ঢাকা, শুক্রবার ২৯, মার্চ ২০২৪ ৪:৩০:৫১ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
বিশ্বে প্রতিদিন খাবার নষ্ট হয় ১০০ কোটি জনের বাসায় পর্যবেক্ষণে থাকবেন খালেদা জিয়া ট্রেনে ঈদযাত্রা: ৭ এপ্রিলের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু গাজায় নিহত বেড়ে ৩২ হাজার ৪৯০ অ্যানেস্থেসিয়ার ওষুধ বদলানোর নির্দেশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঈদ কেনাকাটায় ক্রেতা বাড়ছে ব্র্যান্ড শপে বাঁচানো গেল না সোনিয়াকেও, শেষ হয়ে গেল পুরো পরিবার

শখের এলোভেরা বাগান থেকেই সফল উদ্যোক্তা জান্নাতুল

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:২৯ পিএম, ১৬ অক্টোবর ২০২১ শনিবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

জান্নাতুল ফেরদৌস, জন্ম ও বসবাস খাগড়াছড়ি সদরে। বর্তমানে খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজে পড়াশোনা করছেন তিনি। পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরি ও উদ্যোক্তা জীবন দুটি মিলে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি।

ছাত্রী অবস্থায় টিউশনির টাকায় শখের এলোভেরা (ঘৃতকুমারী)  বাগান থেকেই নিজের উদ্যোগ শুরু করেন জান্নাতুল ফেরদৌস। শুরুটা গতানুগতিক পদ্ধতিতে আত্নীয়-স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের মাধ্যমে হলেও পরবর্তীতে তিনি হয়ে উঠেন ই- কমার্স উদ্যোক্তা । ফেসবুক পেজ ‘স্বপ্নের ঝুড়ি’- এর মাধ্যমে এলোভেরা (ঘৃতকুমারী) এবং এর আচার নিয়ে ব্যবসার অগ্রযাত্রা তার।

নিজের ব্যবসার কথা বলতে গিয়ে  জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘ব‍্যবসা শুরুর আগে আমি খুব চিন্তিত ছিলাম। কারণ আমার বাবা সাপোর্ট দিবেননা। অনেক লুকোচুরিতে সাহস করে শুরু করলাম।আচারের বাজার করা থেকে শুরু করে ধীরে ধীরে সবকিছু  সামলিয়ে নিতে পেরেছিলাম।

বুঝতে শেখার পর থেকেই বাগান করা নিয়ে আমার খুব আগ্রহ ছিল। টিউশনিও করতাম। তখন আমার ছাত্রী আমাকে কয়েকটি এলোভেরা গাছ উপহার দিয়েছিল। আমি নিজেও আরও কিছু ছোট এলোভেরা কিনেছিলাম।এই এলোভেরাগুলো থেকে আজ আমার ফুলবাগানের পাশাপাশি এলোভেরার বাগান আছে।আমি আমার বাগানের এলোভেরা ,ফুলগাছ অনেক আগে থেকে অন‍্যদের গিফট করতাম,বিক্রিও করতাম’।

তিনি আরও বলেন, “এলোভেরা নিয়ে যখন উদ‍্যোগ শুরু করেছিলাম আলহামদুলিল্লাহ খাগড়াছড়ি ও এর বাইরে থেকে অনেক সাড়া পেয়েছিলাম। তারপর ভাবলাম এলোভেরার পাশাপাশি আর কি করা যায়? যার দ্বারা মানুষ উপকৃত হবে।হুট করে মাথায় আসলো আচারের কথা‌। আচার তো প্রায় অনেক মানুষ পছন্দ করে। গর্ভবতীদের জন্য ঘরে তৈরি আচার স্বাস্থ্যকর ও মুখের রুচি ফিরিয়ে আনতে আচারের ভূমিকা রয়েছে।

‘এভাবেই চিন্তা করতে করতে আম্মুকে বললাম,তারপর কিছু শুভাকাঙ্ক্ষীকে বললাম।এভাবেই আচারের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গেই সাড়া অর্ডার পেতে থাকলাম। আলহামদুলিল্লাহ দেশও বিদেশে আমারের আচারের সুনাম ছড়িয়েছে। কখনও ভাবিনি আসলে এলোভেরার আচার নিয়ে অনলাইনে বিজনেস করবো।”

এভাবেই প্রায় দেড় বছরের ব্যবধানে জান্নাতুল ফেরদৌসের এলোভেরার আচার খাগড়াছড়ির বাইরে বিভিন্ন জায়গায় এবং দেশের বাইরে দুবাইয়ে পাড়ি দিয়েছে। শখের বসে গড়ে তোলা বাগান থেকেই দুই লাখ টাকার উপরে পণ্য বিক্রি করেছেন তিনি। ভবিষ্যতে তিনি স্বপ্ন দেখেন আচারের ফ‍্যাক্টরি তৈরি করার। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে তার পণ্যের প্রসার করতে চান জান্নাতুল ফেরদৌস।   

উল্লেখ্য, সবকিছুর পাশাপাশি টুকটাক লেখালেখিও করেছেন জান্নাতুল ফেরদৌস। ইতোমধ্যে তার লেখা তিনটি যৌথকাব‍্য প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তিনি। নিয়েছিলেন উদ‍্যোক্তা বিষয়ক বিভিন্ন প্রশিক্ষণ।   নারী ও শিশু মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে নারী উদ‍্যোক্তাদের বিকাশ সাধন ৩য় পর্যায় এবং উদ‍্যোক্তা সৃষ্টি ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্পে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মতো প্রশিক্ষণেও অংশগ্রহণ করেছেন তিনি।