ঢাকা, বুধবার ১৭, এপ্রিল ২০২৪ ০:৩৪:০৬ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
রাজধানীতে ফিরেছেন ২১ লাখেরও বেশি সিমধারী ভাসানটেকে আগুন: মায়ের পর মারা গেলেন মেয়েও ফরিদপুরে বাস ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১১ রাজধানীতে ফিরছে মানুষ লক্ষ্মীপুরে ঘরে ঢুকে নারীকে কুপিয়ে হত্যা ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে ১৫ জনের মৃত্যু

পর্যটকে মুখরিত সৌন্দর্য্যের লীলাভূমি সেন্টমার্টিন

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৩:২৬ পিএম, ৬ নভেম্বর ২০১৯ বুধবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বৈরি আবহাওয়ার কারণে প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন দ্বীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর এ মাস থেকে মুখরিত হয়ে উঠেছে দ্বীপের বিভিন্ন দর্শনীয় পর্যটন কেন্দ্র।

টেকনাফ সেন্টমার্টিন নৌ রুটে পহেলা নভেম্বর পর্যটক বাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি পাওয়ায় পর্যটক ব্যাবসায়ী ও দ্বীপবাসী অত্যন্ত আনন্দিত।তবে জরাজীর্ণ জেটিতে ঝুকি নিয়ে উঠানামা করতে দেখা গেছে পর্যটকদের।

জানা যায়, ১ লা নভেম্বর শুক্রবার সকাল ৯ টা ৩০ মিনিটে দমদমিয়া ঘাট থেকে অফ বেঙ্গল ট্যুরিজম পরিচালনায় এমবি ফারহান ক্রুজে ৩৮০ জন, কুতুবদিয়া থেকে চৌধুরী গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রির পরিচালনায় দী আটলান্টিকে ৩৫০ জন, কেয়ারী ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস পরিচলনায় কেয়ারী ক্রজ এন্ড ডাইনে ৩১০ জন সেন্টমার্টিনে যায় এবং নির্দিষ্ট সময় বিকাল ৩ টায় পযটক নিয়ে ৩ টি পর্যটকবাহী জাহাজই সেন্টমার্টিন ত্যাগ করেন।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যন আলহাজ্ব নুর আহমদ বলেন, সেন্টমার্টিনে হাজারের বেশি পর্যটকের আগমন হয়েছে। জেটির জরাজীর্ন অবস্থা উপরের মহলকে বলা হয়েছে। নতুন জেটি নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত আমি মনে করি প্রচুর পরিমান টায়ার বেধে দিলে এবং নারিকেল গাছসহ নিম্নমান কাঠ ব্যবহার না করে ভাল কাঠ দিয়ে জেটিতে শীঘ্রই সংস্কার দরকার। পর্যটকদের সুবিধার জন্য যা প্রয়োজন সব কিছু করা হবে।

কক্সবাজারের ট্যুর অপারেটর সমুদ্র বিলাসের গাইড মাহফুজ বলেন, আমি ২৫ জন পর্যটক নিয়ে সেন্টমার্টিনে চুক্তি ভিত্তিক ঘুরাতে নিয়ে আসি।আমার সহ পাঠি মোহাম্মদ আলম, ফারুক সহ ১৫ জন ট্যুর অপারেটর পর্যটকের গ্রুপ নিয়ে সেন্টমার্টিনে সফর করি।

এমভি ফারহান ক্রজ জাহাজের মাষ্টার মোর্শদ আবু বক্কর বলেন, ৩৮২ জন যাত্রী নিয়ে সেন্টমাটিন দ্বীপে আগমন করি। তবে দ্বীপের জেটিতে ভাঙ্গনে যাত্রী উঠানামায় আমরা শংকিত। জাহাজ ভিড়তে সময়ের প্রয়োজন হয়। নষ্ট হচ্ছে জাহাজ ও জেটি। জেটিতে সংস্কার অপরিহার্য্য।

সেন্টমার্টিন পশ্চিম পাড়ায় অবস্থিত রেষ্টুরেন্ট হোটেল আসমার পরিচালক আবুবকর ছিদ্দিক বলেন, পর্যটকবাহী জাহাজ আসায় আমরা খুশি। প্রথম দিনে ১৫ হাজার টাকা বিক্রি করি। আরো আগে জাহাজ চললে আমরাই বেশি উপকৃত হতাম।

সেন্টমার্টিন হোটেল মালিক সাধারণ সম্পাদক এম এ রহিম জিহাদী বলেন, পর্যটককে আমরা স্বাগতম জানাই। তবে দ্বীপে রাত যাপন করার পর্যটক কম। তেমন বুকিং নেই। আশা করি পরবর্তী ছুটির দিনে পর্যটকের ঢল নামবে।

প্রসঙ্গত, এর আগে জাহাজ চলাচলের অনুমতি পাওয়ার পরের দিন এত ভ্রমন পিপাসু পর্যটক সেন্টমার্টিনে দেখা মিলেনি। কিন্তু চলতি বছর অনুমতির পাওয়ার পরই হাজার পর্যটকের দেখা মিলে সেন্টমার্টিনে। তাই দ্বীপ বাসী ও বিভিন্ন ট্যুর অপারেটর গুলো আনন্দিত। পর্যটক আসায় দেখা মিলায় স্বস্তির নিশ্বাঃস ফেলেছে ব্যাবসায়ীরা।

দ্বীর্ঘদিন পর পর্যটকদের সাক্ষাত পাওয়ায় আনন্দিত এলাকাবাসীও এবং সরগরম হয়ে উঠেছে হোটেল-মোটেল, রেস্তুরা, চা দোকান সহ দ্বীপের দর্শনীয় স্থানগুলো।

-জেডসি