ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৮, মার্চ ২০২৪ ২৩:১০:৫৪ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
বিশ্বে প্রতিদিন খাবার নষ্ট হয় ১০০ কোটি জনের বাসায় পর্যবেক্ষণে থাকবেন খালেদা জিয়া ট্রেনে ঈদযাত্রা: ৭ এপ্রিলের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু গাজায় নিহত বেড়ে ৩২ হাজার ৪৯০ অ্যানেস্থেসিয়ার ওষুধ বদলানোর নির্দেশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঈদ কেনাকাটায় ক্রেতা বাড়ছে ব্র্যান্ড শপে বাঁচানো গেল না সোনিয়াকেও, শেষ হয়ে গেল পুরো পরিবার

ভিক্টোরিয়া দ্যা গ্রেট

অনু সরকার | উইমেননিউজ২৪.কম

আপডেট: ১২:১৯ এএম, ২ জুলাই ২০১৮ সোমবার

১৮৩৭ সালের ২৮ জুন আজকের দিনে মাত্র ১৮ বছর বয়সে ব্রিটিশ সিংহাসনে বসেছিলেন তিনি। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সূর্য কখনো অস্ত যায় না, এ কথার প্রচলন হয়েছিল তার সময়ে। এত অল্পবয়সী রানীর সিংহাসনে আরোহণের এ ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হতে চার লাখের মত মানুষ হাজির হয়েছিল। অল্প বয়সী একটি মেয়ে ব্রিটিশ সিংহাসনে বসতে চলেছে এটি অনেকের কাছেই আগ্রহের বিষয়ে পরিণত হয়েছিল। তিনি বৃটেনের নারী ভিক্টোরিয়া। প্রায় সারা পৃথিবীজুড়ে সাম্রাজ্য ছিলো তার। 

 

ইতিহাসের সবচেয়ে বিখ্যাত রানীদের একজন তিনি। তার সময়েই ব্রিটেনে শিল্পায়নসহ নানা ক্ষেত্রে নাটকীয় সব পরিবর্তন এসেছিল। গণতন্ত্রের হাওয়ায় রাজতন্ত্র যখন বিলুপ্তির হুমকিতে তখন রানী ভিক্টোরিয়া রাজতন্ত্রকে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করান।

 

১৯০১ সালে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত ৬৩ বছর ধরে পর্যন্ত সাম্রাজ্য শাসন করে গেছেন তিনি। এটি ছিল তখন পর্যন্ত সবচেয়ে দীর্ঘ সময় কোন রাজা বা রানীর ব্রিটেন শাসন করার ঘটনা। অবশ্য ব্রিটেনের বর্তমান রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ সে রেকর্ড অতিক্রম করে ফেলেছেন।

 

রানী ভিক্টোরিয়ার পথচলা : রানী ভিক্টোরিয়া এমন একটি সময়ে ব্রিটিশ সিংহাসনে আরোহণ করেন যখন ব্রিটিশ রাজনীতিতে বাকিংহাম প্যালেসের (ব্রিটেনের রাজ প্রাসাদ) ভূমিকা কি হবে তা নিয়ে নানা সংশয় তৈরি হয়েছিল। তার চাচারা ব্রিটিশ সিংহাসনে বসে অর্থের অপচয়ের জন্য বেশ সমালোচিত হয়েছিলেন।এমনকি ব্রিটেনে রাজতন্ত্র টিকবে কিনা না সেটিও অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।

 

কিন্তু রানী ভিক্টোরিয়া শক্ত হাতে হাল ধরে জনকল্যাণমূলক কাজের মাধ্যমে রাজ পরিবারের ওপর মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনেন। তার হাতেই ব্রিটিশ রাজনীতিতে রাজ পরিবারের ভূমিকা নতুন করে নির্ধারিত হয়েছিল। ৪ ফুট ১১ ইঞ্চি উচ্চতার রানী ছিলেন পুরো ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের স্তম্ভের মত। তিনি তার স্বামী অ্যালবার্ট এবং নয় ছেলেমেয়ে হয়ে ওঠেন নতুন যুগের প্রতীক। তার আমলেই ব্রিটেনে সাংবিধানিক রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। ব্রিটিশ সমাজে রানী ভিক্টোরিয়ার প্রভাবের কারণেই ব্রিটেনে রাজতন্ত্রের ধারাবাহিকতা নিশ্চিত হয়।

 

রানী ভিক্টোরিয়ার শাসনামলটি ইতিহাসে ভিক্টোরীয় যুগ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আসছে। তার সময়েই ব্রিটিশ সংস্কৃতিতে নাটকীয় সব পরিবর্তন আসে। তার সময়কার আসবাব, পোশাক, দালানকোঠা সবকিছুর ক্ষেত্রেই ‘ভিক্টোরীয়’ বিশেষণ ব্যবহৃত হয়। ভিক্টোরিয়ান পোশাক অর্থ এই নয় রানী ভিক্টোরিয়া তা পরেছেন। রানী ভিক্টোরিয়ার শাসনামলের ফ্যাশনই ভিক্টোরীয় পোশাক হিসেবে পরিচিত।

 

রানী ভিক্টোরিয়ার শাসনামলেই সবচেয়ে বেশি বিস্তৃতি ঘটেছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সূর্য অস্ত যায় না- এ কথার প্রচলন তখনই হয়েছিল। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, শিল্পায়ন, বাষ্পীয় ইঞ্জিন এবং রেলের প্রসার, ব্রিটেনের পাতাল রেল এসব কিছুই ঘটেছিল রানী ভিক্টোরিয়ার শাসনামলে।

 

ইউরোপের সবাই রানীর আত্মীয় : রানী ভিক্টোরিয়ার বাবা ছিলেন ব্রিটিশ রাজ পরিবারের সন্তান আর মা ছিলেন জার্মান রাজ পরিবারের সন্তান। রানীর নয় ছেলেমেয়ের সবাই ইউরোপের বিভিন্ন দেশের রাজকুমার ও রাজকুমারীদের বিয়ে করেন। কয়েক বছরের মধ্যেই পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে ইউরোপের প্রায় প্রতিটি রাজ পরিবারে রানী ভিক্টোরিয়ার নাতি-নাতনী কিংবা পুতি রয়েছে। ইউরোপের রাজপরিবারগুলোর সাথে আত্মীয়তার এ সম্পর্ককে কূটনৈতিকভাবেও ব্যবহার করেছিলেন তিনি। ফলে তার শাসনকালে যুদ্ধ এড়িয়ে অনেকটা স্থিতিশীল সময় কাটিয়েছে ব্রিটেন।

 

জন্ম ও বেড়ে ওঠা : ১৮১৯ সালের ২৪ মে লন্ডনের কেনসিংটন প্রাসাদে তার জন্ম হয়। পুরো নাম আলেকজান্দ্রিনা ভিক্টোরিয়া, মা ডাকতেন দ্রিনা বলে। তিনি ছিলেন ডিউক অব কেন্ট এডওয়ার্ডের একমাত্র সন্তান। এই এডওয়ার্ড ছিলেন রাজা তৃতীয় জর্জের চতুর্থ পুত্র। ১৮২০ সালে ভিক্টোরিয়ার বয়স যখন একবছরও পূর্ণ হয়নি তখন বাবা এডওয়ার্ড মারা যান। এরপর মা একাই তাকে বড় করে তোলেন।

 

ভিক্টোরিয়া কখনো স্কুলে যাননি। তার জন্য একজন জার্মান গৃহশিক্ষিকা রাখা হয়েছিল। ছোট থেকেই জার্মান এবং ইংরেজি দু’ভাষাতেই পারদর্শী হয়ে ওঠেন তিনি। ভিক্টোরিয়াকে কখনোই একা থাকতে হয়নি। কিন্তু তবু তিনি ছিলেন একা। সমবয়সী কারো সাথে মেশার সুযোগ তার কখনো হয়নি।

 

প্রাসাদে কঠোর নিয়ন্ত্রণের মধ্যে বেড়ে ওঠা রানীর একান্ত সময় বলে কিছু ছিল না। রাজকর্মকর্তা জন কনরি ভিক্টোরিয়ার শৈশবকে দুর্বিষহ করে তুলেছিলেন। রানীর মুকুট মাথায় দেয়ার পর ভিক্টোরিয়ার প্রথম নির্দেশ ছিল এক ঘণ্টা একা থাকতে দাও। মা’কে দূরের একটি কক্ষে থাকার ব্যবস্থা করেন আর জন কনরিকে নিষিদ্ধ করেন।

 

সিংহাসনে আরোহণ : ১৮৩৭ এর জুনে রাজা চতুর্থ উইলিয়াম মারা যাওয়ার পর খুব সকালে ভিক্টোরিয়াকে বলা হয় তিনি এখন ‘ব্রিটেনের রানী’। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ রানীর সাথে দেখা করেন। ২৮ জুন ছিল রানীর সিংহাসনে বসার দিন। প্রথা অনুযায়ী ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবেতে রানীর মাথায় মুকুট পরিয়ে দেয়া হয়। উপস্থিত জনতা ‘রানী দীর্ঘজীবী হোক’ বলে স্লোগান দিতে থাকে। পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলেছিল এ অনুষ্ঠান।

 

বিয়ে : ভিক্টোরিয়ার শপথ গ্রহণের দু’বছর বছর পর ১৮৩৯ সালে ভিক্টোরিয়ার ১৭তম জন্মদিনে জার্মানি থেকে তার আত্মীয়রা বেড়াতে আসে। তাদের মধ্য ছিলেন তার খালাতো ও মামাতো ভাই-বোনেরা। এদের মধ্যে মামাতো ভাই অ্যালবার্টকে খুব পছন্দ করেছিলেন ভিক্টোরিয়া। এই অ্যালবার্টকেই রানী হওয়ার পর ভিক্টোরিয়া বিয়ে করেন। সব প্রথা ভেঙে রানীই তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কারণ কারো পক্ষে ব্রিটেনের রানীকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়া সম্ভব ছিল না। পরের বছর অর্থাৎ ১৮৪০ সালে তারা বিয়ে করেন। বিয়ের পর প্রতিদিন একসাথে কাজ করতেন তারা। তাদের ডেস্কগুলো ছিল পাশাপাশি। প্রতিদিন ব্রিটিশ সরকারের প্রচুর কাগজপত্র দেখতে হত রানীকে। ১৮৪১ সালে রানীর প্রথম সন্তান ভিকির জন্ম হয়। মোট নয় ছেলেমেয়ের জন্ম হয়েছিল তাদের ঘরে।

 

অ্যালবার্ট কখনোই ব্রিটেনের রাজা হননি। ১৮৬১ সালে ৪২ বছর বয়সে মারা যান। ভিক্টোরিয়া ভীষণ ভেঙে পড়েন। তিনি মানুষের সাথে সাক্ষাত বন্ধ করে দেন। সে সময় ব্রিটেনের লোকেরা শোকের প্রতীক হিসেবে কিছুদিন কালো পোশাক পরত। কিন্তু রানী ভিক্টোরিয়া বাকি জীবনের পুরো সময় কালো পোশাক পরে কাটিয়েছেন এবং অ্যালবার্টের কক্ষ তার জীবিতাবস্থায় যেভাবে ছিল সেভাবেই রেখে দিয়েছিলেন।

 

তারা বড়দিনের অনুষ্ঠান বেশ ঘটা করে উদযাপন করতেন। খ্রিস্টমাস ট্রি এবং মোমবাতি ছিল অ্যালবার্টের খুব পছন্দ। তাদের দেখাদেখি ব্রিটেনের বহু বাড়িতে বড়দিনের অনুষ্ঠান খ্রিস্টমাস ট্রি দিয়ে সাজানো শুরু হয়ে যায়। বড়দিন উপলক্ষে শুভেচ্ছা কার্ড পাঠানো, প্রাসাদের ভৃত্যদের উপহার দেয়া এবং বিশেষ রান্নার চল শুরু হয়ে যায়।

 

অ্যালবার্টের উৎসাহে ১৮৫১ সালে লন্ডনের হাইড পার্কে সে সময়কার সবচেয়ে বড় কাচের ভবন ক্রিস্টাল প্যালেসে বিশাল এক প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। কাচের এ ভবনের ভেতর গাছপালা জন্মানোর ব্যবস্থা করা হয়। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নানা বিস্ময়কর উদ্ভাবনী যন্ত্রপাতি এখানে প্রদর্শিত হয়।

 

ব্রিটেনের আইন প্রণীত হত ব্রিটিশ সংসদে। সরকার কি করতে চলেছে তা জানাতে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীরা রানীর সাথে দেখা করতেন। সব প্রধানমন্ত্রীকে অবশ্য রানী পছন্দ করতেন না। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন ডিজরেইলিকে সবচেয়ে পছন্দ করতেন রানী ভিক্টোরিয়া। শুরুর দিকে জ্যেষ্ঠ মন্ত্রীদের সাথে কাজ করতে হলেও রানী সবসময় চাইতেন তাকে যেন ছোট মেয়ে হিসেবে না দেখে রানী হিসেবেই দেখা হয়।

 

ক্রিমিয়ার যুদ্ধ : 
১৮৫৪ থেকে ১৮৫৬ সময়কালে রাশিয়া ও তার তুর্কি মিত্রদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে ব্রিটেন ও ফ্রান্স প্রধানত রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত ক্রিমিয়ায় এ যুদ্ধ হওয়ায় এটি ক্রিমিয়ার যুদ্ধ নামে পরিচিত। যুদ্ধে হতাহত হওয়া ছাড়াও প্রচণ্ড শীত সৈনিকদের জন্য দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সে সময় সামরিক প্রসঙ্গে নাক গলানোর ক্ষমতা ব্রিটেনের রাজ পরিবারের ছিল না। তবু রানী ভিক্টোরিয়া সৈন্যদের শীত থেকে বাঁচাতে মোজাসহ নানা সাহায্য উপকরণ পাঠান। তিনি যুদ্ধে স্বামী হারানো নারীদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েও চিঠি লেখেন। এছাড়া সৈন্যদের সম্মানিত করতে পদক চালু করেন।

 

ভারতের রানী হওয়া :
ভারতে ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহে বহু ইউরোপীয় মারা যাওয়ার প্রেক্ষাপটে ব্রিটিশ সরকার ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছ থেকে সরাসরি ভারতের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। ১৮৭৭ সালে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে রয়েল টাইটেল অ্যাক্ট পাশের মাধ্যমে ভারতের সম্রাজ্ঞী হন রানী ভিক্টোরিয়া। উপনিবেশ ভারতকে রানীর খুবই পছন্দ হয়েছিল। গর্বের সাথে ভারতকে মুকুটের মণি হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।

 

রানীকে হত্যা চেষ্টা : ১৮৪০ সালে এডওয়ার্ড অক্সফোর্ড নামে এক ১৮ বছর বয়সী তরুণ লন্ডনের রাস্তায় রানীর ঘোড়ার গাড়ি লক্ষ্য করে দু’টি গুলি ছোঁড়ে। বিকৃত মস্তিষ্কের যুক্তিতে সে তরুণ ছাড়া পেয়ে যায়। ১৮৪২ সালে জন উইলিয়াম নামে আরেক তরুণ দু’বার রানীকে হত্যার ব্যর্থ চেষ্টা চালায়। সে তরুণও আইনের ফাঁক গলে বেরিয়ে যায়। ১৮৪৯ সালে এক ক্ষুব্ধ আইরিশ নাগরিক রানীর ঘোড়ার গাড়ির ওপর হামলা চালায়। পরের বছর রবার্ট পেট নামে এক অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা লাঠি নিয়ে রানীর ওপর হামলা চালান। ১৮৮২ সালে স্কটল্যান্ডের এক বিখ্যাত কবি রানীর ঘোড়ার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়েন। এটি ছিল রানীকে হত্যার লক্ষ্য তার তৃতীয় প্রচেষ্টা। তাকেও মস্তিষ্ক বিকৃতির অভিযোগে রেহাই দেয়া হয়। এসব হত্যা প্রচেষ্টা বরং রানীর জনপ্রিয়তা বাড়িয়েছিল।

 

মৃত্যু : স্বামী অ্যালবার্টের মৃত্যুর পর সরকারি দায়িত্ব থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন রানি। এমনকি সংসদ অধিবেশন ডাকতেও অস্বীকৃতি জানান। পত্রপত্রিকা রসিকতা করে লিখতে শুরু করে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে টু-লেট ঝুলছে। পরে অবশ্য রানী সরকারি দায়িত্ব পালন শুরুর মাধ্যমে আবার মানুষের আস্থা অর্জন করেন। ১৯০১ সালে স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে রানী ভিক্টোরিয়া মারা যান। এরপর তার বড় ছেলে এডওয়ার্ড সিংহাসনে বসেন।