ঢাকা, শনিবার ২০, এপ্রিল ২০২৪ ৯:১২:১৮ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
হাসপাতালের কার্ডিয়াক আইসিইউ পুড়ে ছাই, রক্ষা পেল ৭ শিশু সবজির বাজার চড়া, কমেনি মুরগির দাম সারা দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি কৃষক লীগ নেতাদের গণভবনের শাক-সবজি উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি শিশু হাসপাতালের আগুন সম্পূর্ণ নিভেছে

‘শেখ হাসিনা আমারে শান্তি দিছে, তারে শান্তিতে রাহুক’

অনলাইন ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:২৮ পিএম, ২৩ জানুয়ারি ২০২১ শনিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার নদীসুকা গ্রামের বাসিন্দা আয়মন বেগম, বয়স ৭০। স্বামী মারা গেছেন ২০ বছর আগে। ঘর-বাড়ি নেই। থাকেন অন্যের বাড়িতে। দুই ছেলে আছে, পেশায় দিনমজুর। নিজেদের সংসার না চলার অজুহাতে খোঁজ নেন না মায়ের। তাই জীবিকার তাগিদে বিধবা আয়মন এই বয়সে মাটিকাটা শ্রমিকের কাজ করেন। এ অবস্থায় নতুন ঘর তোলাতো দূরের কথা, ভাঙা ঘর মেরামত করারই সামর্থ্য নেই তার।

জীবনের শেষ প্রান্তে এসে নিজের একটা পাকা ঘর আর দুই শতাংশ জমি হবে তা কল্পনাও করেননি আয়মন বেগম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সেই উপহার পেয়ে নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখছেন এই বৃদ্ধা আয়মান। তিনি বলেন, ‘হাসিনা আমারো শান্তি দিছে, আল্লাহ তারেও যেন শান্তিতে রাহে (রাখে)।’

প্রধানমন্ত্রীর দেয়া আইমনের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আয়মান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী না দিলে জীবনে বাঁইচা থাকতে বাড়িঘর করতে পারতাম না। সে আমার জন্য যা করছে, আমার পেটের ছাওয়ালও (সন্তান) করবো না। তার জন্য হগলসময়ই (সবসময়) দোয়া করি।

সেখানে মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়েছেন আরেক বিধবা ফুলমালা বেগম। তারও স্বামী মারা গেছেন অনেক আগে। স্বামীর ভিটা গেছে যমুনা নদীর ভাঙনে। এরপর থেকেই নিঃসন্তান এই নারী রাস্তার পাশে ঝুপড়ি ঘর তুলে বসবাস করতেন। প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বাড়ি উপহার পেয়ে তিনি অনেক খুশি। প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বারবার চোখের পানি মুছছিলেন। তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা দিলো দেইখ্যাই ঘরবাড়ি পাইলাম। আল্লায় তারে বাঁচাইয়া রাখুক।’

তাদের মতো সাত উপজেলায় ভূমি ও গৃহহীন ১৩৫টি পরিবার পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর উপহার। দুই শতাংশ খাসজমি বন্দোবস্তসহ তাদেরকে নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে আধাপাকা ঘর। ঘরে দুটি কক্ষ, বারান্দা ছাড়াও, রান্নাঘর, স্টোররুম এবং টয়লেট রয়েছে।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্র জানায়, প্রথম পর্যায়ে মানিকগঞ্জ জেলায় ১৩৫টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবার বাড়ি পাচ্ছেন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১৫টি, সিংগাইর উপজেলায় ১২টি, সাটুরিয়া উপজেলায় ৩০টি, ঘিওর উপজেলায় ২৫টি, শিবালয় উপজেলায় ২১টি, হরিরামপুর উপজেলায় ১২টি এবং দৌলতপুর উপজেলায় ২০টি উপকারভোগী পরিবার রয়েছে।

শিবালয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিএম রুহুল আমিন রিমন বলেন, প্রকল্প এলাকায় রাস্তা-ঘাট ও বিদ্যুসহ নানা আধুনিক সুযোগ-সুবিধাও নিশ্চিত করা হচ্ছে। একইসঙ্গে আশ্রয় পাওয়াদের যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে তুলতেও বিভিন্ন দফতর কাজ করছে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগ সারা পৃথিবীতে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। মহতী এই উদ্যোগের অংশীদার হতে পেরে তারাও গর্বিত বলে জানান তিনি।

মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমি ও গৃহহীনদের জন্য জমি আর ঘর উপহার দিচ্ছেন। প্রতিটি ঘরের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয় ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী জেলার সাত উপজেলাতেই ঘর নির্মাণের এই মহাকর্মযজ্ঞ সম্পন্ন হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার ভূমি (এসি ল্যান্ড) ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাদের তদারকিতে আশ্রয়হীন মানুষের এই স্বপ্ননীড় গড়ে উঠেছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এই কাজে সমানভাবে ভূমিকা রেখেছেন। তবে, পর্যায়ক্রমে জেলার সকল ভূমি ও গৃহহীনদের সরকারের এই প্রকল্পের আওতায় আনা হবে।

-জেডসি