ঢাকা, মঙ্গলবার ২৩, এপ্রিল ২০২৪ ১৪:৩৫:২৮ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
‘পদ্মশ্রী’ গ্রহণ করলেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা কাতার-বাংলাদেশ ১০ চুক্তি-সমঝোতা সই কয়েক ঘণ্টায় ৮০ বারেরও বেশি কেঁপে উঠল তাইওয়ান ঢাকা থেকে প্রধান ১৫টি রুটে ট্রেনের ভাড়া যত বাড়ল মাকে অভিভাবকের স্বীকৃতি দিয়ে নীতিমালা করতে হাইকোর্টের রুল আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা নতুন করে ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি

বান্দরবান প্লাবিত, পাহাড় ধসের শঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৩৯ পিএম, ১১ জুলাই ২০১৯ বৃহস্পতিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ছয় দিনের টানা বৃষ্টিতে বান্দরবানে বন্যা দেখা দিয়েছে। নিম্নাঞ্চলের প্রায় দুই হাজারেরও বেশি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এছাড়া নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শঙ্কা দেখা দিয়েছে পাহাড় ধসেরও।

প্লাবিত এলাকাসহ আশপাশের লোকজন নিরাপদ স্থানে সরে যেতে শুরু করেছে। বর্ষণ অব্যাহত থাকায় ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

বর্ষণ অব্যাহত থাকায় নদীর পানি বিভিন্ন ঝিরিছড়া দিয়ে প্রবেশ করে শহরের আর্মিপাড়া, ইসলামপুর, অফিসার্স ক্লাব, বনানী সমীল এলাকা, শেরেবাংলা নগর, সাঙ্গু নদীর তীরবর্তী এলাকাসহ কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার লোকজন বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে। এছাড়াও জেলার লামা, আলীকদম ও থানচি উপজেলায় নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে।

টানা বৃষ্টিতে বান্দরবান-কেরানীহাট সড়কের বাজালিয়ার বড়দুয়ারা-কলঘর এলাকায় রাস্তা তলিয়ে যাওয়ায় ও বান্দরবান-রাঙ্গামাটি সড়কের কয়েকটি স্থানে সড়ক ধসে যাওয়ায় এখনও বান্দরবানের সঙ্গে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। গন্তব্যে পৌঁছতে বাড়তি ভাড়া দিয়ে নৌকা ও ভ্যানে করে প্লাবিত রাস্তা পার হতে হচ্ছে লোকজনকে। ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে অফিসগামী, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাসহ সব শ্রেণিপেশার মানুষকে।

বৃষ্টিতে ইতোমধ্যে বান্দরবান জেলায় বেশ কয়েকটি পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। তবে এখনো পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। আরও পাহাড় ধসের শঙ্কা করা হচ্ছে। পাহাড় ধসের ঝুঁকি থাকায় এক হাজারেরও বেশি পরিবারকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হয়েছে।

বান্দরবানের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দাউদুল ইসলাম জানান, বন্যার্তদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র খুলে দেয়া হয়েছে। তাদের জন্য শুকনা খাবার ও বিশুদ্ধ পানিসহ ত্রাণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারীদের সরিয়ে নিতে প্রশাসনের উদ্দ্যোগে প্রতিদিনই অভিযান চালানো হচ্ছে। কেউ ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা থেকে সরে না আসলে তাদের বিরুদ্ধে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

-জেডসি