ঢাকা, শুক্রবার ১৯, এপ্রিল ২০২৪ ১১:৫৭:১৪ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
মানুষ এখন ডাল-ভাত নয়, মাছ-মাংস নিয়ে চিন্তা করে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট তীব্র তাপপ্রবাহ, সতর্ক থাকতে মাইকিং ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপ আজ শুরু জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই দেশ আরও উন্নত হতো টাইমের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা

ন্যাড়া পাহাড়ে প্রাণ ফেরালেন ব্রাজিলীয় দম্পতি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৪:১২ পিএম, ৭ জুলাই ২০১৯ রবিবার

ছবি: ইন্টারনেট

ছবি: ইন্টারনেট

চারিদিকে ছিল শুষ্ক খাঁ খাঁ ভূমি। ধীরে ধীরে সেই জমি ভরে উঠল সবুজে। রূপ নিল জঙ্গলে। গল্পের মতো শোনালেও বাস্তবেই ঘটেছে এরকম একটা ঘটনা। ব্রাজিলের বুকেই ইনস্টিট্যুটো টেরা নামের জায়গায় এক ব্রাজিলিয়ান দম্পতির চেষ্টায় গড়ে উঠেছে সবুজ অরণ্য যা আজ বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর ঠিকানা।

ফটোগ্রাফার সেবাস্তিয়াও সালগাদো এবং তার স্ত্রী লেলেয়া ডেলুইজ ওয়ানিক সালগাদোর দীর্ঘ ২০ বছরের চেষ্টায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া জঙ্গল ফিরে এসেছে।

বিখ্যাত ব্রাজিলিয়ান চিত্রসাংবাদিক সেবাস্তিয়াও সালগাদো ছোটবেলায় অরণ্যের কাছাকাছি অঞ্চলে থাকলেও পরে কাজের সূত্রে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গা পাড়ি দেন। বহু বছর পর পরে দেশে ফিরে বন্যপ্রাণী ভরা অরণ্যের জায়গায় শুকনো জমি দেখে হতাশ হন।

কিন্তু কী করে ঘন সবুজ বন একেবারে হারিয়ে গেল? সেবাস্তিয়াও জানান, এর জন্য অনেকটাই দায়ী তাদের পরিবার। পারিবারিক ও আর্থিক কারণে এলাকার বেশির ভাগ গাছ কেটে ফেলেন তার বাবা। সেই ‘পাপ’ ঢাকতে মনস্থির করেন তিনি। এভাবে শুরু হয় এই দম্পতির বন প্রতিস্থাপনের যাত্রা।

দ্য গার্ডিয়ানের একটি সাক্ষাৎকারে সেবাস্তিয়াও বলেন, ‘জমিটির সব কিছু ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। মাত্র ০.৫ শতাংশ জমিতে গাছ ছিল। এরপর আমি ও আমার স্ত্রী মিলে এই বনের একটি প্রতিলিপি কল্পনা করে কাজ শুরু করলে ধীর ধীরে কীটপতঙ্গ, পাখি, মাছ ফিরে আসতে শুরু করে।’

শুরুতে এই দম্পতি ‘ইনস্টিট্যুটো টেরা’ নামের একটি ছোট সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। এই সংস্থার মাধ্যমে তারা প্রায় চার লক্ষ গাছ রোপণ করেন। সেবাস্তিয়াও বলেন, ‘পরিবেশকে সুস্থ এবং সুন্দর রাখতে বনের পুনরুত্থান করা অবশ্যই প্রয়োজন। তবে এই বন্য পরিবেশ, যেখানে বন্য পশুরা আবার ফিরে আসতে পারে তা গড়ে তুলতে সাধারণ গাছের পাশাপাশি, বন্য উদ্ভিদের বীজ রোপণ করাও প্রয়োজন।’

বিগত ২০ বছর ধরে সেবাস্তিয়াও এবং তার স্ত্রী লেলেয়া ডেলুইজ এই জায়গাটির যত্ন নেন। এখন এই জঙ্গলে ১৭২ প্রজাতির পাখি, ৩৩ রকমের স্তন্যপায়ী, ২৯৩ প্রজাতির গাছপালা এবং ১৫টি প্রজাতির সরীসৃপ রয়েছে।

-জেডসি