ঢাকা, শুক্রবার ২৯, মার্চ ২০২৪ ১৮:৪৬:৪০ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
টাঙ্গাইলে শাড়ি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তাঁতীরা রমজানের অর্ধেকেও কমেনি মাছ ও মাংসের দাম সেতু থেকে খাদে পড়ে বাসে আগুন, নিহত ৪৫ রমজানের অর্ধেকেও কমেনি মাছ ও মাংসের দাম ঈদযাত্রা: ৮ এপ্রিলের ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে আজ বিশ্বে প্রতিদিন খাবার নষ্ট হয় ১০০ কোটি জনের বাসায় পর্যবেক্ষণে থাকবেন খালেদা জিয়া

বাগানবিলাসের বাগান হতে পারে বাড়ির টবে

অনুরাধা আনোয়ার | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:২৬ পিএম, ৯ ডিসেম্বর ২০১৯ সোমবার

বাগানবিলাসের বাগান হতে পারে বাড়ির টবে

বাগানবিলাসের বাগান হতে পারে বাড়ির টবে

যত্ন নেওয়ার পাঠ জানলে বাড়িতেও তাজা থাকবে এই ফুল। বুগেনভিলিয়া, যার বাংলা নাম করেছিলেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বাগানবিলাস।

পাঁচিলের গা বেয়ে বাড়তে থাকা থোকা থোকা বাগানবিলাস  চেহারা বদলে দেয়া যে কোনো বাড়ির। বাগানবিলাসের রূপই এমন। লাল, হলুদ, আলতা-সিঁদুরে গোলাপি কিংবা সাদা বুগেনভিলিয়া ধরা দেয় আলাদা ভাবে। রাস্তার ধারে কিংবা কোনও বাড়ির পাঁচিলে বাগানবিলাস বেড়ে ওঠে সহজেই।

কিন্তু বাড়ির টবে পুঁততে গেলেই বাঁচে না বাগানবিলাস—এমন ধারণা আছে অনেকের। তবে তা একেবারেই ঠিক নয়। কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলে বাড়িতেও তরতরিয়ে বেড়ে উঠবে বাগানবিলাস।

গাছের যত্নআত্তি : বাগানবিলাস বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন আলো, মাটি, পানি, সার।

আলো : বাগানবিলাসের চাই ভাল আলো। অন্ততপক্ষে ছয় ঘণ্টা সূর্যের কড়া আলোয় এই গাছ রাখা জরুরি। শুধু আলো নয়, তাপও সহ্য করতে পারে বুগেনভিলিয়া বা বাগানবিলাস। তাই ছাদ, বেশি রোদ-আলো ঢোকে এমন বারান্দায় রাখুন এই গাছ। যত আলোয় থাকবে বাগানবিলাস, তত উজ্জ্বল রং ধরবে তার গায়ে।

মাটি : দোআঁশ মাটির সঙ্গে শুকনো চা পাতা, পাতা পচা, শিং কুচি, রক্তসার একসঙ্গে মিশিয়ে রোদে শুকিয়ে নিন। তার পরে হাত দিয়ে ঝুরো ঝুরো করে সেই মাটিতে বসাতে পারেন গাছ।

পানি : যেহেতু বুগেনভিলিয়া বা বাগানবিলাস রোদে থাকে, তাই মাটিও শুকিয়ে যায় তাড়াতাড়ি। গরমকালে প্রত্যেক দিন পানি দেওয়া প্রয়োজন। তবে  পানি যেমন গাছের গোড়ায় দাঁড়াবে না, তেমনই পুরো পানি আবার বেরিয়েও যাবে না। খেয়াল রাখতে হবে, মাটি যেন পানি শোষণ করে এবং একেবারে ভিজে ভিজে না থাকে। শীতকালে এক দিন অন্তর দেওয়া যেতে পারে পানি।

সার : একটি টবে মাসে একবার এক টেবিল চামচ সরষের খোল দিলেই চলে। আলাদা করে অন্য কোনও সারের দরকার নেই। তবে দু’-তিন সপ্তাহ অন্তর মাটি সামান্য খুঁচিয়ে দিলে ভাল হয়।

প্রপ্যাগেশন : বাজার থেকে অনেক সময়েই বাগানবিলাসের চারা কিনে এনে ঠকে যান কেউ কেউ। অনেক ক্ষেত্রে চারাগাছের বদলে শুধু মাত্র ডাল কেটে মাটিতে পুঁতেও বিক্রি করে দেওয়া হয়। ফলে বাড়িতে ফিরে দেখা যায়, রি-পটিং করার পরেও গাছ বাঁচে না। একটি একটি করে পাতা ঝরে গিয়ে শূন্য ডাল পরে থাকে। তবে ভগ্ন মনোরথ না হয়ে ধৈর্য ধরা দরকার। এ রকম অবস্থাতেও গাছ শিকড় তৈরি করে ফের বেঁচে উঠতে পারে। তার জন্য আলো, মাটি, পানি, সারের খেয়াল রাখতে হবে। আর সমস্ত পাতা ঝরে গেলে গাছের আগার দিক বেশ খানিকটা ছেঁটে দিতে হবে। নিয়মিত পানি, আলো পেলে দেখা যাবে ধীর ধীরে কচি পাতা জন্মাচ্ছে। এমনকি ঋতু পরিবর্তনের সময়েও একই ভাবে ধৈর্য ধরে রাখতে হবে। ডাল কেটে ফের গাছ তৈরি করাকে বলে প্রপ্যাগেশন। এ ক্ষেত্রে সমস্ত পাতা ঝরে গেলেও প্রপ্যাগেশন পদ্ধতিতেই ফের জন্মাতে পারে গাছ।

এক টব, হরেক রং : গোলাপি, লাল, সাদা, হলুদ নানা ধরনের রঙের জন্য আলাদা আলাদা টবে পুঁততে পারেন বাগানবিলাস। চাইলে একটি বড় টবেও দু’টি বাই-কালারের গাছ বসাতে পারেন। এতে আসবে নতুনত্ব।

ফুল কিন্তু ফুল নয় : বাগানবিলাসের ফুল বলতে যে লাল, গোলাপি, সাদা বা হলুদ রং দেখি তা কিন্তু আদতে ফুল নয়। সেগুলি আসলে হল ব্র্যাক্ট। পাতাগুচ্ছের রংই বদলে অমন রঙিন দেখায়। তার মাঝে থাকে ছোট্ট ছোট্ট ফুল।

কৃত্রিম রঙে নয়, বারান্দা বা বাইরের দেওয়াল ভরাতে পারেন রঙিন বাগানবিলাসে। তার জন্য দরকার শুধু ধৈর্য, স্নেহ আর ভালবাসা।