ঢাকা, শুক্রবার ১৯, এপ্রিল ২০২৪ ৮:৩০:২৮ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই দেশ আরও উন্নত হতো টাইমের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা নান্দাইলে নারী শ্রমিককে কুপিয়ে হত্যা তীব্র গরমে জনজীবনে দুর্ভোগ, বাড়ছে জ্বর-ডায়রিয়া কারাগার থেকে সরিয়ে গৃহবন্দী অবস্থায় সুচি কৃষকরাই অর্থনীতির মূল শক্তি: স্পিকার মধ্যপ্রাচ্যের দিকে নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

‘যত্ন’ বাড়িয়ে দিয়েছে যত্নের হাত

অনলাইন ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১০:৫৯ এএম, ৪ নভেম্বর ২০১৯ সোমবার

‘যত্ন’ বাড়িয়ে দিয়েছে যত্নের হাত

‘যত্ন’ বাড়িয়ে দিয়েছে যত্নের হাত

দেশের হতদরিদ্র পরিবারের অন্তঃসত্ত্বা নারীর স্বাস্থ্য ও পুষ্টি, শিশুর পুষ্টি এবং মনোদৈহিক বিকাশে মা ও শিশুর কল্যাণে ‘যত্ন’ নামের একটি প্রকল্প কাজ করছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ স্থানীয় সরকার বিভাগ অতিদরিদ্রদের জন্য আইএসপিপি-যত্ন প্রকল্পের মাধ্যমে আয় সহায়ক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

এই কার্যক্রম দেশের ৭টি জেলার ৪৪৩টি ইউনিয়নে এরই মধ্যে বেশ সাড়া জাগিয়েছে। ‘যত্ন’ কার্যক্রম রংপুর ও ময়মনসিংহের হতদরিদ্র পরিবারগুলোতে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। প্রকল্পটি এই দু’জেলার ৬ লাখ মা ও শিশুর কল্যাণে বাস্তবায়িত হচ্ছে।

প্রকল্পের আওতায় অন্তঃসত্ত্বা নারীর স্বাস্থ্য ও পুষ্টি, শিশুর পুষ্টি এবং মনোদৈহিক বিকাশে নগদ আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এ কারণে মানব সম্পদ উন্নয়নে এবং পরিবারগুলোর উপার্জন সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

এই প্রকল্প পুরোপুরি বাস্তবায়ন হলে ৬ লাখ নারী শিশু এবং তাদের পরিবার দারিদ্র্য হতে মুক্তি লাভ করবে। উপকারভোগী মায়েদের সরাসরি নগদ অর্থ প্রদানের ফলে পরিবারে নারীর ক্ষমতায়নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

এতে সমাজে নারীদের আত্ন-নির্ভরশীলতা বৃদ্ধি পাবে। একই সাথে দারিদ্র্য বিমোচনেও সহায়ক ভূমিকা রাখবে। এর ফলে স্থানীয় পর্যায়ে সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কার্যক্রম বাস্তবায়নে ইউনিয়ন পরিষদের সক্ষমতাও বৃদ্ধি পাবে ।

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে রংপুর বিভাগের গাইবান্ধা জেলার ৭টি উপজেলার ৮২টি ইউনিয়নে, কুড়িগ্রাম জেলার ৯টি উপজেলার ৭২টি ইউনিয়নে, লালমনিরহাটের ১টি উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে এবং নীলফামারী উপজেলার ১১টি ইউনিয়নসহ মোট ১৮টি উপজেলা এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।

এছাড়া ময়মনসিংহ বিভাগের ময়মনসিংহের ১৩টি উপজেলার ১৪৬টি ইউনিয়নে, জামালপুরের ৭টি উপজেলার ৬৮টি ইউনিয়নে এবং শেরপুর জেলার ৫টি উপজেলার ৫২টি ইউনিয়নে এই প্রকল্প কার্যক্রম সেপ্টেম্বর মাসে শুরু হয়েছে।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে ইনকাম সাপোর্ট প্রোগ্রাম ফর দ্যা পুয়োরেস্ট (আইএসপিপি) যত্ন নামের এই প্রকল্পটি ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে ২০২০ সালের জুন মাসে শেষ হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু তথ্য না পাওয়ার কারণে তা পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা যায়নি। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৩৭৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এরমধ্যে বিশ্ব ব্যাংক ২ হাজার ৩৪০ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করছে। বাকী ৩৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা জিওবি তহবিল থেকে ব্যয় হবে বলে উপপ্রকল্প পরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম জানান।

তিনি আরও জানান, ২০১৮ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ৪৪৩টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪টি ইউনিয়নে বিকল্প উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কার্যক্রম চালু হয়েছে। রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের ৭টি জেলার ৪৩টি উপজেলায় অতিদরিদ্র অন্তঃসত্ত্বা নারী ও শূন্য থেকে ৬০ মাস বয়সী শিশুদের পুষ্টি ও মনোদৈহিক বিকাশ সাধন এবং সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কার্যক্রম পরিচালনায় ইউনিয়ন পরিষদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে এই প্রকল্পটির মাধ্যমে প্রায় ৬ লাখ নারী-শিশু উপকৃত হবে। সঠিক সময়ে তথ্য না পাওয়ার কারণে এই প্রকল্পটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শুরু করা করা যায়নি।

অতিদরিদ্র পরিবারের অন্তঃসত্ত্বা নারী এবং ৫ বছরের কম বয়সী প্রথম ও দ্বিতীয় শিশু এবং তাদের মা যারা ৪ বার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য প্রতিবার ২০০টাকা করে মোট ৮০০ টাকা দেওয়া হবে। জন্মের পর দু’বছর পর্যন্ত ওজন ও উচ্চতা পরিমাপের জন্য প্রতিমাসে ৫০০ টাকা দেওয়া হবে। এছাড়াও দু’বছর থেকে ৫ বছর পর্যন্ত প্রতি তিন মাস অন্তর শিশুর ওজন ও উচ্চতা মাপের জন্য ১০০০ টাকা করে দেওয়া হবে বলে প্রকল্প কর্মকর্তা জানান।

তিনি জানান, এই প্রকল্প কার্যক্রম বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে প্রকল্প পরিচালক সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসনকে তাগিদ দিয়েছেন। এছাড়া প্রকল্পের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদানের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিবের নেতৃত্বে প্রজেক্ট স্টিয়ারিং কমিটি রয়েছে এবং প্রতিটি জেলায় জেলা প্রশাসক, উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নেতৃত্বে ইউনিয়ন কমিটি এই প্রকল্প উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির দায়িত্ব পালন করবে।

সূত্র : বাসস