ঢাকা, শুক্রবার ১৯, এপ্রিল ২০২৪ ২১:২৯:৩৩ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
হাসপাতালের কার্ডিয়াক আইসিইউ পুড়ে ছাই, রক্ষা পেল ৭ শিশু সবজির বাজার চড়া, কমেনি মুরগির দাম সারা দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি কৃষক লীগ নেতাদের গণভবনের শাক-সবজি উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি শিশু হাসপাতালের আগুন সম্পূর্ণ নিভেছে

ফুলের মাস ফেব্রুয়ারিতে আশাবাদী চাষিরা

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৪:২৫ পিএম, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ শনিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ফুল ভালোবাসে না এমন কেউ নেই। তাই বছর জুড়েই কম-বেশি চাহিদা থাকে ফুলের। এছাড়া প্রতি বছর ফেব্রুয়ারিতে পহেলা ফাল্গুন, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস এবং মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মতো দিনগুলোতে ফুলের অতিরিক্ত চাহিদার সিংহভাগ যোগান দিয়ে থাকে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের ফুল চাষি ও ব্যবসায়ীরা।

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে মাঠের পর মাঠ রঙ্গিন গাঁদার সমারোহ জানান দিচ্ছে দরজায় কড়া নাড়ছে বসন্ত। প্রিয়জনের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশে ফুলই শ্রেষ্ঠ। সেসব মানুষের মনের খোরাক মেটাতে ফুল উৎপাদনে দিনরাত পরিশ্রম করছেন এখানকার ফুল চাষিরা। সারা বছর ফুল উৎপাদন করলেও বসন্ত, ভালোবাসা দিবস ও ২১ ফেব্রুয়ারির বাজার ধরাটাই থাকে চাষিদের মূল লক্ষ্য। এ তিনটি দিবসে ফুল বিক্রি করেই মূলত সারা বছরের লাভ লোকসানের হিসেব মেলান তারা।

কালীগঞ্জ উপজেলায় ফুল চাষে এবার নীরব বিপ্লব ঘটেছে। কৃষিকাজের পরর্বীতে ফুল চাষকে পেশা হিসাবে নিয়ে ভাগ্য পরিবর্তন করছেন অনেক কৃষক। উপজেলার শতাধিক কৃষক এ ফুল চাষের সঙ্গে জড়িত। এখানে উৎপাদিত গাঁদা ফুলের ওপর নির্ভর করতে হয় রাজধানীর শাহবাগের ফুলের বাজারসহ দেশের ফুল ব্যবসায়ীদের। দিন দিন এখানকার ফুলের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ঝিনাইদহ কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৬ উপজেলায় প্রায় ২৫০শ’ হেক্টর জমিতে নানা জাতের ফুল চাষ হচ্ছ। সবচেয়ে বেশি ফুল চাষ হচ্ছে কালীগঞ্জ উপজলোর ফুলপল্লী নামে খ্যাত বালিয়াংগা, এলোচনপুর, কোলা ও নলডাংগাসহ বিভিন্ন গ্রামে।  চলতি মৌসুমে এ উপজলোয় ফুল চাষ হয়েছে ১শ’ হেক্টর জমিতে।

 

সফল ফুলচাষি ও ব্যবসায়ী এস এম টিপু সুলতান জানান, তিনি ২৭ বছর ধরে ফুলের সাথে জড়িত। ঢাকায় তার ফুলের দোকানও আছে। সেখানে তিনি ফুলের ব্যবসা করেন। তিনি সর্ব প্রথম গ্লাডিওলাস দিয়ে ফুলের চাষ শুরু করেন। এরপর জারবেরা ফুলের আবাদ করেন। সর্বশেষ গত ২০১৭ সালে নেদারল্যান্ডের ফুল লিলিয়ামের চাষ করেন। কিন্তু সময় মত ফুল না উঠায় সে বছর তিনি তেমনভাবে ফুল বিক্রি করতে পারেনি। এবার সময় মত ফুল উঠবে এবং তিনি ভালভাবে লিলিয়াম ফুল বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করেন।

বেলেডাংগা গ্রামের ফুলচাষি মোতালেব হোসেন বলেন, এক বিঘা জমিতে ফুলের পরিচর্যা, সেচ, সার, ওষুধ, পরিবহনসহ তার প্রতিবছরে ব্যয় হয় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। ভালো দাম পেলে লাভ হয় প্রায় একলাখ টাকা। এ জন্য ফুলচাষের হার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

কালীগঞ্জ কৃষি কর্মকর্তা জাহিদিল কবির বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত কৃষকদের ফুল চাষ সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি, এর ফলে সঠিকভাবে ফুল চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। এছাড়া স্থানীয় ফুল বাজারগুলোতে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ ফুল বিক্রি হচ্ছে। যা রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ফুলের চাহিদা পূরণ করছে।

অসময়ে ফুল সংরক্ষণ ব্যবস্থা করা হলে কৃষকরা ফুল চাষের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে বড় ধরণের ভূমিকা রাখতে পারবেন বলে মনে করেন ফুলচাষিরা।

-জেডসি