ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৫, এপ্রিল ২০২৪ ১:৫৫:১৬ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধ করার বিল সিনেটে পাস ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ফের কমল স্বর্ণের দাম মক্কা ও মদিনায় তুমুল বৃষ্টির শঙ্কা খালেদার গ্যাটকো মামলায় চার্জগঠনের শুনানি পেছাল কুড়িগ্রামে তাপদাহ: বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায় থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা

বিয়ের সাত মাসেই লাশ হয়ে বাড়ি ফিরল শম্পা

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৯:০৬ পিএম, ৭ জুন ২০২০ রবিবার

বিয়ের সাত মাসেই লাশ হয়ে বাড়ি ফিরল শম্পা

বিয়ের সাত মাসেই লাশ হয়ে বাড়ি ফিরল শম্পা

বিয়ের সাত মাসেই লাশ হয়ে বাড়ি ফিরল শম্পা রাণী। নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের হিন্দুপাড়া থেকে শম্পা রাণী নামে এক গৃহবধূর মৃৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। হত্যাকান্ডের দৃষ্টান্তমুুলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নিহতের পরিবার।

আজ রোববার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সৈয়দপুর সার্কেল) অশোক কুমার পাল উপস্থিত হয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। বাড়িতে আগুন লাগার ঘটনায় অসুস্থ হয়ে পড়ার কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার কথা করা হলেও মৃত্যু নিয়ে ধূম্র্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। রহস্যময় এ মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলা শহরের বাসুদেবপাড়ারর জোতিষ চন্দ্র্র দাসের অনার্স পাশ মেয়ে নিহত স্বপ্না রাণীর ৭ মাস আগে বিয়ে হয় নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুরের সতীষ চন্দ্র্র সরকারের ছেলে অনিবাস চন্দ্র্র সরকারের সাথে। অনিবাস বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের মাঠকর্মী হিসেবে কুড়িগ্রামে কর্মরত।

অনিবাসের পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, গতকাল শনিবার রাত আনুমানিক ৮টার দিকে বাড়িতে আগুন লাগে। এসময় শম্পা রাণী ঘরের জিনিস পত্র বের করার সময় আগুনের তাপে অসুস্থ হয়ে পড়ে। প্রতিবেশীরা তাকে মাথায় পানি দিয়ে প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসা দেন। আগুন নেভানোর পর রাত আনুমানিক দেড়টার সময় সে আবারও অসুস্থ বোধ করলে তাৎক্ষণিক তাকে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে নিলে সেখানে চিকিৎসা চলাকালীন সে মারা যায়। পরে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে।

স্বপ্না রাণীর পিতা জোতিষ চন্দ্র দাস অভিযোগ করে বলেন, বিয়ের পর থেকেই জামাই অনিবাস তার মেয়ের প্র্রতি অবিচার করছে। স্ত্রী হিসেবে যে অধিকার পাওয়ার কথা তা তাকে দেওয়া হয়নি। বিগত ৭ মাসে জামাই চাকরির স্থল কুড়িগ্রাম হতে দুইবার মাত্র বাড়িতে এসেছে। শ্বশুর বাড়িতে একবারও যায়নি। এমনকি অষ্টপ্রহরের সময় সে আমাদের বাড়িতে নতুন জামাই হিসেবেও উপস্থিত হয়নি। আমার মেয়ে মোবাইল করলে রিসিভ করেনা কথা বলেনা। তাছাড়া কর্মস্থলে একটি মেয়ের সাথে অনিবাসের অবৈধ সম্পর্ক আছে। এ কারণেই সে শম্পার প্রতি বিরুপ আচরণ করতো।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর জামাই বা তার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি। বরং রাত ৯ টার ঘটনা গভীর রাতে ৩ টার দিকে অন্য লোকের মাধ্যমে খবর পাই আমরা।

তিনি বলেন, শ্বশুর বাড়ির লোকজন আমার মেয়েকে মেরে ফেলে আগুন লাগার নাটক করেছে। আমরা এ হত্যাকান্ডের বিচার চাই।

শম্পার মামা চিরিরবন্দর উপজেলার ৬ নং ওমরপুর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড মেম্বার শ্রী অভিজিৎ দাস মিঠু বলেন, বাড়িতে আগুন লাগার যে ঘটনা তারা উল্লেখ করছেন। সেটা যে সাজানো তা আগুনে পোড়া ঘরের দৃশ্য দেখলেই বোঝা যায়। বলা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে। কিন্তু তাতে ঘরের নিচের অংশে কোন কিছুুই পুুড়ে নাই। শুধুমাত্র উপরের চালের কাঠ ও টিন পুুড়েছে। এমনকি ঘরের প্লাইউড সিলিংও সামান্যতম ক্ষতিগ্রস্থ হয়নি। মূলতঃ তারা সন্ধা রাতেই শম্পাকে নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে। পরে ঘটনা ধামাচাপা দিতে আগুনের নাটক করেছে। এখন বিষয়টি মিমাংসার জন্য বলা হচ্ছে। বিয়ের সময় যৌতুক বাবদ নগদ ৭ লাখ টাকা, ২ লাখ টাকা মূূল্যের স্বর্নালংকার ও ১ লাখ টাকার আসবাবপত্র দিয়েও আজ বিয়ের মাত্র ৭ মাসের মাথায় আমাদের মেয়ের লাশ দেখতে হচ্ছে। সেখানে টাকার বিনিময়ে মিমাংসা নয়, হত্যাকান্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসনাত খান আজ গনমাধ্যমকে বলেন, নিহত গৃহবধূর বাবার লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। লাশ ময়না তদন্তের জন্য নীলফামারী মর্গে প্র্রেরন করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।