ঢাকা, শুক্রবার ২৯, মার্চ ২০২৪ ২০:৫৯:৩২ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
টাঙ্গাইলে শাড়ি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তাঁতীরা রমজানের অর্ধেকেও কমেনি মাছ ও মাংসের দাম সেতু থেকে খাদে পড়ে বাসে আগুন, নিহত ৪৫ রমজানের অর্ধেকেও কমেনি মাছ ও মাংসের দাম ঈদযাত্রা: ৮ এপ্রিলের ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে আজ বিশ্বে প্রতিদিন খাবার নষ্ট হয় ১০০ কোটি জনের বাসায় পর্যবেক্ষণে থাকবেন খালেদা জিয়া

পুঁজিবাজারে টানা পতনে গণঅনশনে বিনিয়োগকারীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:০৭ পিএম, ২৯ এপ্রিল ২০১৯ সোমবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

পুঁজিবাজারে অব্যাহত পতনের প্রতিবাদে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সামনে গণঅনশন করছেন বিনিয়োগকারীরা। বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে সকাল ১১টা থেকে এই গণঅনশন কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।

দীর্ঘদিন ধরে শেয়ারবাজারের অব্যাহত দরপতনের পর গত সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছিল পুঁজিবাজার। একদিন বিরতির পর গতকাল নতুন সপ্তাহের প্রথম দিনে আবার দরপতন হয়েছে। কমেছে লেনদেনের পরিমাণ এবং বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দর। সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন সোমবারও সূচক কমে যাওয়ার মধ্যে দিয়ে পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হয়।

টানা দরপতনে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো থেকে কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না বলে দাবি করেন বিনিয়োগকারীরা। বাজারের এই অস্থিতিশীলতা ঠেকাতে এর আগে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছিল বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ। আজ ডিএসইর সামনে ১২ দফা দাবি নিয়ে প্রতীকী গণঅনশন শুরু করে সংগঠনটি।

বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মিজান উর রশিদের সভাপতিত্বে অনশন কর্মসূচিতে বিনিয়োগকারীরা বলেন, শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার অনেক মিটিং হয়েছে। মিটিংয়ে অবশ্যই বাজারকে গতিশীল করতে বিভিন্ন বিষয় চিহ্নিত হয়েছে। কিন্তু সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায় আমরা নিয়মিত মানববন্ধন করছি। কিন্তু কেউ কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। তাই প্রতীকী গণঅনশন করতে বাধ্য হয়েছেন তারা। দাবি মানা না হলে সামনে আরও কঠোর কর্মসূচি দেয়ার হুঁশিয়ারি দেন তারা।

বিনিয়োগকারীদের দাবিগুলো হলো-

১. সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খায়রুল হোসেনসহ সকল দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের পদত্যাগ করতে হবে।

২. যে সমস্ত কোম্পানি পুঁজিবাজার থেকে মূলধন সংগ্রহ করেছে এবং করবে ওই সমস্ত কোম্পানিকে বাধ্যতামূলকভাবে নূন্যতম ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিতে হবে। জেড গ্রুপের এবং ওটিসি মার্কেট বলতে কোন মার্কেট থাকতে পারবে না।

৩. দুর্বল কোম্পানির আইপিও প্লেসমেন্ট শেয়ারের অবৈধ বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে।

৪. খন্দকার ইব্রাহিম খালেদের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী দোষীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে।

৫. ২সিসি আইনের বাস্তবায়ন করতে যে সকল কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের ব্যক্তিগত ২ শতাংশ এবং সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার নেই ওই উদ্যোক্তা পরিচালকদের ও কোম্পানিগুলোকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

৬. পুঁজিবাজারে অর্থের জোগান বৃদ্ধির জন্য সহজ শর্তে ৩ শতাংশ সুদে ১০ হাজার কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দ দিতে হবে। যা আইসিবি, বিভিন্ন মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকার হাউজের মাধ্যমে ৫ শতাংশ হারে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা লোন হিসেবে বিনিয়োগের সুযোগ পাবে।

৭. পুঁজিবাজারের প্রাণ মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোকে পুঁজিবাজারে সক্রিয় হতে বাধ্য করা এবং প্রত্যেক ফান্ডের নূন্যতম ৮০ শতাংশ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে হবে। মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোকে কমপক্ষে ১০ শতাংশ হারে নগদ লভ্যাংশ দিতে হবে এবং মেয়াদ না বাড়িয়ে মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোকে উন্মুক্ত ফান্ডে রূপান্তর করতে হবে।

৮. ‍পুঁজিবাজার সংক্রান্ত যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় বিনিয়োগকারীদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে।

৯. ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং অ্যাক্ট-২০১৫ বাস্তবায়ন ও বাইব্যাক আইন চালু করতে হবে।

১০. আইপিও’র শেয়ারে সাধারণ বিনিয়োগকারীর ৮০ শতাংশ কোটা দিতে হবে।

১১. ২০১১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মার্জিন লোনের সুদ সম্পূর্ণ মওকুফ করতে হবে।

১২. ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের বিপরীতে বাংলাদেশ স্টক এক্সচেঞ্জ নামে বিকল্প স্টক এক্সচেঞ্জ করতে হবে। এর ফলে কারসাজি বন্ধ করা যাবে।

-জেডসি