ঢাকা, শুক্রবার ২৯, মার্চ ২০২৪ ১:১৫:৩৬ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
বিশ্বে প্রতিদিন খাবার নষ্ট হয় ১০০ কোটি জনের বাসায় পর্যবেক্ষণে থাকবেন খালেদা জিয়া ট্রেনে ঈদযাত্রা: ৭ এপ্রিলের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু গাজায় নিহত বেড়ে ৩২ হাজার ৪৯০ অ্যানেস্থেসিয়ার ওষুধ বদলানোর নির্দেশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঈদ কেনাকাটায় ক্রেতা বাড়ছে ব্র্যান্ড শপে বাঁচানো গেল না সোনিয়াকেও, শেষ হয়ে গেল পুরো পরিবার

রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা বিকাশে বিনিয়োগ জরুরী

অনলাইন ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৭:৩৩ পিএম, ১৬ আগস্ট ২০১৯ শুক্রবার

বাংলদেশে আশ্রয় নেয়া ৫ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শিশুর শিক্ষা ও দক্ষতা বিকাশের সুযোগ সৃষ্টির জন্য জাতিসংঘের শিশু সংস্থা (ইউনিসেফ) থেকে প্রকাশিত নতুন প্রতিবেদনে জরুরি বিনিয়োগের আহবান জানানো হয়েছে।

মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা নাগরিকদের বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়ার ২ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রকাশিত ইউনিসেফের এক প্রতিবেদনে এ আহবান জানানো হয়।

আজ শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চরম সহিংসতার ফলে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশের আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা নাগরিকদের বিরাট অংশ শিশু ও তরুণদের মধ্যে হতাশার ঝুঁকি ব্যাপক মাত্রায় বেড়ে যাচ্ছে। এসব শিশুদের মধ্যে থেকে ইউনিসেফ ও তার সহযোগিরা ২ হাজার ১৬৭টি শিক্ষা কেন্দ্রে ১ লাখ ৯২ হাজার রোহিঙ্গা শিশুর শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, তারপরও ২৫ হাজারের বেশি শিশু কোনো ধরনের শিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে না এবং এখনো অতিরিক্ত ৬৪০টি শিক্ষা কেন্দ্রের প্রয়োজন। এছাড়াও, ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিশুদের ৯৭ শতাংশ এখনো কোনো ধরনের শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে না।

ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর বলেন, ‘বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শিশু ও তরুণদের জন্য শুধুমাত্র বেঁচে থাকাই যথেষ্ট নয়। তাদের দীর্ঘমেয়াদী ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা প্রদান করাও প্রয়োজন। এসব কারনে তাদের জন্য প্রয়োজনীয় গুণগত শিক্ষা এবং দক্ষতা বিকাশের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’

প্রতিবেদনে জানানো হয়, আশ্রয়কেন্দ্রের শিক্ষাকেন্দ্রগুলোতে অধ্যয়নরত কম বয়সী শরণার্থী শিশুদের জন্য আরো আনুষ্ঠানিক শিক্ষা এবং শেখার উপকরণ ক্রমান্বয়ে সরবরাহ করা হচ্ছে।

রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য আরো কাঠামোবদ্ধ শিক্ষার ব্যবস্থা করতে সহায়তার জন্য ইউনিসেফ এবং অন্যান্য সংস্থাগুলো মিয়ানমার ও বাংলাদেশ সরকারকে জাতীয় শিক্ষামূলক সম্পদসমূহ যেমন, শিক্ষা পাঠ্যক্রম, শিক্ষণ এবং প্রশিক্ষণ ম্যানুয়্যাল ও মূল্যায়ন পদ্ধতি ব্যবহারের অনুমতি প্রদানের জন্য ইউনিসেফ আহ্বান জানিয়েছে।

ইউনিসেফ-এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি টমো হোজুমি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো কিশোর-কিশোরীরা প্রতিনিয়ত যে সব ঝুঁকি যেমন, পাচার, নির্যাতন মেয়েদের ক্ষেত্রে বাল্যবিয়ের মুখোমুখি হয়, তা মোকাবিলার জন্য তাদের দক্ষ করে গড়ে তোলা।’

তিনি আরো বলেন, আরো বৃহৎ অর্থে, ইউনিসেফ এই প্রজন্মের তরুণদের নিজেদের পরিচয় তৈরিতে সহায়তা করছে এবং যে কঠিন চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে তারা যাচ্ছে সেটার সমাধানের অংশ হিসাবে তাদের গড়ে তোলা হচ্ছে।