ঢাকা, শুক্রবার ১৯, এপ্রিল ২০২৪ ১৪:১১:৩৮ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
মানুষ এখন ডাল-ভাত নয়, মাছ-মাংস নিয়ে চিন্তা করে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট তীব্র তাপপ্রবাহ, সতর্ক থাকতে মাইকিং ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপ আজ শুরু জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই দেশ আরও উন্নত হতো টাইমের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা

পোশাক খাতের মজুরি কমেছে ২৬ শতাংশ: টিআইবি

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৫:৪০ পিএম, ২৩ এপ্রিল ২০১৯ মঙ্গলবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

তৈরি পোশাক খাতের মজুরি নিয়ে মালিকপক্ষ শ্রমিকদের সঙ্গে শুভঙ্করের ফাঁকি দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটি বলছে- নতুন কাঠামোতে মজুরি বাড়েনি, উল্টো ২৬ শতাংশ কমেছে।

মঙ্গলবার রাজধানীতে টিআইবি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়।

‘তৈরি পোশাক খাতে সুশাসন: অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন সংস্থার সহকারী প্রোগ্রাম ম্যানেজার নাজমুল হুদা মিনা ও মো. মোস্তফা কামাল।

সংবাদ সম্মেলনের টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আইন অনুযায়ী প্রতি বছর ৫ শতাংশ হারে মজুরি বাড়ানোর নিয়ম। সেই হিসাবে মজুরি বাড়েনি, বাস্তবে সার্বিকভাবে ২৬ শতাংশ কমানো হয়েছে।

টিআইবি জানায়, ২০১৩ সালের ঘোষিত মজুরি অনুযায়ী প্রথম গ্রেডে ছিল ৮ হাজার ৫০০ টাকা। চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি ঘোষিত প্রথম গ্রেডে নতুন মজুরি করা হয় ১০ হাজার ৯৩৮ টাকা।

কিন্তু ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্টসহ ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮ সালে মজুরি হওয়ার কথা ছিল ১৩ হাজার ৩৪৩ টাকা। সেই হিসাবে মজুরি দুই হাজার ৪০৫ টাকা বা ২৮ শতাংশ কমেছে। এভাবে নতুন কাঠামোতে মজুরি সার্বিকভাবে ২৬ শতাংশ কমেছে।

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, পোশাক খাতে অনেক অগ্রগতি হলেও প্রতিটি ক্ষেত্রেই ঘাটতি রয়েছে। শ্রমিকদের অধিকারের বিষয়টি পর্যাপ্ত দৃষ্টি দেয়া হচ্ছে না। ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির মধ্যে শুভঙ্করের ফাঁকি রয়ে গেছে।

‘বাস্তবে মজুরি কমে গেছে বলে ধারণা করা হতো। আমাদের প্রতিবেদনেও তা উঠে এসেছে। আগের তুলনায় ২৬ শতাংশ মজুরি কমে গেছে। সেটি তো বাড়েইনি বরং যারা আন্দোলন করেছেন, তাদের মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে। চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।’

ট্রেড ইউনিয়নের ক্ষেত্রে আইনি ও প্রায়োগিক দুর্বলতা রয়েছে। মাত্র ৩ শতাংশ কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন গঠিত হয়েছে, যার অধিকাংশই মালিকদের দ্বারা প্রভাবিত বলে মনে করেন তিনি।

বেসরকারি এই গবেষণা সংস্থাটি আরও জানায়, পোশাক খাতে অধিকাংশ সাব-কন্ট্রাক্টর নির্ভর কারখানায় ন্যূনতম মজুরি দেয়া হয় না। এ ছাড়া নতুন মজুরি কাঠামোতে মালিকপক্ষের মূল মজুরি বৃদ্ধি ২৩ শতাংশ দাবি করা হলেও প্রকৃত হিসাবে ২০১৩ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে তা প্রায় ২৬ শতাংশ কম।

এ ছাড়া মজুরি বৈষম্য নিয়ে আন্দোলন করায় পাঁচ হাজার শ্রমিককে আসামি করে ৩৫টি মামলা করা হয়েছে। ১৬৮টি কারখানায় ১০ হাজার শ্রমিককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

-জেডসি