ঢাকা, শনিবার ২০, এপ্রিল ২০২৪ ২:০৮:২৬ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
হাসপাতালের কার্ডিয়াক আইসিইউ পুড়ে ছাই, রক্ষা পেল ৭ শিশু সবজির বাজার চড়া, কমেনি মুরগির দাম সারা দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি কৃষক লীগ নেতাদের গণভবনের শাক-সবজি উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি শিশু হাসপাতালের আগুন সম্পূর্ণ নিভেছে

রেনু হত্যা: একজনের দায় স্বীকার

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৬:৩৭ পিএম, ২২ জুলাই ২০১৯ সোমবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর বাড্ডায় তাসলিমা বেগম রেনুকে পিটিয়ে হত্যার মামলায় গ্রেপ্তার চার আসামির একজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আরো তিন জনকে চার দিন হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে আদালত।

শনিবার রোমহর্ষক এই হত্যার পর গ্রেপ্তার করা হয় চার জনকে। আর রবিবার মধ্যরাতে গ্রেপ্তার জাফর বিচারকের কাছে দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। বাকি তিন আসামিকে চার দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ।

সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম ধীমান চন্দ্র মণ্ডল এই আদেশ দেন। পুলিশ আসামিদেরকে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়েছিল।

রিমান্ডে দেয়া আসামিরা হলেন বরগুনার তালতলী উপজেলার গাবতলী হাওলারদার বাড়ির শাহীন, ময়মনসিংহের ধোবাউরা উপজেলার দরশা গ্রামের বাচ্চু মিয়া ও উত্তর বাড্ডা কাঁচা বাজারের ফারুকের মুদি দোকানের কর্মী বাপ্পী।

শনিবার সকালে ঢাকার উত্তর বাড্ডার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তসলিমা রেনু নামে এক নারীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পদ্মাসেতু নিয়ে ছড়িয়ে দেওয়া উদ্ভট বক্তব্যের পর ছড়িয়ে পড়া ছেলেধরা গুজবের মধ্যে এই ঘটনা  ঘটে। পরে জানা যায়, রেনু তার চার বছর বয়সী সন্তানকে ভর্তি করতে স্কুলে গিয়েছিলেন। আর এই হত্যার একটি ভিডিও প্রকাশ হওয়ার পর তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়েছে।

সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, ছেলেধরা বলে বাইরে থেকে হট্টগোল শুরু হলে তিন থেকে চার মিনিটের মধ্যেই স্কুলের কিছু অভিভাবক ও বাইরে থেকে আসা উচ্ছৃঙ্খল মানুষে ভরে যায় জায়গাটি। এর পর হাতে গোনা কয়েকজন যুবক মাটিতে ফেলে নির্মমভাবে লাঠি দিয়ে পেটায় রেনুকে। কেউ কেউ এলোপাতাড়ি লাথিও মারছিল। শত শত মানুষ দর্শকের ভূমিকায় তা দেখছিল, কেউ আবার সেই মারধর মোবাইল ফোনে ভিডিও করছিল।

এ ঘটনায় নিহত রেনুর ভাগ্নে সৈয়দ নাসির উদ্দিন টিটু মামলা করার পর রবিবার রাতে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে পালিয়ে গেছেন প্রধান সন্দেহভাজন হৃদয়। এই মামলার আসামি চার থেকে পাঁচশ।

রিমান্ড শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে বাড্ডা থানার জেনারেল রেকর্ডিং অফিসার (জিআরও)এসআই লিয়াকত আলী বলেন, ‘একজন মাকে ছেলে ধরা সন্দেহে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজে আসামিরা এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত মর্মে দেখা গেছে। এ আসামিদের সঙ্গে আর কে কে ছিল তা জানার জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তার প্রার্থীত মতে ১০ দিনের রিমান্ড প্রয়োজন।’

অন্যদিকে আসামি মো. শাহীন ও মো. বাচ্চু মিয়া পক্ষে দুই জন আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। তাদের আসামিরা ঘটনায় জড়িত নয় বলে দাবি করেন তারা। শুনানি শেষে বিচারক জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আর আসামি বাপ্পির পক্ষে কোন আইনজীবী ছিল না।

মামলার বাদী নাসির উদ্দিন টিটু জানান, রেনু লেখাপড়া শেষে আড়ং ও ব্র্যাকে চাকরি করেন। স্কুলেও করেছেন শিক্ষকতা। প্রায় দুই বছর আগে স্বামী তসলিম হোসাইনের সঙ্গে তার বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। এর পর থেকে মায়ের সঙ্গে মহাখালীর ওয়্যারলেস গেটের একটি ভাড়া বাসায় ছেলে-মেয়ে নিয়ে বসবাস করছিলেন। ছেলেকে ছয় মাস আগে তার বাবা গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যান। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করা বড়ভাই আজগার আলীর কাছে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেলেন রেনু।

-জেডসি