ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৫, এপ্রিল ২০২৪ ২৩:০৮:০২ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
যুদ্ধ কোনো সমাধান দিতে পারে না, এটা বন্ধ হওয়া উচিত: প্রধানমন্ত্রী ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে সন্তানকে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিলেন মা আরও ৩ দিন হিট অ্যালার্ট জারি যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধ করার বিল সিনেটে পাস

শোকগাথা : অন্তঃসত্ত্বা আরজু মনিও ছাড় পাননি সেদিন!

অনলাইন ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪.কম

আপডেট: ১২:৫৫ এএম, ৬ আগস্ট ২০১৮ সোমবার

হয়তো তিনি বাঁচতে চেয়েছিলেন, বাঁচাতে চেয়েছিলেন পেটের অনাগত সন্তানটিকে। হয়তো তিনি দু’হাত জড়ো করে আকুতি করেছিলেন প্রাণ রক্ষার। কিন্তু ঘাতকের প্রাণ একটুও নরম হয়নি, হাত কাপেনি একটিবারের জন্য। ১৯৭৫ সালের ১৫  আগস্ট গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় তাকে। তিনি  বেগম আরজু মনি, শেখ ফজলুল হক মনির স্ত্রী।

 

 

শেখ ফজলুল হক মনি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগ্নে। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা।  ১৯৭৫ সালের ১৫  আগস্ট শেখ ফজলুল হক মনি সহ দু’সন্তানের মা আরজুকে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় গুলি করে হত্যা করে ঘাতকরা। ভাগ্যবশত বেঁচে যায় আরজু মনির দুই সন্তান তাপস ও শামস। তখন তাপসের বয়স ছিলো ৪ বছর ও তার বড় ভাই শেখ ফজলে শামস পরশের বয়স ছিলো ৬ বছর।

 


বেগম আরজু মনি ১৫ মার্চ ১৯৪৭ সালে বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি আবদুর রব সেরনিয়াবাতের জ্যেষ্ঠ কন্যা ছিলেন। বরিশাল সরকারী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং বিএম কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক ও বি. এ. পাস করেন।  ১৯৭৫ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এম.এ পরীক্ষা দিয়েছিলেন । ১৯৭০ সালে খালাত ভাই শেখ ফজলুল হক মনির সঙ্গে তার বিয়ে হয়।

 


১৫ আগস্টের দুর্বিষহ সেই স্মৃতির কথা ব্যক্ত করে ওই সময় প্রাণে বেঁচে যাওয়া মাত্র চার বছর বয়সী শিশু, বর্তমানে যুবক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, স্মৃতিতে আটকে আছে, বাবা-মার লাশ নিয়ে যাওয়ার পর সিঁড়িতে পড়ে থাকা জমাট বাঁধা রক্ত। বাবা-মার আদর-আলিঙ্গন, হাসি-কান্না কোনো কিছুই আর মনের পর্দায় ভেসে ওঠে না।

 


শৈশবের স্মৃতি হাতড়ে শেখ ফজলে নূর তাপস আরও বলেন, আমাদের বোঝানোর জন্য বলা হতো, বাবা-মা বিদেশে আছে। তোমরা কেঁদ না, এই তো চলে আসবে। কিছুদিন পরই চলে আসবে- এমনভাবে বোঝানোর চেষ্টা করা হতো। 

 


বেগম আরজু মনির ছেলে বলেন, আগস্ট মাসের প্রথম দিন থেকেই আমাদের বুকের ব্যথা অনেক বেড়ে যায়। আমাদের মনটা কালো ছায়ায় ঢেকে থাকে। তবুও এখন সান্ত্বনা পাই, বিচারটা সম্পন্ন হয়েছে। আমি নিজেও এর সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পেরেছি। 

 


মার প্রয়োজন এখনও উপলদ্ধি করেন তাপস। মাকে পাবেননা আর কোনদিন। কিন্তু মা বাবার আদর্শ নিয়েই বাংলাদেশের মানুষের মাঝে তা ছড়িয়ে দিতে চান তাপস।