ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৫, এপ্রিল ২০২৪ ৬:৩৩:৪৯ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধ করার বিল সিনেটে পাস ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ফের কমল স্বর্ণের দাম মক্কা ও মদিনায় তুমুল বৃষ্টির শঙ্কা খালেদার গ্যাটকো মামলায় চার্জগঠনের শুনানি পেছাল কুড়িগ্রামে তাপদাহ: বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায় থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা

শপথ নিলেন নারী আসনের ৪৯ সাংসদ

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:৩৯ এএম, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ বুধবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য হিসাবে শপথ নিলেন সংরক্ষিত নারী আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ৪৯ জন। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার পর জাতীয় সংসদের শপথ কক্ষে সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচিতরা শপথ নেন। শপথ পড়ান স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।

সংসদ সচিব আ ই ম গোলাম কিবরিয়া শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।

প্রথমে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যরা শপথ নেন। এরপর জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা শপথ নেন। পরে ওয়ার্কার্স পার্টির একজন ও স্বতন্ত্র পার্টির একজন আলাদা আলাদা ভাবে শপথ নেন।

শপথ নেয়ার পর নতুন সংসদ সদস্যরা শপথনামায় সই করেন। পরে রেওয়াজ অনুযায়ী তারা সংসদ সচিবের কার্যালয়ে স্বাক্ষর খাতায় সই করেন এবং ছবি তোলেন। এ ছাড়া নারী এমপিদের আইডি কার্ড দেয়ার জন্য পৃথক পৃথকভাবে তাদের ছবি তোলা হয়।

গত রোববার এই ৪৯ জনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত গেজেটে প্রকাশ করা হয়।

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতদের মধ্যে আওয়ামী লীগের ৪৩ জন, জাতীয় পার্টির চারজন, ওয়ার্কার্স পার্টির একজন এবং আরেকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন। বিএনপির এমপিরা এখনও শপথ না নেয়ায় তাদের নির্ধারিত একটি আসন এখনও শূন্য।

গত ৩ ফেব্রুয়ারি ঘোষিত তফসিল অনুযাযী ১১ ফেব্রুয়ারি ছিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। এদিন ৪৯টি সংরক্ষিত নারী আসেনের বিপরীতে ৪৯ জন প্রার্থী মনোননয়নপত্র দাখিল করেন।

পরে ১২ ফেব্রুয়ারি সংরক্ষিত নারী আসনের সব প্রার্থীর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে বৈধ ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেম। শনিবার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন হলেও এদিন কেউ প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করায় সবাই বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।

যারা শপথ নিলেন তাদের মধ্যে জাতীয় পার্টির চারজন হলেন- সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এবং ঢাকা-১ আসনের সাবেক এমপি জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপিকা মাসুদা এম রশিদ চৌধুরী, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা অধ্যক্ষ রওশন আরা মান্নান ও নাজমা আকতার।

আওয়ামী লীগের ৪৩ জন হলেন- ঢাকার শিরীন আহমেদ, জিন্নাতুল বাকিয়া, শবনম জাহান শিলা, সুবর্ণা মোস্তফা ও নাহিদ ইজহার খান, চট্টগ্রামের খাদিজাতুল আনোয়ার ও ওয়াশিকা আয়েশা খানম, কক্সবাজারের কানিজ ফাতেমা আহমেদ, খাগড়াছড়ির বাসন্তী চাকমা, কুমিল্লার আঞ্জুম সুলতানা ও অ্যারোমা দত্ত, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম, গাজীপুরের শামসুন্নাহার ভূঁইয়া ও রুমানা আলী, বরগুনার সুলতানা নাদিরা, জামালপুরের মিসেস হোসনে আরা, নেত্রকোনার হাবিবা রহমান খান ও জাকিয়া পারভীন খানম, পিরোজপুরের শেখ এ্যানী রহমান, টাঙ্গাইলের অপরাজিতা হক ও খন্দকার মমতা হেনা লাভলী, সুনামগঞ্জের শামীমা আক্তার খানম, মুন্সীগঞ্জের ফজিলাতুন্নেছা, নীলফামারীর রাবেয়া আলী, নরসিংদীর তামান্না নুসরাত বুবলী, গোপালগঞ্জের নার্গিস রহমান, ময়মনসিংহের মনিরা সুলতানা, ঝিনাইদহের খালেদা খানম, বরিশালের সৈয়দা রুবিনা মিরা, পটুয়াখালীর কানিজ সুলতানা, খুলনার অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, দিনাজপুরের জাকিয়া তাবাসসুম, নোয়াখালীর ফরিদা খানম সাকী, ফরিদপুরের রুশেমা বেগম, কুষ্টিয়ার সৈয়দা রাশেদা বেগম, মৌলভীবাজারের সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন, রাজশাহীর আদিবা আনজুম মিতা, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফেরদৌসী ইসলাম জেসী, শরীয়তপুরের পারভীন হক শিকদার, রাজবাড়ীর খোদেজা নাসরীন আক্তার হোসেন, মাদারীপুরের তাহমীনা বেগম, পাবনার নাদিয়া ইয়াসমিন জলি ও নাটোরের রত্না আহমেদ।

অন্যদিকে ওয়ার্কার্স পাটির মনোনীত প্রার্থী লুৎফুন নেসা খান ও স্বতন্ত্র সেলিনা ইসলাম।