ঢাকা, শনিবার ২০, এপ্রিল ২০২৪ ১৮:৩৮:১২ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
চট্টগ্রামে আজ শুরু উইম্যান এসএমই এক্সপো হাসপাতালের কার্ডিয়াক আইসিইউ পুড়ে ছাই, রক্ষা পেল ৭ শিশু সবজির বাজার চড়া, কমেনি মুরগির দাম সারা দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি

মাত্রাতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ ৪৫ ভাগ আলসারের জন্য দায়ী

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৩২ এএম, ২৩ মে ২০২২ সোমবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

ব্যবস্থাপনাপত্র ছাড়া দেশে গ্যাস্ট্রিকের বড় অংশ ওষুধ বিক্রি হচ্ছে জানিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, মাত্রাতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ সেবন ৪৫ শতাংশ আলসারের জন্য দায়ী।

রোববার (২২ মে) সকালে বিএসএমএমইউতে ‘ওভারইউজ অব পিপিআই’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপাচার্য। এ অবস্থায় যত্রতত্র গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ ব্যবহার কমাতে নীতিমালা প্রণয়নের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

উপাচার্য বলেন, প্রোটন-পাম্প ইনহিবিটর (পিপিআই) বা গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ মাত্রাতিরিক্ত খাবার ফলে ৪৫ শতাংশ গ্যাস্ট্রিক আলসার হয়। এতে মাইক্রো নিউক্রিয়েন্ট লস হচ্ছে। ফলে দেহের ফ্রাকচার হয়। ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, বিটামিন -১২, আয়রন এই পিপিআই ব্যবহারে ডিফিসিয়েন্ট হচ্ছে। তাই বলে এসব রোগের ভয়ে হঠাৎ করে পিপিআই বন্ধ করা যাবে না।

পিপিআই ক্রমে দুই সপ্তাহ, এক সপ্তাহ করে কমিয়ে, দিনে একটি, দুদিন পরে আরেকটি করে ওষুধ দেয়া যেতে পারে। আমরা যদি শৃঙ্খলভাবে চলাফেরা করি তাতেও এসিডিটি হবে না। এসিডিটি না হলে ওষুধ খাওয়া লাগবে না। ওষুধ খাওয়া হলে আরেকটি রোগ তৈরি করা। একটি রোগের জন্য ওষুধ খেলে আরেকটি রোগের সৃষ্টি হতে পারে।

ওষুধের অতি ব্যবহারের বিষয়ে সতর্ক করে শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা দেখছি বাংলাদেশের মানুষ রাস্তাঘাটে পণ্যের মত ওষুধ কিনে থাকে। অনেকে আবার ফার্মাসিতে গিয়ে দামি ওষুধ কিনে থাকেন। অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের ফলে আমরা অ্যান্টিবায়োটিক খেয়ে যে অবস্থায় রয়েছি, তাতে দেশে ২০৫০ সালের মধ্যে অ্যান্টিাবায়োটিকের অতিরিক্ত ব্যবহারে করোনার চেয়ে বেশি লোক মারা যাবে। আমাদের অনেকে যখন তখন স্টোরয়েড কিনে খাই। স্টোরয়েড খেয়ে মোটাতাজা হই। কিন্তু তার ভবিষ্যৎও খারাপ।’

সেমিনারে মাঙ্কিপক্সের বিষয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সকলকে সতর্ক হওয়ার এবং করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. রাজীবুল আলম। তিনি বলেন, ‘গ্যাস্ট্রিকের ওষুধের বড় অংশ বিক্রি হচ্ছে ব্যবস্থাপত্র ছাড়া। রোগীর একটু পাতলা পায়খানা, মাথা ব্যথা, পিঠে ব্যথাসহ নানা জটিলতা দেখা দিলে ফার্মেসি দোকানিরা গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ দিচ্ছেন। এই ক্ষেত্রেই একটু পানি পান করালে বা হালকা কিছু ওষুধ ব্যবহার করলে এই সমস্যা সমাধান করা যেত। দীর্ঘদিন ধরে এই ব্যবস্থাপত্র ও চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ সেবনের কারণে শরীরে নানা ধরনের জটিলতা দেখা দিচ্ছে। গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ সেবনের কারণে গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সার, স্মৃতিভ্রম মতো ঘটনা ঘটতে পারে এমনকি ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম কমে আসতে পারে।’

নীতিমালার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে রাজীবুল আলম বলেন, ‘রোগীর প্রয়োজন পড়লে অবশ্যই এ ধরনের ওষুধ ব্যবস্থাপনা লিখতে হবে কিন্তু অপ্রয়োজনীয় অতিমাত্রায় ব্যবহার কমিয়ে আনতে হবে। যত্রতত্র এবং অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ ব্যবহার কমাতে নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ বিক্রি বন্ধ করতে হবে।’

নিউরোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ সবুজের সঞ্চালনায় প্রবন্ধের উপর অন্যান্যদের মধ্যে আলোচনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ- উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. এ কে এম মোশাররাফ হোসেন, উপ উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন, ফার্মাকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান প্রমুখ।