ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১৮, এপ্রিল ২০২৪ ১৪:৪৭:৪৬ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই দেশ আরও উন্নত হতো টাইমের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা নান্দাইলে নারী শ্রমিককে কুপিয়ে হত্যা তীব্র গরমে জনজীবনে দুর্ভোগ, বাড়ছে জ্বর-ডায়রিয়া কারাগার থেকে সরিয়ে গৃহবন্দী অবস্থায় সুচি কৃষকরাই অর্থনীতির মূল শক্তি: স্পিকার মধ্যপ্রাচ্যের দিকে নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

বেড়েছে মুরগির দাম, অন্য পণ্য স্থিতিশীল

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০২:৩৮ পিএম, ৩১ মে ২০১৯ শুক্রবার

ঈদুল ফিতর কড়া নাড়ছে দোরগোড়ায়। ঈদে মুরগীর মাংসের চাহিদা থাকে বেশি। আর এই সুযোগে ব্যবসায়ীরা বাড়িয়ে দিয়েছে মুরগির দাম। রাজধানীর বাজারগুলোতে সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১৫ থেকে ২০ বেড়েছে। 

একই সঙ্গে বেড়েছে লাল লেয়ার, কক ও দেশি মুরগির দাম। লাল লেয়ার মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ৫০ টাকা পর্যন্ত। আর দেশি মুরগির দাম প্রতি পিসে বেড়েছে ১০০ টাকা, কক এর দাম বেড়েছে পিস ৫০ টাকা। মুরগির মাংসের দাম বাড়লেও গরু ও খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। 

তবে কমেছে সবজি ও ডিমের দাম। বেশিরভাগ সবজি পাওয়া যাচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা দরে। আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে ডাল, ছোলা, পেঁয়াজ, চিনি, মাছ, গরু ও খাসির মাংস। অপরিবর্তিত রয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় মুদিপণ্যের দাম।

আজ শুক্রবার রাজধানীর মালিবাগ, খিলগাঁও, শান্তিনগর, সেগুনবাগিচা, হাতিরপুল, নিউ মার্কেটসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগি কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা। আর লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ২২৫ থেকে ২৩০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকা।

পাশাপাশি প্রতি পিস কক মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২৮০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১৮০ থেকে ২৩০ টাকা। দেশি মুরগি প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা দরে। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়।

মুরগির দাম বাড়লেও অপরিবর্তিত রয়েছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। গরুর মাংস বাজার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫২৫ থেকে ৫৫০ টাকা কেজি। আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮৫০ টাকা কেজি। 

আগের দামেই প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা দরে। আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা কেজি দরে। আদা ও রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা কেজি দরে। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ১২০ টাকা দরে।


মুরগির দাম বাড়লেও কমেছে ডিমের দাম। ব্যবসায়ীরা প্রতি ডজন ডিম বিক্রি করছেন ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮৫ থেকে ৯০ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম ডজনে কমেছে ১০ টাকা।

বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, রাজধানীর বাজারগুলোতে কমেছে সবজির দাম। বাজার ও  মানভেদে সব ধরনের সবজি পাওয়া যাচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে। বেশি দামের সবজি রয়েছে শুধু বেগুন ও লাউ। ভালোমানের প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।  প্রতি কেজি আলু ২০ টাকা, কচুরলতি ৪০ টাকা, করলা ৪০ টাকা, পটল ৩০ টাকা, বরবটি ৪০, কাঁকরোল ৪০ টাকা,  ধুনদুল ৪০ টাকা। এছাড়া ঝিঙা, চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, শশা ৩০ টাকা, গাজর ৩০ টাকা, টমেটো ৩০ টাকা, লেবু হালি মান ভেদে ২০ থেকে ৪০ টাকা। এছাড়া আর কাঁচা মরিচের প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা।

আগের দামেই বিক্রি  হচ্ছে চাল ও অন্যান্য মুদিপণ্যের দাম। বাজারে প্রতি কেজি নাজিরশাইল ৫৮ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মিনিকেট চাল ৫৫ থেকে ৫২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। স্বর্ণা ৩৫ থেকে ৩৮ টাকা, বিআর ২৮নম্বর ৩৮ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। এছাড়া খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে ২৬ টাকা, প্যাকেট ৩২ টাকা, লবণ ৩০ থেকে ৩৫, পোলাও চাল ৯০ থেকে ৯৫ টাকা। প্রতি কেজি খোলা আটা ২৭ টাকা, প্যাকেট ৩২ টাকা, খোলা ময়দা ২৮ টাকা, প্যাকেট ৩২ টাকা। প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকা, খেসারি ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, মসুর ডাল ১০০ থেকে ১১০ টাকা, বুট ৩৮ থেকে ৪০ টাকা।

অপরিবর্তিত রয়েছে বিভিন্ন মাছের দাম। রুই কাতলা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়। তেলাপিয়া বিক্রি হচ্ছে ২০০, আইড় ৮০০ টাকা, মেনি মাছ  ৫০০, বেলে মাছ প্রকার ভেদে ৭০০ টাকা, বাইন মাছ ৬০০ টাকা, গলদা চিংড়ি ৮০০ টাকা, পুঁটি ২৫০ টাকা, পোয়া ৬০০ টাকা, মলা ৫০০ টাকা, পাবদা  ৬০০ টাকা, বোয়াল ৬০০ টাকা, শিং ৮০০, দেশি মাগুর ৬০০ টাকা, চাষের পাঙ্গাস ১৮০ টাকা, চাষের কৈ ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়াও ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রামের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায়।