ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৮, মার্চ ২০২৪ ১৫:৪৬:৩৫ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
বিশ্বে প্রতিদিন খাবার নষ্ট হয় ১০০ কোটি জনের বাসায় পর্যবেক্ষণে থাকবেন খালেদা জিয়া ট্রেনে ঈদযাত্রা: ৭ এপ্রিলের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু গাজায় নিহত বেড়ে ৩২ হাজার ৪৯০ অ্যানেস্থেসিয়ার ওষুধ বদলানোর নির্দেশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঈদ কেনাকাটায় ক্রেতা বাড়ছে ব্র্যান্ড শপে বাঁচানো গেল না সোনিয়াকেও, শেষ হয়ে গেল পুরো পরিবার

প্রশাসনের নিষিদ্ধের আদেশ অমান্য করে জাবিতে বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০২:৪৩ পিএম, ৭ নভেম্বর ২০১৯ বৃহস্পতিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) প্রশাসনের সভা-সমাবেশ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিক্ষোভ মিছিল করছে আন্দোলনকারীরা। বৃহস্পতিবার দুপুর ১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থিত 'উপাচার্য অপসারণ মঞ্চ' থেকে মিছিলটি বের করা হয়।

এর আগে শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল ও ক্যাম্পাস ত্যাগের নির্দেশ দিয়ে বুধবার থেকে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের অবস্থান ও মিছিল-সমাবেশে অংশ না নিতে বলেছে কর্তৃপক্ষ; সেই নির্দেশনা উপেক্ষা করেই উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে এই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।

এদিকে আজ সকাল ১১টা থেকে আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস ও ক্যাম্পাসের বাইরে থেকে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনে সামনে অবস্থান নিতে শুরু করেন।

দুর্নীতির অভিযোগে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের পদত্যাগ দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে উত্তাল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। বিক্ষুব্ধ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এর মধ্যে বুধবার কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে আবাসিক হল ছেড়েছেন শিক্ষার্থীরা।

গত সোমবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে ফারজানা ইসলামের পদত্যাগ দাবিতে তাকে বাসভবনে অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন 'দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর' ব্যানারে আন্দোলনরতরা।

মঙ্গলবার প্রশাসনিক ভবন অবরোধ এবং সর্বাত্মক ধর্মঘট পালন করেন আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ফলে কার্যালয়ে যেতে পারছিলেন না উপাচার্য। এক পর্যায়ে আন্দোলনকারী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালান বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এই হামলা শিক্ষক, সাংবাদিক ও ছাত্রীসহ ৩৫জন আহত হয়।

এই হামলার ঘটনার পরে ওইদিনই বিকেল সাড়ে ৫টার মধ্যে হল ত্যাগের নিদের্শ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু শিক্ষার্থীরা কর্তৃপক্ষের নির্দেশ উপেক্ষা করে উপচার্যের পদত্যাগের দাবিতে রাতেও হলে অবস্থান করেন এবং বিক্ষোভ করেন। পরে বুধবার সকাল থেকে ফের আন্দোলন শুরু করেন তারা।

এরপর বুধবার দুপুরে আবাসিক হলের সব শিক্ষার্থীকে বিকেল সাড়ে ৩টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবারের নির্দেশ না মানলেও বুধবারের নির্দেশনার পর হল ছেড়ে যান সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

শিক্ষার্থীরা হলত্যাগের পরও বুধবার উপাচার্যের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ চালিয়ে যান আন্দোলনকারীরা। পরে রাত ১০টার দিকে বৃহস্পতিবার আবারও অবস্থানের ঘোষণা দিয়ে ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন তারা।

শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা রাতে যখন ক্যাম্পাসে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন; তখন গণমাধ্যমে এক বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে অবস্থান এবং বাইরে থেকে এসে কোনও শিক্ষার্থী যেন মিছিল সমাবেশে অংশগ্রহণ বা ক্যাম্পাসের কোথাও অবস্থান না করেন সে ব্যাপারে নির্দেশনা দেয় কর্তৃপক্ষ।

এদিকে আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ মিছিলের পাশাপাশি আজ সন্ধায় প্রতিবাদী কনসার্ট কর্মসূচী ঘোষণা করেছে।

-জেডসি