ঢাকা, শুক্রবার ২৬, এপ্রিল ২০২৪ ১:১০:১৯ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
যুদ্ধ কোনো সমাধান দিতে পারে না, এটা বন্ধ হওয়া উচিত: প্রধানমন্ত্রী ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে সন্তানকে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিলেন মা আরও ৩ দিন হিট অ্যালার্ট জারি যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধ করার বিল সিনেটে পাস

পর্যটনের নতুন আকর্ষণ বোয়ালিয়া বিল

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:০৭ পিএম, ৬ অক্টোবর ২০২১ বুধবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

চারদিকে থৈ থৈ করছে পরিষ্কার পানি। তার উপরে বাঁশের তৈরি লাল-সাদা-সবুজ রঙের দৃষ্টিনন্দন ঘর। খোলা হাওয়ায় সেই ঘরে সবুজ প্রকৃতি উপভোগ করছে বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ।
এমন দৃশ্যের দেখা মেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া বড়বাজার-বরিশল হেলিডি রোডের তিতাস নদীর মোহনার বরিশল বোয়ালিয়া বিলে। দূর থেকে এ দৃশ্য দেখে যে কারো মনে হবে এটি যেন কোনো সমুদ্র সৈকত। দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে বিলের পাড়ে গড়ে উঠেছে দোকানপাট, রেস্টুরেন্ট। প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত সব বয়সী মানুষের পদচারণায় মুখর থাকে এ বিল।
বোয়ালিয়া বিলের পাড়ের দৃষ্টিনন্দর এসব ঘর ও রেস্টুরেন্টের মালিক ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের বরিশল গ্রামের প্রবাসী মো. আলমগীর হোসেন ও ব্যবসায়ী নূরে আলম ভূঁইয়া। সরেজমিনে দেখা গেছে, বিলের তীরে পানির উপরে গড়ে তোলা রং-বেরঙের এসব ঘরে মানুষের উপচে পড়া ভিড়। উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে অল্প সময়েই ছড়িয়ে পড়েছে এ বিলের নাম। প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে এখানে আসছে মানুষ। একান্তে কিছুটা সময় উপভোগ করছে।

আখাউড়া পৌর শহরের মসজিদ পাড়ার মো. পারভেজ মিয়া বলেন, লোকমুখে শুনে স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েকে নিয়ে এখানে সময় কাটাতে এসেছি। তিতাসের মোহনায় পড়ন্ত বিকেলের মুক্ত বাতাস আর নয়নাভিরাম দৃশ্য মন জুড়িয়ে দেয়।


দুর্গাপুরের মো. কামরুল ইসলাম বলেন, আমাদের এখানে ভালো কোনো রিসোর্ট নেই- যেখানে বসে অবসর সময় কাটানো যায়। এ কারণে বোয়ালিয়া বিলে এসেছি। এখানকার মুক্ত বাতাস আর নৈসর্গিক পরিবেশ খুব ভালো লাগছে।

বোয়ালিয়া বিলের পাড়ের রেস্টুরেন্ট ও পার্টি সেন্টারের মালিক মো. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, আমাদের এখানে বিনোদনের ভালো ব্যবস্থা নেই। অবসর সময় কাটানোর কিছু নেই। সে চিন্তা থেকেই তিতান নদীর মোহনায় বিলের মধ্যে এ রেস্টুরেন্ট তৈরি করেছি। এখানে প্রাকৃতিক পরিবেশের পাশাপাশি সাশ্রয়ী মূল্যে উন্নতমানের খাবারও পাওয়া যায়। মানুষ এসব আয়োজনকে বেশ ভালোভাবেই গ্রহণ করেছে। ইচ্ছা আছে এটিকে আরো বড় করার।