ঢাকা, মঙ্গলবার ১৬, এপ্রিল ২০২৪ ১৫:২৫:২০ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
রাজধানীতে ফিরেছেন ২১ লাখেরও বেশি সিমধারী ভাসানটেকে আগুন: মায়ের পর মারা গেলেন মেয়েও ফরিদপুরে বাস ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১১ রাজধানীতে ফিরছে মানুষ লক্ষ্মীপুরে ঘরে ঢুকে নারীকে কুপিয়ে হত্যা ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে ১৫ জনের মৃত্যু

ব্রেক্সিট ইস্যুতে বরিসকে ১ মাস সময় দিলো মার্কেল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৪:২০ পিএম, ২২ আগস্ট ২০১৯ বৃহস্পতিবার

ছবি: ইন্টারনেট

ছবি: ইন্টারনেট

আয়ারল্যান্ড সীমান্তে ‘ব্যাকস্টপট ব্যবস্থা নিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ঘোর আপত্তির প্রেক্ষাপটে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মার্কেল তাকে ৩০ দিনের মধ্যে বিকল্প প্রস্তাব পেশ করার চ্যালেঞ্জ করেছেন৷এমন অবস্থায় চুক্তিহীন ব্রেক্সিট হলে সেই ব্যর্থতার দায় ইউরোপের উপর চাপিয়ে দেওয়া ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর জন্য আরও কঠিন হয়ে পড়ল৷ 

ব্যাকস্টপের বদলে ‘কিছু একটা সমাধানসূত্রট উঠে আসবে বলে এতকাল দাবি করে আসছিলেন বরিস জনসন৷ কিন্তু তিনি এখনো এই মর্মে কোনো স্পষ্ট ও বাস্তবসম্মত প্রস্তাব পেশ করেননি৷

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হবার পর বরিস জনসন তার প্রথম বিদেশ সফরের জন্য জার্মানিকেই বেছে নিয়েছিলেন৷ তার নিজের শর্তে চুক্তিহীন ব্রেক্সিট এড়ানোর একমাত্র আশা ছিলেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মার্কেল৷ ব্রেক্সিট চুক্তির মধ্যে রদবদলের ক্ষীণ আশ্বাস আদায় করতে পারলেও তার বদলে কঠিন দায়িত্ব নিয়ে লন্ডনে ফিরতে হলো ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে৷ 

বৃহস্পতিবার তিনি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেও এক্ষেত্রে কোনো ছাড় আদায় করতে পারবেন না, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই৷ মার্কেল ক্ষীণ আশ্বাস দিলেও ম্যাক্রোঁ বুধবার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে কোনোরকম আলোচনা সম্ভব নয়৷ চুক্তিহীন ব্রেক্সিট কার্যকর হলে সেই দায় সম্পূর্ণ ব্রিটেনকেই নিতে হবে৷

মার্কেল নিজেও ব্রেক্সিট চুক্তির মধ্যে রদবদলের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন৷ তবে বর্তমান অচলাবস্থা কাটাতে তিনি এই চুক্তি অনুমোদনের পর ব্যাকস্টপের বদলে আইরিশ সীমান্তে দ্রুত কোনো স্থায়ী ব্যবস্থা চালু করার পক্ষে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ব্রিটেনের বিচ্ছেদের পর দুই পক্ষের মধ্যে ভবিষ্যৎ সম্পর্ক স্থির করার সময় এই প্রশ্নের মীমাংসা খোঁজার কথা ছিল৷ সেই সমাধানসূত্র এখনই পাওয়া গেলে কট্টর ব্রেক্সিটপন্থিদের ব্যাকস্টপ সংক্রান্ত আপত্তির আর কোনো কারণ থাকবে না, মার্কেল এমনটাই আশা করছেন৷ তবে সেই দায় তিনি ব্রিটেনের ওপরেই চাপিয়ে দিয়েছেন৷ ফলে জনসন ও কট্টর ব্রেক্সিটপন্থিদের ব্যাকস্টপ-বিরোধিতার বদলে এবার গঠনমূলক প্রস্তাব পেশ করতে হবে৷

বৃহস্পতিবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনার পর জনসন দেশে ফিরে ইইউ-বিরোধিতার বদলে গঠনমূলক সমাধানসূত্রের লক্ষ্যে সক্রিয় হয়ে উঠবেন, এমনটা ধরে নেওয়া কঠিন৷ আগামী ৩১শে অক্টোবরের মধ্যে ব্যাকস্টপ ব্যবস্থার গ্রহণযোগ্য বিকল্প খুঁজে ইইউর সম্মতি আদায় করে সংসদে ব্রেক্সিট চুক্তি অনুমোদন করানো অত্যন্ত কঠিন কাজ৷ ব্রিটিশ সংসদে ব্রেক্সিট চুক্তি অনুমোদন করানোর পর ইইউ পার্লামেন্ট ও সদস্য দেশগুলিকেও সেই চুক্তি অনুমোদন করাতে হবে৷ তবেই চুক্তিহীন ব্রেক্সিট এড়ানো সম্ভব হবে৷ অথবা ব্রিটিশ সরকারকে এই সময়সীমা আবার পেছানোর আবেদন করতে হবে৷ আগাম সংসদ নির্বাচন ও ব্রেক্সিট পুরোপুরি বাতিল করার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না৷

-জেডসি