ঢাকা, শুক্রবার ২৯, মার্চ ২০২৪ ১:৪৮:১৮ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
বিশ্বে প্রতিদিন খাবার নষ্ট হয় ১০০ কোটি জনের বাসায় পর্যবেক্ষণে থাকবেন খালেদা জিয়া ট্রেনে ঈদযাত্রা: ৭ এপ্রিলের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু গাজায় নিহত বেড়ে ৩২ হাজার ৪৯০ অ্যানেস্থেসিয়ার ওষুধ বদলানোর নির্দেশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঈদ কেনাকাটায় ক্রেতা বাড়ছে ব্র্যান্ড শপে বাঁচানো গেল না সোনিয়াকেও, শেষ হয়ে গেল পুরো পরিবার

রোহিঙ্গা গণহত্যা রোধে ব্যবস্থা নিতে মিয়ানমারকে নির্দেশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৪:১০ পিএম, ২৩ জানুয়ারি ২০২০ বৃহস্পতিবার

ছবি: ইন্টারনেট

ছবি: ইন্টারনেট

রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে গাম্বিয়ার করা মামলায় মিয়ানমারের আপত্তি খারিজ করে দিয়েছে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে)। অন্তর্বর্তী আদেশে আলোচিত এই মামলাটি চালানোর সিদ্ধান্ত দিয়েছে দ্য হেগের বিচার আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় সকালে নেদার‍ল্যান্ডসের দ্য হেগের পিস প্যালেসে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত রোহিঙ্গা গণহত্যার ওপর গাম্বিয়ার মামলাটির অন্তর্বর্তী আদেশ পাঠ শুরু করে।

আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের গণহত্যা রোধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। মিয়ানমারের ডি-ফ্যাক্টো নেত্রী অং সান সু চির যুক্তি প্রত্যাখ্যান করে দি হেগের আন্তর্জাতিক আদালত বৃহস্পতিবার রায় দিয়েছে যে, মিয়ানমারকে অবশ্যই রোহিঙ্গা মুসলমানদের রক্ষার জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে। দেশটির সামরিক সেনার অভিযানে যারা গণহত্যার শিকার এবং বাড়িঘর থেকে বিতাড়িত হয়েছে।

এই সিদ্ধান্তটি হল রোহিঙ্গাদের প্রতি সামরিক বাহিনীর নৃশংস আচরণের বিষয়ে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে প্রথম আন্তর্জাতিক আদালতের রায়। যদিও এই রায় প্রয়োগে আদালতের কোনও ক্ষমতা নেই, তবে জাতিসংঘের যে কোনও সদস্য তার বিধিবিধানের ভিত্তিতে সুরক্ষা কাউন্সিলের কাছ থেকে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করতে পারেন।

এদিকে, এই আদেশের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে যে অবিচার হয়েছে সেটির ন্যায়বিচার পাওয়ার পথ সহজ ও প্রশস্ত হবে বলে মনে করে বাংলাদেশ।

মিয়ানমারে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চলছে এমন অভিযোগে গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মামলা করে গাম্বিয়া। মামলায় বলা হয়, মিয়ানমার ১৯৪৮ সালের জেনোসাইড কনভেনশন লঙ্ঘন করেছে।

২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের বেশ কয়েকটি সেনা পোস্টে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাখাইনে এ অভিযান শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী।অভিযানের নামে রোহিঙ্গাদের বাড়ি-ঘরে আগুন, নির্বিচারে রোহিঙ্গাদের হত্যা এবং নারীদের গণধর্ষণ করা হয়। মিয়ানমার সেনাদের নির্যাতন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় সাত লাখ ৩০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম।

যে বিষয়গুলোর জন্য অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ চাওয়া হয়েছে সেগুলো হচ্ছে গণহত্যা বন্ধের জন্য মিয়ানমার অবিলম্বে ব্যবস্থা নেবে; মিলিটারি, প্যারামিলিটারি ও বেসামরিক অস্ত্রধারী ব্যক্তি কোনও ধরনের গণহত্যা না চালাতে পারে সে ব্যবস্থা নেওয়া; মিয়ানমার গণহত্যা সংক্রান্ত কোনও ধরনের প্রমাণ নষ্ট করবে না; এবং বর্তমান পরিস্থিতিকে আরও বেশি জটিল ও খারাপ করে এমন কোনও কাজ করবে না। পঞ্চম বিষয়টি হচ্ছে আদেশের পরে আগামী ৪ মাসের মধ্যে উভয়পক্ষ তাদের নেওয়া পদক্ষেপ কোর্টকে অবহিত করবে।

রাখাইনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর সামরিক বাহিনীর নির্যাতনের মাধ্যমে মিয়ানমার গণহত্যা প্রতিরোধ ও শান্তি কনভেনশন ভঙ্গ করেছে বলে গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক আদালতে অভিযোগ করে গাম্বিয়া। প্রায় ৫০ পাতার ওই আবেদনে রোহিঙ্গারা রাখাইনে বর্বরোচিত হামলার শিকার হয়েছে এবং এর ফলে গণহত্যার মতো অপরাধ সংগঠিত হয়েছে এই বিষয়টি উল্লেখ করে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে গাম্বিয়া। যেহেতু এ ধরনের মামলা অনেকদিন ধরে চলে সে জন্য ওই একই আবেদনে পাচঁটি বিষয়ে কোর্টের কাছে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ চায় দেশটি। এ বিষয়ে শুনানি হয় ডিসেম্বরের ১০ থেকে ১২ তারিখে। সেখানে গাম্বিয়া ও মিয়ানমার অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের পক্ষে ও বিপক্ষে যুক্তি তর্ক উপস্থাপন করে।

-জেডসি