ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৮, মার্চ ২০২৪ ১৭:১৩:৪৫ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
বিশ্বে প্রতিদিন খাবার নষ্ট হয় ১০০ কোটি জনের বাসায় পর্যবেক্ষণে থাকবেন খালেদা জিয়া ট্রেনে ঈদযাত্রা: ৭ এপ্রিলের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু গাজায় নিহত বেড়ে ৩২ হাজার ৪৯০ অ্যানেস্থেসিয়ার ওষুধ বদলানোর নির্দেশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঈদ কেনাকাটায় ক্রেতা বাড়ছে ব্র্যান্ড শপে বাঁচানো গেল না সোনিয়াকেও, শেষ হয়ে গেল পুরো পরিবার

শর্ত সাপেক্ষে চীন সফরে অনুমতি পেল জাতিসংঘের দূত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৭:১৪ পিএম, ২৮ জানুয়ারি ২০২২ শুক্রবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

অবশেষে শর্ত সাপেক্ষে চীন সফরের অনুমতি পেলেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক দপ্তরের প্রধান মিশেলে ব্যাশেলেট।শর্তে বলা হয়েছে, আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি বেইজিং অলিম্পিকের আসর শেষ হবে। এরপর যেকোনো দিন চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ জিনজিয়াংয়ে সফরে আসতে পারেন জাতিসংঘের দূত।
চীনের জাতীয় দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের বরাত দিয়ে শুক্রবার এক প্রতিবেদেন প্রকাশ করেছে রয়টার্স।

বেইজিং আরও শর্ত দিয়েছে যে, এই সফরভিত্তিক কোনো প্রতিবেদন তিনি বা তার দলের সদস্যরা লিখিত আকারে প্রকাশ করতে পারবেন না।

চীনের সংখ্যালঘু উইঘুর ও তুর্কিক (তুর্কমেনিস্তানের মানুষ) বংশোদ্ভূত মুসলিমদের অধিকাংশেরই বসবাস জিনজিয়াং প্রদেশে। গত কয়েক বছর ধরে দেশটির ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি ও জিনজিয়াং প্রাদেশিক সরকারের কর্মকর্তারা উইঘুরদের নির্যাতন করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর অভিযোগ, জিনজিয়াংয়ের বন্দিশিবিরে আটকে রাখা হয়েছে উইঘুর জাতিগোষ্ঠীর প্রায় ১০ লাখ মানুষকে এবং সেখানে তাদের বাধ্যতামূলক শ্রম, প্রহার, অঙ্গচ্ছেদন, বন্ধ্যাকরণসহ উইঘুর নারীদের ধর্ষণ করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ-জিনজিয়াংয়ে গণহত্যা চালাচ্ছে চীন।

চীন অবশ্য বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, উইঘুর মুসলিমদের কোনো ক্যাম্পে আটকে রাখা হয়নি। বরং তারা যেন ধর্মীয় কট্টরপন্থার দিকে ঝুঁকে না পড়ে, সেজন্য সেখানে তাদের বিভিন্ন কারিগরি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। তবে চীনের এই বক্তব্যে একেবারেই আস্থা রাখতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র ও পাশ্চাত্য মানবাধিকার সংস্থাসমূহ।

এই পরিস্থিতিতে গত বছর ফেব্রুয়ারির দিকে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ইউরোপীয় দেশগুলোর আঞ্চলিক সংস্থা ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুরদের পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখে আসার জন্য জাতিসংঘের প্রতিনিধিদল পাঠানোর প্রস্তাব করে; তখন তাতে রাজি হয়নি চীন।

জিনজিয়াংয়ের ক্যাম্প থেকে পালিয়ে যাওয়া উইঘুররা সেখানে ভয়াবহ অত্যাচার চলছে বলে জানিয়েছেন। গত বছর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি উইঘুরদের নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- জিনজিয়াংয়ে উইঘুরদের জোরপূর্বক শ্রমিক হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

অবশেষে শর্ত সাপেক্ষে জাতিসংঘের দূতকে জিনজিয়াংয়ের ক্যাম্পে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে চীন।