শীতের পিঠায় জীবন চলে আয়শার
শারমিন সুলতানা | উইমেননিউজ২৪প্রকাশিত : ০১:০৭ এএম, ৭ জানুয়ারি ২০১৯ সোমবার
আয়শার পিঠার দোকান। ছবি : শারমিন
নগরজীবনের কর্মব্যস্ততার ফাঁকে এখন আর মানুষের সেইদিন কোথায় যে, ঘটা করে শীতের ছুটিতে পিঠা, পায়েস খেতে গ্রামের বাড়িতে ছুটবে! নানি, দাদীর হাতের তৈরি নতুন ধানের পিঠা খাবে মহনন্দে। এখন তারা শীতের পিঠার জন্য ভীড় জমান ফুটপাত বা রাস্তার মোড়ে মোড়ে বসা পিঠার দোকানগুলোতে। গ্রামের সেই মাটির চুলোতে তৈরি পিঠার মতো হয়তো নয়, তারপরও কম সুস্বাদু নয় এই পিঠাগুলো।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ফুটপাত বা রাস্তার মোড়ে এই পিঠা বিক্রির চিত্র হামেশাই চোখে পড়ে। এ চল বেশ অনেক বছর ধরেই চলছে। শীত আসলে পিঠার চাহিদা বাড়ে, তাই বেড়ে যায় বেচাকেনাও। রাজপথে পিঠা বিক্রি এখন নিন্মবিত্তি অনেকেরই আয়ের প্রধান উৎস।
এরকমই একজন পিঠা বিক্রেতা আয়শা খাতুন। তিনি প্রতিদিন বিকেল তিনটা থেকে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের পোস্ট অফিসের সামনে একটা ভ্যান নিয়ে বসেন। পিঠা বিক্রি চলে কাঁচামাল শেষ না হওয়া পর্যন্ত।
চার সন্তানের মা আয়শা বয়সটা ঠিকমতো বলতে না পারলেও বোঝা যায় বয়স তার ৪০-এর মত। বরিশালের গৌড়নদীতে জন্ম আয়শার। বিয়ের পর জীবিকার তাগিদেই স্বামীর সাথে চলে আসেন ঢাকা শহরে। প্রথমদিকে অন্যের বাসায় কাজ করতেন তিনি। স্বামী চালাতেন রিকশা। একবার এক দুর্ঘটনায় স্বামীর হাত ভেঙে গেলে সন্তানদের নিয়ে বিপাকে পড়েন আয়শা। সংসার চালানোর তাগিদেই সামান্য কিছু টাকা পুঁজি করে শুরু করেন পিঠা বিক্রি।
এরপর সময় গড়িয়েছে অনেক। এখন তিনি নিজ উপার্জনে চালাচ্ছেন দুই ছেলে আর এক মেয়ের পড়ার খরচ। বড় ছেলে নবম শ্রেণীতে পড়ছে। মেজো ছেলে পড়ছে সপ্তম শ্রেণীতে। আর একমাত্র মেয়ে পড়ে পঞ্চম শ্রেণীর ছাম্রী। ছোট ছেলেটার বয়স পাঁচ বছর।উপার্জনও বেশ ভালো আয়শা খাতুনের। তিনি চিতুই ও ভাপা পিঠা বিক্রি করেন। প্রতিদিন প্রায় এক থেকে দেড় হাজার টাকার পিঠা বিক্রি হয়। সব খরচ বাদ দিয়ে গড়ে প্রতিদিন ৬০০ টাকা লাভ থাকে। মাসের শেষে লাভের পরিমান ১৮ হাজার টাকা। আর এ আয়েই চলছে বাসাভাড়াসহ পুরো সংসার খরচ। এমন কি সন্তানদের পড়ালেখাও।
শীতের সময়টাতে না হয় পিঠার ব্যবসাটা বেশ ভালো চলে। কিন্তু বাকি সময়টাতে তিনি কি করেন জানতে চাইলে আয়শা বলেন, পিডার অহন আর শীত-গ্রীষ্ম নাই। সারা বছর ধইরাই চলে। কাচিকুচা পিডা (চিতুই) বছর ধইরাই বেচি। তয় ভাপা পিডা শীত ছাড়া চলে না। তহন আবার পিডার লগে চা বেচি।
আয়শা খাতুনের এই ব্যবসাতে পুরোপুরিভাবে সহযোগিতা করছেন তার স্বামী। তবে মূল ব্যবসাটা চালাচ্ছেন তিনি নিজেই। ভবিষ্যতে ব্যবসাটাকে আরো বড় করার ইচ্ছা আছে তার। দুই ধরণের পিঠার সাথে যোগ করবেন আরো বেশ কয়েক রকমের পিঠা। পাশাপাশি নিজে পড়ালেখা করতে পারেননি বলে সন্তানদের পড়ালেখাটা শেষপর্যন্ত চালিয়ে যেতে চান আয়শা খাতুন।
- ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট
- আজ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন
- তীব্র তাপপ্রবাহ, সতর্ক থাকতে মাইকিং
- ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপ আজ শুরু
- ২০২৩ সালে দেশে ধর্ষণের শিকার দুই শতাধিক শিশু
- বিশিষ্ট প্রচ্ছদ শিল্পী ধ্রুব এষ আইসিইউতে
- অফিসার নেবে সেভ দ্য চিলড্রেন
- ফের এক হচ্ছেন তাহসান-মিথিলা
- জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই দেশ আরও উন্নত হতো
- গরম লাগলেই ঠান্ডা পানি খান? জানুন কী ভুল করছেন
- হত্যাচেষ্টা মামলার প্রতিবেদন দাখিল, জেলে যেতে পারেন পরী
- যেসব অঞ্চলে শিলাবৃষ্টির শঙ্কা
- ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত নিল ইইউ
- ডেঙ্গু প্রতিরোধে একযোগে মাঠে নামছে ডিএসসিসির ৫৪ ওয়ার্ড
- টাইমের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা
- বইমেলায় কানিজ কাদীরের কবিতার বই ‘মন’
- খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরো বাড়ল
- ২৯ ফেব্রুয়ারি বা লিপ ইয়ার নিয়ে ১০টি মজার তথ্য
- জমজমাট ফুটপাতের ঈদ বাজার
- ২৬৩ সাংবাদিকের জন্য ২ কোটি টাকা অনুমোদন
- জাপার সভায় গান গাইলেন রওশন এরশাদ
- কচি-কাঁচার আয়োজনে ভাষা দিবসে সাংস্কৃতিক আয়োজন
- দেশে ধনীদের সম্পদ বাড়ছে
- এবার বাংলা একাডেমি গুণীজন স্মৃতি পুরস্কার পাচ্ছেন যারা
- গুলবদন বেগম: এক মুঘল শাহজাদির সাহসী সমুদ্রযাত্রার গল্প
- বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা
- যে বিভাগে বিচ্ছেদের হার বেশি
- রোমান্টিক যুগের অন্যতম কবি জন কিটস
- ৭ই মার্চ পরিস্থিতি, কেমন ছিলো সেই দিনটি
- ঘরের মাটিতে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ