ঢাকা, শুক্রবার ২৯, মার্চ ২০২৪ ১৪:১৩:৩৪ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
টাঙ্গাইলে শাড়ি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তাঁতীরা রমজানের অর্ধেকেও কমেনি মাছ ও মাংসের দাম সেতু থেকে খাদে পড়ে বাসে আগুন, নিহত ৪৫ রমজানের অর্ধেকেও কমেনি মাছ ও মাংসের দাম ঈদযাত্রা: ৮ এপ্রিলের ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে আজ বিশ্বে প্রতিদিন খাবার নষ্ট হয় ১০০ কোটি জনের বাসায় পর্যবেক্ষণে থাকবেন খালেদা জিয়া

বাংলাদেশে জরায়ু ক্যান্সারে বছরে ৬ হাজার নারীর মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৮:২৫ পিএম, ১৯ জানুয়ারি ২০১৯ শনিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে গড়ে প্রতিবছর অন্তত ১২ হাজার নারী জরায়ুমুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত বলে চিহ্নিত হচ্ছে। আর এর মধ্যে গড়ে প্রতি বছর প্রায় ছ’হাজার নারী এ কারণে মৃত্যুবরণ করছে। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এ পরিসংখ্যানে কেবলমাত্র হাসপাতালে আসা রোগীদের হিসাব দেখানো হয়েছে।

এ রোগে আক্রান্ত বেশীরভাগ নারীই আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। বেশিরভাগ ভুক্তভোগী প্রজননতন্ত্রের কিছু সমস্যাকে 'মেয়েলি সমস্যা' মনে করে বা  সংকোচের কারণে গোপন রাখতে গিয়ে প্রথমদিকে জানতেই পারেন না তারা এমন ভয়ানক কোনো রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন।

বিশেষজ্ঞগণ বলছেন, বাংলাদেশের ক্যান্সার আক্রান্ত নারীদের শতকরা ৩০ ভাগই হচ্ছেন জরায়ু মুখের (সারভিক্স) ক্যান্সারের শিকার। তবে, রোগ শনাক্তের আগে আক্রান্তের অর্ধেক নারী মারা যান।

আন্তর্জাতিক ক্যান্সার গবেষণা এজেন্সির হিসাব মতে, জরায়ুমুখ ক্যান্সার হচ্ছে মেয়েদের জীবন দুর্বিসহ করে দেয়া দ্বিতীয় সাধারণ স্বাস্থ্যঝুঁকি। বাংলাদেশে এখনো   এ রোগে আক্রান্ত ৭০ শতাংশই রয়ে যাচ্ছে শনাক্তের বাইরে। তাই জাতীয় নীতিমালার মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ নারীদের স্ক্রিনিং ও আক্রান্তদের চিকিৎসার সহজ সুযোগ সৃষ্টির আহ্বান বিশেষজ্ঞদের।

নারীদের এ গুরুতর শারীরিক অসুস্থতার ক্ষেত্রে অপুষ্টি, ব্যক্তিগত অপরিচ্ছন্নতা, ধূমপান, মাদক জাতীয় দ্রব্য সেবন কারণ হলেও বাল্যবিবাহ সবচেয়ে বড় ঝুঁকি বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিভাগীয় প্রধান ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন বলেন, পরিপক্কতা আসার আগেই যখন বিয়ে হয়ে যাচ্ছে, বিয়ে মানেই শারীরিক সমস্যা হচ্ছে, বাচ্চা হচ্ছে, এতে জরায়ুর কোষগুলা এক ধরনের আক্রান্ত হচ্ছে। এজন্য প্রধান কাজ হচ্ছে বাল্যবিবাহ রোধ করা।

এছাড়া, জরায়ু ক্যান্সারের চিকিৎসায় রাজধানীর মাত্র তিনটি বিশেষায়িত হাসপাতাল থাকায় বিপুলসংখ্যক রোগীর সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। এজন্য জেলা হাসপাতালগুলোতে এ রোগের চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও পর্যাপ্ত শয্যা ব্যবস্থা করার পাশাপাশি ব্যাপকভাবে স্ক্রিনিং প্রোগ্রাম হাতে নিতে জাতীয় নীতিমালা তৈরি করা দরকার বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞগণ।

উল্লেখ্য, দেশের জেলা উপজেলার প্রায় ৪শ’ সেন্টারে বিনামূল্যে জরায়ুমুখ ক্যান্সারে পরীক্ষা করা হয়। নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর সব নারীকে স্থানীয় ক্যান্সার নির্ণয় সেন্টারে জরায়ু পরীক্ষার তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগন।

এ প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধূ শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গাইনী বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সাবেরা খাতুন বলেছেন, রোগের চিকিৎসার পরিবর্তে প্রতিরোধ অর্থাৎ রোগটা হতে না দেওয়া হলো বুদ্ধিমানের কাজ। যদিও সকল রোগের ক্ষেত্রে প্রতিরোধ সম্ভব হয় না, তবে জরায়ু-মুখের ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব।

জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকর ব্যবস্থা টিকা। দ্বিতীয় কার্যকর ব্যবস্থা যথাসময়ে ভায়া বা প্যাপস্মিয়ার পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্তকরণ বা স্ক্রিনিং। জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধের টিকা সারভারিক্স দেশে পাওয়া যায়। নিকটস্থ গাইনি ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে এই টিকা গ্রহণ করা যেতে পারে। এই টিকা সূর্যের হাসি চিহ্নিত ক্লিনিক, মেরিস্টোপস্ ক্লিনিক, বড় হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারেও পাওয়া যায়।

-জেডসি