ঢাকা, শনিবার ২০, এপ্রিল ২০২৪ ৫:৩৭:০০ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
হাসপাতালের কার্ডিয়াক আইসিইউ পুড়ে ছাই, রক্ষা পেল ৭ শিশু সবজির বাজার চড়া, কমেনি মুরগির দাম সারা দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি কৃষক লীগ নেতাদের গণভবনের শাক-সবজি উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি শিশু হাসপাতালের আগুন সম্পূর্ণ নিভেছে

মায়ের কোলে চড়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে সাথী

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১০:৫৬ পিএম, ১৭ নভেম্বর ২০১৯ রবিবার

মায়ের কোলে চড়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে গেল সাথী খাতুন। তার পা আছে, কিন্তু হেঁটে চলার শক্তি নেই। জন্ম থেকে শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী। কিন্তু দমে যায়নি সে, শিক্ষা লাভের অদম্য আকাঙ্ক্ষা আছে তার। হেঁটে চলার শক্তি না থাকায় পরীক্ষা কেন্দ্রে আসতে হয়েছে মায়ের কোলে চড়ে।

বগুড়ার ধুনট উপজেলার ভূতবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষার্থী সাথী খাতুনকে ঘিরেই ছিল কেন্দ্রের সবার দৃষ্টি।

আজ রোববার সকালে সাথীকে কোলে নিয়ে ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ৫ নম্বর কক্ষের বেঞ্চে বসিয়ে দিয়ে আসেন তার মা রিনা খাতুন। পরীক্ষা শেষে আবার তাকে কোলে নিয়ে বাড়ি ফেরেন তিনি।

সাথীর বাবা উপজেলার ভূতবাড়ি গ্রামের শফিকুল ইসলাম পেশায় একজন বর্গাচাষী। আর রিনা খাতুন গৃহিনী। এ দম্পতির ঘরে ২০০৪ সালে জন্ম নেয় সাথী। তিন ভাই-বোনের মধ্যে সাথী সবার ছোট। জন্ম থেকেই শারীরিক প্রতিবন্ধী সে। নিজের দুপায়ে ভর করে দাঁড়াতে পারে না। শক্তি না থাকায় বাম হাতটিও অচল।

ক্ষুদে এই শিক্ষার্থী বড় স্বপ্ন নিয়ে এসব প্রতিবন্ধকতা মাড়িয়ে লেখাপড়ার প্রতি ঝুঁকে পড়েছে। বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরের বিদ্যালয়ে মায়ের কোলে চড়েই নিয়মিত যাতায়াত করেছে সাথী।

ভূতবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইদুল ইসলাম বলেন, প্রতিবন্ধী হলেও মায়ের কোলে চড়ে নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসে সাথী খাতুন। লেখাপড়ার প্রতি অদম্য আগ্রহ থাকায় বিশেষ সতর্কতার সঙ্গে তাকে লেখাপড়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। সব সময় তাকে যত্নের সঙ্গে পাঠদান দেওয়া হয়।

আজ ইংরেজি বিষয়ের পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সাথী জানায়, মায়ের কোলে চড়ে এক সময় রাস্তায় বের হলে মানুষ বিদ্রুপের চোখে তাকিয়ে থাকত। তবে এখন পরিস্থিতি উল্টো। লেখাপড়া করার কারণে মানুষ তাকে ভীষণ ভালবাসে।