ঢাকা, শুক্রবার ১৯, এপ্রিল ২০২৪ ২০:৪৩:৫০ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
হাসপাতালের কার্ডিয়াক আইসিইউ পুড়ে ছাই, রক্ষা পেল ৭ শিশু সবজির বাজার চড়া, কমেনি মুরগির দাম সারা দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি কৃষক লীগ নেতাদের গণভবনের শাক-সবজি উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি শিশু হাসপাতালের আগুন সম্পূর্ণ নিভেছে

প্রধানমন্ত্রী আগামী ১ জুলাই চীন যাচ্ছেন

অনলাইন ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১০:১০ পিএম, ২৬ জুন ২০১৯ বুধবার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনে পাঁচ দিনের সরকারি সফরের লক্ষে আগামী ১ জুলাই দালিয়ানের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন। সফরকালে তিনি বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিবেন। এবং চীনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। চীনের দালিয়ানে ১ থেকে৩ জুলাই এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ‘অ্যানুয়েল মিটিং অব দ্যা নিউ চ্যাম্পিয়নস-২০১৯’, যা ডব্লিউইএফ সামার দাভোস নামেও পরিচিত।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্র আজ বুধবার বাসস’কে জানিয়েছে, সফরকালে শেখ হাসিনা চীনের প্রধানমন্ত্রী লী খ্যা খিয়াং-এর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক এবং প্রেসিডেন্ট শি জিং পিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।

প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লইট (বিজি১৭২০) ১ জুলাই বিকেলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবে।

বিমানটি ২ জুলাই স্থানীয় সময় সকাল ১২টা ২৫ মিনিটে লিয়াওনিং প্রদেশের দালিয়ানের দালিয়ান ঝৌশুজি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে।

বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা শেষে আনুষ্ঠানিক মোটর শোভাযাত্রা সহকারে প্রধানমন্ত্রীকে শাংগ্রি-লা হোটেলে নিয়ে যাওয়া হবে। দালিয়ান সফরকালে তিনি এ হোটেলেই অবস্থান করবেন।

২ জুলাই সকালে প্রধানমন্ত্রী দালিয়ান ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে অনুষ্ঠেয় ডব্লিউইএফ সামার দাভোস সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে যোগ দিবেন।

সম্মেলনের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘লিডারশীপ ৪.০- সাকসিডিং ইন এ নিউ এরা অব গ্লোবালাইজেশন’ শেখ হাসিনা বিশ্ব অথনৈতিক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী চেয়ারম্যান ক্লস শোয়াবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।

বিকেলে দালিয়ান ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে শোয়াবের দপ্তরে অনুষ্ঠেয় ‘কো-অপারেশন ইন দ্যা প্যাসিফিক রিম’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী।

আগামী ৩ জুলাই প্রধানমন্ত্রী চীন সরকারের সরবরাহকৃত একটি ভাড়া করা বিমানে স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় বেইজিংয়ের উদ্দেশে দালিয়ান ত্যাগ করবে। একই দিন বিমানটি স্থানীয় সময় বেলা ১২টা ২৫ মিনিটে বেইজিং ক্যাপিটাল ইন্টারন্যাশনাল বিমানবন্দরে পৌঁছবে।

বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রধানমন্ত্রীকে মোটর শোভাযাত্রা সহকারে দিয়ায়োতাই স্টেট গেস্ট হাইজে নিয়ে যাওয়া হবে। চীনের রাজধানীতে সফরকালে শেখ হাসিনা এই হোটেলেই অবস্থান করবেন।

বিকেলে তিনি বেইজিংয়ের লিজেনডাল হোটেলে প্রবাসী বাংলাদেশীদের এক সংবর্ধনা ও নৈশভোজে যোগ দিবেন।

৪ জুলাই সকালে শেখ হাসিনা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিবেন এবং গ্রেট হল অব দ্য পিপলে বীরদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।

পরে তিনি চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াংয়ের সঙ্গে একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন এবং গ্রেট হল অব দ্য পিপলে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।

প্রধানমন্ত্রী গ্রেট হল অব দ্য পিপলে চীনের প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত এক ভোজসভায় অংশ নিবেন।

একই দিন বিকেলে শেখ হাসিনার সিসিপিআইটিতে চীনা ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে একটি বিজনেস রাউন্ডটেবিল বৈঠকে অংশ নিবেন।

৫ জুলাই সকালে প্রধানমন্ত্রীর চাইনিজ থিংক ট্যাংক ‘পাঙ্গোয়াল ইনস্টিটিউশন’ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ব্যক্তব্য রাখার কথা রয়েছে।

চীনের বিভিন্ন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাগণ শেখ হাসিনার অবস্থানকালীন আবাসে তাঁর সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে এবং এনপিসি’র চেয়ারম্যান লি ঝাংশুর সাথে প্রধানমন্ত্রীর একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

বিকেলে প্রধানমন্ত্রী চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দিয়াওইয়ুতাই রাষ্ট্রীয় অতিথিশালায় এক বৈঠকে মিলিত হবেন।
বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী একই স্থানে চীনা প্রেসিডেন্টের আয়োজিত একটি ভোজ সভায় অংশ নেবেন।

চীন সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী বেইজিং ক্যাপিটাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় ৬ জুলাই সকাল ১১টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেবেন এবং একই দিন বাংলাদেশ সময় বেলা ৩টা ৩৫ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (এইচএসআইএ) পৌঁছবেন।

‘ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরাম’স অ্যানুয়াল মিটিং অব দ্য নিউ চ্যাম্পিয়নস ২০১৯-এ অংশ নিতে ডালিয়ানে আগামী সপ্তাহে বিভিন্ন দেশ থেকে ১ হাজার ৮শ’র বেশি প্রতিনিধি অংশ নেবেন। এদের মধ্যে সরকার প্রধান, রাষ্ট্র প্রধান, ব্যবসায়ী নেতা, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, শিক্ষাবিদ ও বিভিন্ন অঙ্গনের শিল্পীরাও থাকবেন। 

সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ বিশ্বের পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ, আঞ্চলিক প্রতিযোগিতা, অর্থনৈতিক বৈষম্য ও কারিগরী সংকটের সঙ্গে কিভাবে খাপ খাওয়ানো যায় তার একটি নতুন কৌশলগত উপায় সম্পর্কে নিজ নিজ মতামত ব্যক্ত করবেন।