ঢাকা, শুক্রবার ১৯, এপ্রিল ২০২৪ ১০:৫৩:৪৩ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
তীব্র তাপপ্রবাহ, সতর্ক থাকতে মাইকিং ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপ আজ শুরু জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই দেশ আরও উন্নত হতো টাইমের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা নান্দাইলে নারী শ্রমিককে কুপিয়ে হত্যা তীব্র গরমে জনজীবনে দুর্ভোগ, বাড়ছে জ্বর-ডায়রিয়া

প্রতিযোগী সক্ষম না হলে পোশাকের ব্যবসা ছাড়তে হবে : ড. রুবানা হক

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:৩৮ এএম, ১২ জানুয়ারি ২০২০ রবিবার

রফতানিমূখী তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি ও মোহাম্মদী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. রুবানা হক বলেছেন, তৈরি পোশাক শিল্পে বৈশ্বিক প্রতিযোগী সক্ষম না হলে এই ব্যবসা ছাড়তে হবে। এ খাতের ব্যাকওয়ার্ড লিঙ্কেজ শিল্পের উন্নয়নে বিদেশি বিনিয়োগের প্রয়োজন রয়েছে। কেননা ইতোমধ্যে আমরা পাকিস্থানের কাছে ডেনিমের বাজার হারাতে শুরু করেছি। এছাড়া নতুন বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে আরো বেশি অর্থনৈতিক কূটনীতি জোরদার করতে হবে।

শনিবার রাজধানীর ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিক্সের উদ্যোক্তা ক্লাবের আয়োজনে ‘স্টেট অব দি ইকোনোমি ইন দ্যা এরা অব ফোরথ ইন্ডাষ্ট্রিয়াল রেভ্যুলেশন : পারস্পেক্টিভ বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

ডিএসসিইর উদ্যোক্তা অর্থনীতি কোর্সের সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলীর সভাপতিত্বে সেমিনারে উদ্ভোধনী বক্তব্য রাখেন পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান ও ডিএসসিইর পরিচালক ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ।

ড. রুবানা হক বলেন, নতুন মার্কেটে বিশেষ করে ব্রাজিল, রাশিয়াসহ বেশ কিছু দেশে রফতানির সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু এসব বাজারে প্রবেশ ও স্থায়ী ভাবে ভাল করতে হলে অর্থনৈতিক কুটনীতির দরকার আছে। এক্ষেত্রে পররাষ্ট্র, বাণিজ্য ও শ্রম মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের মধ্যে আরো বেশি সমন্বয়ের প্রয়োজন। কিন্তু সেটি যথাযথভাবে হচ্ছে না। পাকিস্তান ও ভিয়েতনামের ব্যবসায়িরা ভাল করছে কারণ, সেখানে চীনের বিনিয়োগ রয়েছে। এসব দেশের প্রতিষ্ঠানগুলো বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় সক্ষম হচ্ছে। তাই দেশের বিদেশি বিনিয়োগ প্রয়োজন রয়েছে। সংরক্ষণশীলতা থেকে বের হয়ে আমাদের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার সক্ষমতা অর্জন কতে হবে।

বিশেষ অর্থনৈতিক জোন (এসইজেড) প্রসঙ্গে নিয়ে তিনি বলেন, ১শ’ টা জোন তৈরি করা হচ্ছে কিন্তু এখানে কি ধরনের শিল্প গড়ে উঠবে তাদের সুবিধা কি হবে, কিভাবে তারা পরিচালিত হবে সে সম্পর্কে সঠিক কোন দিক নির্দেশনা নেই। তাই এসব দিক নিয়ে এখনও স্পষ্টতা রয়েই গেল।

অনুষ্ঠানে রুপালী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আহমেদ আল কবীর,জাতিসংঘের সাবেক জেষ্ঠ্য কর্মকর্তা ড. সাইদুর রহমান লস্কর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও ইউল্যাবের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবদুল মোত্তালিব,বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহি পরিচালক কে এম জমসেদ উদ জামান ডিএসসিইর উদ্যোক্তা উন্নয়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রেহানা পারভীন ও সারাহ তাসনীম বক্তব্য রাখেন।

ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন,ডিএসসিই উদ্যোক্তা অর্থনীতি বিষয়ে স্মাতক কোর্স চালু করে বৈশ্বিক প্রতিযোগিসম্পন্ন জনবল তৈরি করছে, যা দেশে দক্ষ জনশক্তির চাহিদা পূরণে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী বলেন,দেশের শিল্পে বিদেশী বিনিয়োগকারী আনতে হবে কিন্তু তাদের মুনাফা দেশে কিভাবে প্রত্যাবর্তন হবে সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকতে হবে। এক্ষেত্রে দেশের স্বার্থ রক্ষা করেই নীতিমালা করতে হবে। এছাড়া বিদেশে দেশের দূতাবাসগুলোকে অর্থনৈতিক কূটনীতি সফল করতে হলে তাদেরকে আইনি বাধ্যবাধকতা ও জবাবদিহিতার মধ্যে আনতে হবে। সূত্র : বিএসএস। 

: এমি।