ঢাকা, শুক্রবার ২৯, মার্চ ২০২৪ ২১:২১:০০ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
টাঙ্গাইলে শাড়ি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তাঁতীরা রমজানের অর্ধেকেও কমেনি মাছ ও মাংসের দাম সেতু থেকে খাদে পড়ে বাসে আগুন, নিহত ৪৫ রমজানের অর্ধেকেও কমেনি মাছ ও মাংসের দাম ঈদযাত্রা: ৮ এপ্রিলের ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে আজ বিশ্বে প্রতিদিন খাবার নষ্ট হয় ১০০ কোটি জনের বাসায় পর্যবেক্ষণে থাকবেন খালেদা জিয়া

শিক্ষকের বেতের আঘাতে চোখ হারাচ্ছে ছাত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৮:৫৫ পিএম, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ সোমবার

শিক্ষকের বেতের আঘাতে আহত ছাত্রী হাবিবা আক্তার। ছবি : সংগৃহীত

শিক্ষকের বেতের আঘাতে আহত ছাত্রী হাবিবা আক্তার। ছবি : সংগৃহীত

যাদবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিরঞ্জন দাশের বেতের আঘাতে হাবিবা আক্তার (৮) নামে এক ছাত্রীর চোখ নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। ক্লাস চলাকালে ওই শিক্ষক বেত ছুড়ে মারেন ওই ছাত্রীর দিকে। গুরুতর অবস্থায় শিশুটিকে ঢাকায় আনা হয়েছে।

গতকাল রোববার দুপুর ১২টার দিকে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার স্কুলটিতে এ ঘটনা ঘটে।

হাবিবা যাদবপুর গ্রামের শাহিন মিয়ার মেয়ে এবং ওই স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। সে জানায়, গতকাল নিরঞ্জন দাশ বেতটি তার দিকে ছুড়ে মারেন। সেটি সরাসরি তার চোখে লাগে। এতে তার চোখ থেকে রক্তক্ষরণ শুরু হয়।  বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় লোকজন হাবিবাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।

হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. মিঠুন রায় হাবিবাকে পরীক্ষা করেন। তিনি বলেন, ‘বেতটি সরাসরি হাবিবার চোখের ভেতর আঘাত করায় তার চোখ খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চোখটি ভালো হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।’

তিনি জানান, হাবিবাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেটে পাঠানো হয়। পরে সেখান থেকে তাকে ঢাকা চক্ষু হাসপাতালে নিয়ে যান স্বজনরা।

বিষয়টি নিয়ে যাদবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিরঞ্জন দাশের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমি দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পড়া নিচ্ছিলাম। যারা পড়া পারছিলনা তাদের শাসন করার জন্য টুকটাক বেত্রাঘাত করি। ওই ক্লাসের দরজার সামনে কিছু শিক্ষার্থী দাঁড়িয়ে হৈ চৈ করছিল, আমি তাদের বারবার ধমক দিলেও তারা সেখানে দাঁড়িয়ে থাকলে হাতে থাকা বেত ছুড়ে মারলে তা গিয়ে হাবিবার চোখে লাগে। এটি আমার অনিচ্ছাকৃত ভুল। ওই ছাত্রীকে আমি চিকিৎসার জন্য সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছি। যত ভালো চিকিৎসার প্রয়োজন হয় তা আমি করাবো।

হবিগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাখাওয়াত হোসেন রুবেল বলেন, এ ব্যাপারে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।

হবিগঞ্জ সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমরা বিষয়টি শুনেছি। এখন বিস্তারিত তথ্য নেওয়ার এবং খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছি।’

এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুক আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, শিক্ষার্থীদের বেত দিয়ে আঘাত করার তো বিধানই নেই। শুধু তাই নয় শ্রেণিকক্ষে বেত নিয়ে যাওয়ারও অনুমতি নেই। যদি কেউ এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে থাকে তবে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।