ঢাকা, শুক্রবার ২৯, মার্চ ২০২৪ ১৪:৪৩:১৩ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
টাঙ্গাইলে শাড়ি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তাঁতীরা রমজানের অর্ধেকেও কমেনি মাছ ও মাংসের দাম সেতু থেকে খাদে পড়ে বাসে আগুন, নিহত ৪৫ রমজানের অর্ধেকেও কমেনি মাছ ও মাংসের দাম ঈদযাত্রা: ৮ এপ্রিলের ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে আজ বিশ্বে প্রতিদিন খাবার নষ্ট হয় ১০০ কোটি জনের বাসায় পর্যবেক্ষণে থাকবেন খালেদা জিয়া

শুভ জন্মদিন রেখা

বিনোদন ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৯:৩১ পিএম, ১০ অক্টোবর ২০১৯ বৃহস্পতিবার

ভারতীয় হিন্দী চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রেখার জন্মদিন আজ ১০ অক্টোবর। তিনি রেখা নামে বেশি পরিচিত হলেও তার প্রকৃত নাম ভানুরেখা গণেশন। রেখাকে বলিউডের চিরসবুজ যৌন আবেদনময়ী অভিনেত্রী হিসেবে মনে করা হয়।

১৯৬৬ সালে রাঙ্গুলা রত্নম নামে একটি তেলেগু ছবির মাধ্যমে শিশুশিল্পী হিসেবে তার চলচ্চিত্র জীবন শুরু হয়। কিন্তু নায়িকা হিসেবে ১৯৭০ সালে শাওন ভাদো নামে একটি ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি বলিউডে যাত্রা শুরু করেন। যদিও প্রথম দিকে তার কিছু ছবি সাফল্য পায়। কিন্তু সত্তরের দশকের মাঝের দিকে রেখা অভিনেত্রী হিসেবে পরিচিতি অর্জন করেন।

৪০ বছরের অভিনয় জীবনে রেখা ১৮০টির অধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। রেখা তিনবার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জিতেন, দুইবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে ও একবার শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে। ১৯৮১ সালে উমরাহ জান চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার লাভ করেন।

তামিল অভিনেতা জেমিনি গণেশন ও তেলেগু অভিনেত্রী পুষ্পাভ্যাল্লীর ঘরে ভারতের চেন্নাইয়ে (পরে মাদ্রাজ) ১৯৫৪ সালের ১০ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন রেখা। বড় হয়ে রেখা তার বাবার পদচিহ্ন অনুসরণ করেন। যদিও তিনি অর্ধেক তামিল এবং অর্ধেক তেলেগু। কিন্তু তিনি তার বাড়িতে তেলেগু ভাষাতেই কথা বলেন। এছাড়াও রেখা ইংরেজি, হিন্দি এবং উর্দু ভাষায় অনর্গল কথা বলতে পারেন।

রেখার বাবা-মা বিবাহিত ছিলেন না। শৈশবে তার বাবা তাকে স্বীকার করেননি। শৈশবেই রেখা স্কুল ছেড়ে দেন এবং অভিনেত্রী হিসেবে তার ক্যারিয়ার গড়ে তোলেন।

রেখা তেলেগু চলচ্চিত্র রাঙ্গুলা রত্নম (১৯৬৬)-এ বেবি ভানুরেখা নামে শিশু শিল্পী হিসেবে প্রথম অভিনয় করেন। পরিণত অভিনেত্রী হিসেবে রেখার প্রথম কাজ হল রাজকুমারের বিপরীতে কন্নড় চলচ্চিত্র অপারেশন জ্যাকপট নাল্লি সি.আই.ডি ৯৯৯ (১৯৬৯)। একই বছর তিনি তার প্রথম হিন্দি চলচ্চিত্র আঞ্জানা সফর-এ অভিনয় করেন।

১৯৭০ সালে তিনি দুটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, প্রথমটি তেলেগু আম্মা কোসাম ও দ্বিতীয়টি সাওয়ান বাদোঁ। দ্বিতীয় ছবিটিকে বলিউডে তার অভিনয়ের অভিষেক হিসেবে গণ্য করা হয়। তাকে হিন্দি ভাষা রপ্ত করতে হয়, কারণ এটি তার মাতৃভাষা ছিল না। সাওয়ান বাদোঁ হিট তকমা লাভ করে এবং রেখা রাতারাতি তারকা খ্যাতি অর্জন করেন। এই সফলতার পরও তার মুখশ্রীর জন্য তিনি প্রায়ই অবজ্ঞার স্বীকার হন। তিনি কয়েকটি চলচ্চিত্রে কাজের প্রস্তাব পান, তবে কোনটিই উল্লেখযোগ্য ছিল না এবং চরিত্রগুলো জাঁকজমকপূর্ণ তরুণী ভূমিকার ছিল। এই সময়ে তিনি রামপুর কা লক্ষণ (১৯৭২), কাহানী কিসমত কী (১৯৭৩) ও প্রাণ জায়ে পার বচন না জায়ে (১৯৭৪)-সহ কয়েকটি সফল চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।

তিনি তার চলচ্চিত্রের চরিত্র নির্বাচনে আরও সতর্ক হন এবং তার অভিনয় সমৃদ্ধ ভূমিকা ছিল ১৯৭৬ সালে অমিতাভ বচ্চনের উচ্চাকাঙ্ক্ষী ও লোভী স্ত্রীর ভূমিকায় দো আনজানে চলচ্চিত্রে। এটি নীহাররঞ্জন গুপ্তের বাংলা উপন্যাস রাত্রির যাত্রীর চলচ্চিত্রায়ন, যা পরিচালনা করেছিলেন দুলাল গুহ। ছবিটি সমালোচক ও দর্শকদের প্রশংসা অর্জন করে।