ঢাকা, শুক্রবার ২৯, মার্চ ২০২৪ ২১:৪০:৪৩ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
টাঙ্গাইলে শাড়ি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তাঁতীরা রমজানের অর্ধেকেও কমেনি মাছ ও মাংসের দাম সেতু থেকে খাদে পড়ে বাসে আগুন, নিহত ৪৫ রমজানের অর্ধেকেও কমেনি মাছ ও মাংসের দাম ঈদযাত্রা: ৮ এপ্রিলের ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে আজ বিশ্বে প্রতিদিন খাবার নষ্ট হয় ১০০ কোটি জনের বাসায় পর্যবেক্ষণে থাকবেন খালেদা জিয়া

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আইসিজে’র রায় নিয়ে আশাবাদী বাংলাদেশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:৩৬ পিএম, ২৩ জানুয়ারি ২০২০ বৃহস্পতিবার

ছবি: ইন্টারনেট

ছবি: ইন্টারনেট

রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ ঘোষণা করবেন জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে)। এই আদেশের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে যে অবিচার হয়েছে সেটির ন্যায়বিচার পাওয়ার পথ সহজ ও প্রশস্ত হবে বলে মনে করে বাংলাদেশ।

আজ বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) গাম্বিয়ার বিচার মন্ত্রণালয় এক টুইট বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে।

মিয়ানমারে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চলছে এমন অভিযোগে গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মামলা করে গাম্বিয়া। মামলায় বলা হয়, মিয়ানমার ১৯৪৮ সালের জেনোসাইড কনভেনশন লঙ্ঘন করেছে।

২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের বেশ কয়েকটি সেনা পোস্টে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাখাইনে এ অভিযান শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী।অভিযানের নামে রোহিঙ্গাদের বাড়ি-ঘরে আগুন, নির্বিচারে রোহিঙ্গাদের হত্যা এবং নারীদের গণধর্ষণ করা হয়। মিয়ানমার সেনাদের নির্যাতন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় সাত লাখ ৩০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম।

রোহিঙ্গা সমস্যা সংক্রান্ত বিষয়ে যুক্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা কোর্টে উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনেছি। মিয়ানমার তাদের যুক্তি জোরালোভাবে তুলে ধরতে পারেনি। আমরা আশা করছি যে পাচঁটি বিষয়ের জন্য অন্তবর্তীকালীন আদেশ চাওয়া হয়েছে তার সবগুলো না হলেও একটি বড় অংশের জন্য আদেশ দেবেন আদালত।

যে বিষয়গুলোর জন্য অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ চাওয়া হয়েছে সেগুলো হচ্ছে গণহত্যা বন্ধের জন্য মিয়ানমার অবিলম্বে ব্যবস্থা নেবে; মিলিটারি, প্যারামিলিটারি ও বেসামরিক অস্ত্রধারী ব্যক্তি কোনও ধরনের গণহত্যা না চালাতে পারে সে ব্যবস্থা নেওয়া; মিয়ানমার গণহত্যা সংক্রান্ত কোনও ধরনের প্রমাণ নষ্ট করবে না; এবং বর্তমান পরিস্থিতিকে আরও বেশি জটিল ও খারাপ করে এমন কোনও কাজ করবে না। পঞ্চম বিষয়টি হচ্ছে আদেশের পরে আগামী ৪ মাসের মধ্যে উভয়পক্ষ তাদের নেওয়া পদক্ষেপ কোর্টকে অবহিত করবে।

রাখাইনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর সামরিক বাহিনীর নির্যাতনের মাধ্যমে মিয়ানমার গণহত্যা প্রতিরোধ ও শান্তি কনভেনশন ভঙ্গ করেছে বলে গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক আদালতে অভিযোগ করে গাম্বিয়া। প্রায় ৫০ পাতার ওই আবেদনে রোহিঙ্গারা রাখাইনে বর্বরোচিত হামলার শিকার হয়েছে এবং এর ফলে গণহত্যার মতো অপরাধ সংগঠিত হয়েছে এই বিষয়টি উল্লেখ করে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে গাম্বিয়া। যেহেতু এ ধরনের মামলা অনেকদিন ধরে চলে সে জন্য ওই একই আবেদনে পাচঁটি বিষয়ে কোর্টের কাছে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ চায় দেশটি। এ বিষয়ে শুনানি হয় ডিসেম্বরের ১০ থেকে ১২ তারিখে। সেখানে গাম্বিয়া ও মিয়ানমার অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের পক্ষে ও বিপক্ষে যুক্তি তর্ক উপস্থাপন করে।

-জেডসি