ঢাকা, শনিবার ২০, এপ্রিল ২০২৪ ৭:৪১:৪৫ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
হাসপাতালের কার্ডিয়াক আইসিইউ পুড়ে ছাই, রক্ষা পেল ৭ শিশু সবজির বাজার চড়া, কমেনি মুরগির দাম সারা দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি কৃষক লীগ নেতাদের গণভবনের শাক-সবজি উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি শিশু হাসপাতালের আগুন সম্পূর্ণ নিভেছে

নীতা অম্বানীর বোন সাধারণ জীবন কাটান!

অনলাইন ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০২:২২ এএম, ২ অক্টোবর ২০১৯ বুধবার

মমতা দালাল।  ছবি: সংগৃহীত

মমতা দালাল। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের অম্বানী পরিবারের হাল হকিকত কার অজানা! মুকেশ, নীতা, ঈশা, আকাশ এদের প্রায় সকলের সম্বন্ধেই সমস্ত তথ্য জানা আগ্রহীদের। নীতা অম্বানীর কতগুলো গাড়ি রয়েছে, কার ডিজাইন করা পোশাক তিনি পরেন, সব খবর ঠিক সময়ে পৌঁছে যায় ভক্তদের কাছে। কিন্তু জানেন কি এত ধনী পরিবারের অত্যন্ত কাছের এক আত্মীয় নিতান্ত সাদামাটা জীবন কাটান?

তিনি নীতা অম্বানীর বোন মমতা দালাল। বোন মমতাকে অনেকটা নীতার মতোই দেখতে। দুই বোনের মুখের আদলের অনেক মিল রয়েছে। কিন্তু এটাও ঠিক যে মুখ দেখেই দু’জনের মাঝে লাইফস্টাইলের বিস্তর ফারাকটাও সহজেই বোঝা যায়। সাধারণত কোনও অনুষ্ঠান ছাড়া খুব বেশি সাজগোজও করেন না মমতা।

মুম্বইয়েই জন্ম মমতা দালালের। মমতা লাইমলাইট থেকে নিজেকে সম্পূর্ণ দূরে রাখেন। অম্বানী পরিবারের যে কোনও অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত থাকলেও, ক্যামেরায় খুব একটা ধরা দেন না।

বাবা রবীন্দ্রভাই দালাল এবং মা পূর্ণিমা দালাল। তার সম্পর্কে শুধুমাত্র এটুকু তথ্যই জানা রয়েছে। তার পড়াশোনা, ব্যক্তিগত জীবন, বিয়ে করেছেন কি না, সন্তান রয়েছে কি না এগুলোর কিছুই জানা যায় না।

মমতা দালালের জীবন ধারণও একেবারেই সাধারণ। অম্বানী পরিবারের গ্ল্যামারের ঝলক তার মধ্যে একেবারেই নেই। ২০১৯ সালে মার্চে অম্বানী পুত্র আকাশ তার ছেলেবেলার বান্ধবী শ্লোকা মেহতাকে বিয়ে করেন। সেই অনুষ্ঠানেই মা পূর্ণিমা এবং বোন মমতাকে দেখা গিয়েছিল।

মমতা দালাল একজন শিক্ষিকা। ধীরুভাই অম্বানী ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে তিনি পড়ান। নীতা অম্বানীও বিয়ের আগে শিক্ষিকা ছিলেন। এমনকি বিয়ের কয়েক বছর পর পর্যন্তও নীতা অম্বানী শিক্ষকতা করেছেন।

বিয়ের পর ভোগ ম্যাগাজিনে একটা সাক্ষাৎকারে অম্বানী কন্যা ইশা তার মাসি মমতা দালালের কথা উল্লেখ করেন। ইশা জানিয়েছিলেন, তার বাবা-মার বিয়ের সাত বছর পর তাদের (ইশা এবং আকাশ) জন্ম হয়।

আইভিএফ পদ্ধতিতে তাদের জন্ম হয়েছিল। তখন নাকি দিদা পূর্ণিমা এবং মাসি মমতা দালাল ভীষণ ভাবে সাহায্য করেছিলেন নীতাকে। মাসিই নাকি তাদের বড় করে তোলেন। ছেলেমেয়ের দেখভালের জন্য মা নীতা অম্বানীও শিক্ষকতা ছেড়ে দেন।

মমতা দালাল শুধু মাত্র ধীরুভাই অম্বানী ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষকতাই করেন না, তিনি স্কুল অ্যাডমিনিস্ট্রেটরও।

এ ছাড়াও তিনি সচিন তেণ্ডুলকরের মেয়ে এবং শাহরুখ খানের মেয়েকেও পড়িয়েছেন। তবে মমতার কাছে এটা আলাদা কোনও বিষয় নয়। সমস্ত পড়ুয়াই তার কাছে সমান, জানিয়েছেন তিনি।

আজকাল যখন সকলেই কমবেশি সোশ্যাল মিডিয়ায় থাকেন, মমতা দালাল কিন্তু একেবারে আলাদা। এখনও পর্যন্ত তার কোনও সোশ্যাল মিডিয়া পেজও নেই।

(বিদেশী পত্রিকা অবলম্বনে)