ঢাকা, বুধবার ২৪, এপ্রিল ২০২৪ ৯:৫০:০৩ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
‘পদ্মশ্রী’ গ্রহণ করলেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা কাতার-বাংলাদেশ ১০ চুক্তি-সমঝোতা সই কয়েক ঘণ্টায় ৮০ বারেরও বেশি কেঁপে উঠল তাইওয়ান ঢাকা থেকে প্রধান ১৫টি রুটে ট্রেনের ভাড়া যত বাড়ল মাকে অভিভাবকের স্বীকৃতি দিয়ে নীতিমালা করতে হাইকোর্টের রুল আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা নতুন করে ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি

বাগেরহাটে গৃহবধূকে গলাকেটে হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৪০ পিএম, ২২ মার্চ ২০১৯ শুক্রবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বাগেরহাট শহরে হোসনে আরা বেগম (৬০) নামে এক গৃহবধূকে গলাকেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে বাগেরহাট পৌরসভার দক্ষিণ সরুই এলাকায় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তবে কারা কি কারণে এই গৃহবধূকে হত্যা করেছে তা পুলিশ নিশ্চিত করে বলতে পারেনি। রাতেই বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

নিহত হোসনে আরা বেগম বাগেরহাট শহরের দক্ষিণ সরুই এলাকার মো. আব্দুর রহিমের স্ত্রী। তার স্বামী মো. আব্দুর রহিম গণপূর্ত বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী ছিলেন। তিনি গত ১৮ মার্চ ওমরা হজ পালন করতে বর্তমানে সৌদি আরবে রয়েছেন। চাকরির কারণে তার তিন ছেলে বাড়িতে কেউই থাকেন না।

নিহতের ছোট বোন ঝর্ণা বেগম বলেন, আমার বড় ভাগ্নের ফোন পেয়ে তাদের বাড়িতে আসি। এসে দেখি বোনের রক্তাক্ত মরদেহ খাটের উপর পড়ে আছে। ঘরের সব দরজা খোলা। দু`টি আলমারি ভাঙা। পরিবারের কোন সদস্য বাড়িতে না থাকার সুযোগে দুর্বৃত্তের দল ঘরে ঢুকে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মালামাল নিয়ে গেছে বলে ধারণা করছি। তবে তা কি পরিমান হবে তা তার স্বামী ও ছেলেরাই বলতে পারবে। ঘরে ঢোকা দুর্বত্তদের হয় তিনি চিনে ফেলেছেন অথবা মালামাল লুটের সময় বাধা দেয়ায় তারা ক্ষুব্দ হয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলাকেটে হত্যা করেছে বলে ধারণা করছেন তিনি।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বলেন, নিহতের স্বামীসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা বাড়িতে না থাকার সুযোগ নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে দুর্বৃত্তরা ঘরে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলাকেটে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। রাত পৌনে দশটার দিকে নিহতের বড় ছেলে ফরিদ হোসেন ঢাকা থেকে তার মোবাইলে ফোন করতে থাকে। কিন্তু বারবার ফোন করে তাকে না পেয়ে তার খালা ঝর্ণা বেগমকে ফোন করে মার খোঁজ নিতে বলেন। তখন ঝর্ণা বেগম তাদের বাড়িতে যেয়ে দরজা খোলা দেখতে পেয়ে ভেতরে ঢুকে খাটের উপর তার বোনের রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পুলিশকে খবর দেয়া হলে পুলিশ সেখানে গিয়ে তার মরদেহটি উদ্ধার করে। কারা কি কারণে এই গৃহবধূকে হত্যা করল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

-জেডসি