ঢাকা, শনিবার ২০, এপ্রিল ২০২৪ ১৯:১৪:২২ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
চট্টগ্রামে আজ শুরু উইম্যান এসএমই এক্সপো হাসপাতালের কার্ডিয়াক আইসিইউ পুড়ে ছাই, রক্ষা পেল ৭ শিশু সবজির বাজার চড়া, কমেনি মুরগির দাম সারা দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি

ভালো ঘুমের জন্যে যা করবেন!

অনলাইন ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৫:৪৫ পিএম, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯ রবিবার

ছবি: ইন্টারনেট

ছবি: ইন্টারনেট

রাতে ঘুম না হওয়া বা মাঝরাতে ঘুম ভেঙে গেলে আর ঘুম না আসা-এ সমস্যাকে ইনসোমনিয়া বা অনিদ্রা বলা হয়। ঘুম না হওয়া কোনো রোগ নয়, তবে ঘুম না হলে নানা রোগ আক্রমণ করতে পারে। কিন্তু যখন দিনের পর দিন বা সপ্তাহে ভালো ঘুম হয় না, তখন আপনি কী করবেন?

অবশ্য ঘুম না হওয়ার জন্য আমরা নিজেরাই দায়ী। ঘুম কম হলে শরীরে নানা রকম সমস্যা সৃষ্টি হয়। ফ্রেশ ঘুম হলে সারাটা দিন ভালো যায়।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির গবেষণায় জানা গেছে, একজন সুস্থ মানুষের জন্য ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানো উচিৎ। তা না হলে মস্তিষ্কে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে। আর এই থেকে হতে পারে বড় ধরনের কোনো ক্ষতি।

ভালো ঘুমের জন্যে যা করবেন

প্রথমেই স্থির করুন যে ঘুমাবেন। প্রয়োজনে মোবাইল ফোনে এলার্ম দিয়ে রাখুন যাতে এই এলার্ম আপনাকে ঘুম থেকে ডেকে দেবার পাশাপাশি কখন ঘুমাতে যেতে হবে সেটাও জানিয়ে দেয়।

অপরিচ্ছন্ন বিছানায় ঘুম আসতে যতটুকু সময় লাগে পরিষ্কার বিছানায় তার তিনগুণ আগে ঘুম আসে। ঘুমাতে যাবার আগে সম্ভব ভালোমতো হাতমুখ ধুয়ে নিন। চাইলে গোসলও করে নিতে পারেন। এতে ক্লান্তি দূর হবে ও ফ্রেশ ঘুম হবে। ১০০ থেকে উল্টাদিকে গণনা শুরু করুন। এভাবে ঘুম আসা পর্যন্ত গুণতে থাকুন।

খেলাধুলা করুন আর প্রচুর পরিমাণে হাঁটুন। পরিশ্রম করুন। পারলে বিকেলে দৌড়ানোর অভ্যাস করুন। বিভিন্নপ্রকার শারীরিক ব্যায়াম করুন। প্রয়োজন হলে জিমে যান। সারাদিন অনেক পরিশ্রম করলে রাতে এমনিতেই ঘুম চলে আসবে।

ঘুমানোর আগে ফেসবুক ব্যবহারের কথা ভাববেনও না। পাশাপাশি মোবাইলের ডিসপ্লের নীল আলো আপনার ঘুমের বারোটা বাজাবে। এতে করে মস্তিষ্ক ক্লান্ত হবার বদলে বরং আরো সক্রিয় হয়ে যাবে। যা ঘুম আসার পুরো প্রক্রিয়াটিকে নষ্ট করে দেবে। ঘুমাতে গিয়ে নো ফেসবুকিং, নো চ্যাটিং। বাকি সব বাদ।

সন্ধ্যার পর চা, কফি বা স্নায়ুকে উত্তেজিত করে এমন কোনও প্রকার পানীয় খাবেন না।

ঘুম না এলে অনেকে মোবাইল বা কম্পিউটার নিয়ে সময় কাটান। ঘুম হওয়া বা ঘুম থেকে জেগে ওঠার ব্যাপারটি নিয়ন্ত্রণ করে মেলাটোনিন হরমোন। যার নিঃসরণ আলোর উপস্থিতিতে বাধাপ্রাপ্ত হয়। অনেকেই বিছানায় শুয়ে কাজ করেন। ফোনে কথা বলেন, ফোনের গেমস খেলেন, মুভি দেখেন, আবার কেউ শুয়ে বই পড়তে থাকেন। অনেকে আবার অফিসের কাজ নিয়েও বসে পড়েন। যদি অনিদ্রার সমস্যা থাকে তবে আজ থেকেই এসব কাজ করা বন্ধ করুন।

প্রতিদিনের অভ্যাসের প্রতি খেয়াল রাখুন। আপনার কিছু অভ্যাস এই অনিদ্রা সমস্যাকে আরো বাড়িয়ে তুলতে পারে। বই পড়তে পারেন বা সফট মিউজিক শুনতে পারেন।

ভালো ঘুমের জন্য দরকার পরিবেশ। তাই খেয়াল রাখুন আপনার ঘরটি যেন শান্ত, অন্ধকার ও আরামদায়ক হয়। আর আপনি যতই রাতে না ঘুমিয়ে দিনে বেশিক্ষণ ঘুমান না কেনো, রাতের ঘুম কখনই সমান হবে না। ঘুম না হলে যারা ঘুমর ওষুধ খাচ্ছেন তারা নিজেরাই নিজেদের বিপদ ডেকে আনছেন। অনেক রোগের লক্ষণ ঘুমের সমস্যা।

আপনি যখন ঘুমিয়ে থাকেন তখন আপনার শরীরের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কাজ করে এমনকি আপনার মস্তিষ্কের নিউরন ও শরীরের রক্ত এবং হরমোনগুলো তাদের কার্যকলাপ সম্পন্ন করে থাকে। সর্বদা চেষ্টা করুন ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস ঠাণ্ডা পানি পান করা। এতে আপনার শরীর স্বাভাবিকভাবে ফিট থাকবে।

-জেডসি