আতাতুর্কের হাত ধরে ধর্মনিরপেক্ষ নীতি নিয়ে ১৯২৩ সালে বর্তমান তুরস্ক প্রতিষ্ঠা লাভ করে৷ সে কারণে দেশটিতে নারী-পুরুষের জন্য পৃথক কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই৷
১৯৭৩ সালে পাস করা তুরস্কের জাতীয় শিক্ষা আইনেও বলা আছে, ‘নারী-পুরুষের একীভূত শিক্ষাপদ্ধতিই উত্তম৷’ সাংবিধানিকভাবে ধর্মনিরপেক্ষ দেশটিতে সাম্প্রতিক সময়ে নানা রকম ধর্মীয় পদক্ষেপ নিয়ে চলছে এরদোগান সরকার৷
-জেডসি
- গরমে শিশু ও নবজাতকের যত্ন কীভাবে নিবেন
- যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধ করার বিল সিনেটে পাস
- ঈশ্বরদীতে আজ তাপমাত্রা ৪১.২ ডিগ্রি
- তীব্র গরমে তাপের সাথে সাপও বাড়ে যে কারণে
- শেখ হাসিনার থাইল্যান্ড সফরে কী কী হবে?
- ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ফের কমল স্বর্ণের দাম
- মক্কা ও মদিনায় তুমুল বৃষ্টির শঙ্কা
- প্রবাসী বক্সার জিনাত ফেরদৌসের স্বর্ণজয়
- খালেদার গ্যাটকো মামলায় চার্জগঠনের শুনানি পেছাল
- অনেক প্রশংসা পাচ্ছি: তাসনিয়া ফারিণ
- কুড়িগ্রামে তাপদাহ: বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায়
- থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা
- ‘পদ্মশ্রী’ গ্রহণ করলেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা
- কেউ হিট স্ট্রোক করলে কী করবেন?
- সালমান আমার জীবন: ঐশ্বরিয়া
- খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরো বাড়ল
- ২৯ ফেব্রুয়ারি বা লিপ ইয়ার নিয়ে ১০টি মজার তথ্য
- জমজমাট ফুটপাতের ঈদ বাজার
- দেশে ধনীদের সম্পদ বাড়ছে
- এবার বাংলা একাডেমি গুণীজন স্মৃতি পুরস্কার পাচ্ছেন যারা
- গুলবদন বেগম: এক মুঘল শাহজাদির সাহসী সমুদ্রযাত্রার গল্প
- বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা
- যে বিভাগে বিচ্ছেদের হার বেশি
- রোমান্টিক যুগের অন্যতম কবি জন কিটস
- ৭ই মার্চ পরিস্থিতি, কেমন ছিলো সেই দিনটি
- ঘরের মাটিতে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
- শেখ মুজিবের ৭ই মার্চের ভাষণের নেপথ্যে
- সদরঘাট ট্র্যাজেডি: সপরিবারে নিহত সেই মুক্তা ছিলেন অন্তঃসত্ত্বা
- দিনাজপুরে ব্যাপক পরিসরে শিম চাষের লক্ষ্য
- জিমন্যাস্টিকসে শিশু-কিশোরদের উৎসবমুখর দিন