নুসরাত হত্যা: চার পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ
নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪প্রকাশিত : ১২:৫৩ পিএম, ১ মে ২০১৯ বুধবার
ছবি: সংগৃহীত
ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় ফেনীর পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করেছে পুলিশ সদর দপ্তরের তদন্ত কমিটি।
প্রতিবেদনে চার পুলিশ কর্মকর্তা ছাড়াও জেলা প্রশাসনের একজন কর্মকর্তাকে দায়ী করে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণেরও সুপারিশ করা হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানায়, পুলিশ সদর দপ্তর গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান ডিআইজি এস এম রুহুল আমিন গতকাল মঙ্গলবার রাতে পুলিশ সদর দপ্তরের সংশ্লিষ্ট শাখায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। এটির অনুলিপি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর কথা রয়েছে।
প্রতিবেদনে ফেনীর পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম ও সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনসহ চার পুলিশ কর্মকর্তার গাফিলতি পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এসপি ও ওসি ছাড়াও অন্য যে দুজন পুলিশ কর্মকর্তা বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছে তাঁরা হলেন উপপরিদর্শক মো. ইকবাল ও মো. ইউসুফ। এছাড়া জেলা প্রশাসনের একজন কর্মকর্তার বিষয়েও বলা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা হয়েছে।
নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টাকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়া ও অপরাধীদের রক্ষার চেষ্টার অভিযোগ উঠে ফেনীর চার পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। এমন অভিযোগে গত ১৩ এপ্রিল পুলিশ সদর দপ্তর পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে। কমিটির প্রধান করা হয় উপ মহাপরিদর্শক রুহুল আমিনকে।
তা ছাড়া নুসরাত শ্লীলতাহানির অভিযোগ নিয়ে থানায় গেলে ওসি তার ভিডিও ধারণ করেন। তাঁর বিরুদ্ধে এই ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।
তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা স্বীকার করে তদন্ত কমিটির প্রধান ডিআইজি এস এম রুহুল আমিন বলেন, তদন্তে যাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে তাদের নামই দেয়া হয়েছে। কারও নামই বাদ দেওয়া হয়নি। যার বিরুদ্ধে যতটুকু দায়িত্ব পালনে অবহেলা ও গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া গেছে তাকে সেখানে শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছে। সম্পূর্ণ চাপমুক্ত থেকে তদন্ত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, নুসরাত জাহান রাফি সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আলিমের পরীক্ষার্থী ছিলেন। ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলা তাকে যৌন নিপীড়ন করেছেন এমন অভিযোগে নুসরাতের মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে ২৭ মার্চ সোনাগাজী থানায় একটি মামলা করেন। এরপর অধ্যক্ষকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে নুসরাতের পরিবারকে হুমকি দেওয়া হয়।
কিন্তু সিদ্ধান্তে অনড় থাকায় ৬ এপ্রিল পরীক্ষাকেন্দ্রে গেলে হাত–পা বেঁধে নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় অধ্যক্ষের লোকজন। চার দিন জীবনের সঙ্গে লড়ে ১০ এপ্রিল রাতে তিনি ঢাকা মেডিকেলে মারা যান। এ ঘটনায় করা মামলায় এজাহারভুক্ত সব আসামিসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলাটির তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
-জেডসি
- কুমিল্লায় বাঙ্গি চাষ করে স্বাবলম্বী কৃষকরা
- পঞ্চগড়ে ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে কাউন চাষ
- কারাগার থেকে সরিয়ে গৃহবন্দী অবস্থায় সুচি
- রাজধানীসহ দেশের ৮ অঞ্চলে কালবৈশাখীর আশঙ্কা
- ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ
- ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
- কৃষকরাই অর্থনীতির মূল শক্তি: স্পিকার
- মধ্যপ্রাচ্যের দিকে নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- ফের বাড়ল সয়াবিন তেলের দাম
- কার কারণে সৃজিতের বাড়িছাড়া মিথিলা?
- এইচএসসির ফরম পূরণ শুরু আজ
- যমুনা নদীর ঘাটে অষ্টমী স্নানে পুণ্যার্থীদের ভিড়
- কোরবানির ঈদের সম্ভাব্য তারিখ
- গরমে সুস্থ রাখবে যে ৫ খাবার
- গরমে ঘর ঠান্ডা রাখবে যেসব গাছ
- বইমেলায় কানিজ কাদীরের কবিতার বই ‘মন’
- খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরো বাড়ল
- জিমন্যাস্টিক্স বিশ্বকাপ: ব্রোঞ্জ জিতলেন প্রণতি
- ২৯ ফেব্রুয়ারি বা লিপ ইয়ার নিয়ে ১০টি মজার তথ্য
- জমজমাট ফুটপাতের ঈদ বাজার
- ২৬৩ সাংবাদিকের জন্য ২ কোটি টাকা অনুমোদন
- জাপার সভায় গান গাইলেন রওশন এরশাদ
- ৩ সিম ব্যবহার করা যাবে যে ফোনে
- কচি-কাঁচার আয়োজনে ভাষা দিবসে সাংস্কৃতিক আয়োজন
- দেশে ধনীদের সম্পদ বাড়ছে
- কবি জীবনানন্দ দাশের আজ জন্মদিন
- এবার বাংলা একাডেমি গুণীজন স্মৃতি পুরস্কার পাচ্ছেন যারা
- গুলবদন বেগম: এক মুঘল শাহজাদির সাহসী সমুদ্রযাত্রার গল্প
- বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা
- যে বিভাগে বিচ্ছেদের হার বেশি