ঢাকা, শনিবার ২০, এপ্রিল ২০২৪ ১১:১৯:১৫ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
হাসপাতালের কার্ডিয়াক আইসিইউ পুড়ে ছাই, রক্ষা পেল ৭ শিশু সবজির বাজার চড়া, কমেনি মুরগির দাম সারা দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি কৃষক লীগ নেতাদের গণভবনের শাক-সবজি উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি শিশু হাসপাতালের আগুন সম্পূর্ণ নিভেছে

বিমান হামলার পর পরিবারে ‘একমাত্র জীবিত’ শিশু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:০০ পিএম, ১১ মে ২০১৯ শনিবার

ছবি: ইন্টারনেট

ছবি: ইন্টারনেট

সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের বিদ্রোহী অধ্যূষিত এলাকার একটি শহরে আসাদ সমর্থিত বাহিনীর বিমান হামলার পর একটি পরিবারের ‘একমাত্র’ জীবিত সদস্য ছিল দুই বছর বয়সী একটি শিশু। শিশুটির পরিবারের বাকি সব সদস্য বিমান হামলায় নিহত হয়েছে।

আট বছরের সিরিয়া যুদ্ধের পর ইদলিব এবং হামা এলাকার কয়েকটি অঞ্চলই জিহাদি ও বিদ্রোহীদের শেষ ঘাঁটি হিসেবে রয়ে গেছে। সেসব এলাকায় সিরিয় ও রুশ সেনাবাহিনী বিমান হামলা জোরদার করেছে। ওই এলাকার একটি গ্রামে চালানো সবশেষ বিমান হামলায় ৩০ জন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন এবং আরও ৪০ জন আহত হয়েছেন বলে খবরে বলা হচ্ছে। খবর বিবিসির।

বেঁচে যাওয়াদের মধ্যে একজন দুই বছর বয়সী খাদিজা-আল-হামদান। খাদিজার পরিবার তাদের গ্রাম থেকে পালিয়ে এসে ওই এলাকায় বাস করছিল। তারা একটি মুরগির খামারের দেখাশোনা করত এবং ওই খামারের ভেতরেই থাকত। খাদিজার দাদা নিশ্চিত করেন যে বিমান হামলায় খাদিজা বাদে তার ছেলের পরিবারের বাকি সবাই মারা গেছে।

তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে, তার স্ত্রী এবং আরও দুই সন্তানের সবাই মারা গেছে। তাদের দেহ আমরা হাসপাতাল থেকে নিয়ে এসেছি। খাদিজাই একমাত্র জীবিত সদস্য।’

সিরিয়া ভিত্তিক জিহাদি গ্রুপ হায়াত তাহরির আল-শামস ‘লোহা এবং আগুন’ এর মাধ্যমে এই বিমান হামলার জবাব দেবে বলে হুমকি দিয়েছে।

সেখানে যুদ্ধ থামছে না। এখন সিরিয়ার ইদলিবে হাসপাতাল, স্কুল লক্ষ্য করে হামলা করা হচ্ছে বলে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেনসহ বেশিরভাগ সদস্য অভিযোগ করেছে। তবে রাশিয়া ও চীন তা সমর্থন করে না।

এই যুদ্ধ শুরু হয়েছিল ২০১১ সালে। তখন প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয় সিরিয়ার দক্ষিণের শহর ‘ডেরা’য়। বিক্ষোভ শুরুর অনেক আগে থেকেই কর্মসংস্থানের অভাব, দুর্নীতির মত নানা কারণে অস্থিরতা বিরাজ করছিল সিরিয়ায়।

এই বিক্ষোভকে ‘বিদেশী মদদপুষ্ট সন্ত্রাসবাদ’ আখ্যা দেন প্রেসিডেন্ট আসাদ। বিক্ষোভ দমন করতে আসাদ সরকারের বাহিনী অভিযান চালায় বিক্ষোভকারীদের ওপর। এই আন্দোলন বিরোধী অভিযান ছড়িয়ে পড়লে প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের জন্য আন্দোলন শুরু হয় পুরো দেশে।

পুরোদেশে দ্রুত অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ে, বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সরকারের অভিযানও জোরদার হয়। বিদ্রোহীরা শুরুতে নিজেদের জীবন রক্ষার্থে অস্ত্রধারণ করে। পরে তার একত্রিত হয়ে নিজেদের এলাকার সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে।

-জেডসি