সন্তান ধারনে এইডস আক্রান্ত নারীর ঝুঁকি বেশি
নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪প্রকাশিত : ১২:২০ পিএম, ২৫ জানুয়ারি ২০২২ মঙ্গলবার
ফাইল ছবি
তেত্রিশ বছর বয়সী আয়েশা (ছদ্মনাম) দু’ সন্তান নিয়ে সুখেই ছিলেন। স্বামী থাকেন মধ্য প্রাচ্যের একটি দেশে। প্রায় প্রতি বছরই ১৫ দিন থেকে এক মাসের জন্য বাড়ি আসেন। শেষ এসেছিলেন পাঁচ মাস আগে। বিশ দিন পরিবারের সঙ্গে থেকে আবার চলে যান নিজের কর্মস্থলে। স্বামী যাওয়ার কিছুদিন পরই আয়েশা বুঝতে পারেন তৃতীয়বারের মত মা হতে যাচ্ছেন তিনি। খবরটা শুনে ভালোই ছিলেন। কিন্তু তার কয়েকদিন পর থেকে তার শরীরটা খারাপ করতে থাকে। প্রায়ই রাতে হালকা জ্বর আসে।
শুরুতে খুব বেশি পাত্তা না দিলেও শরীর বেশি খারাপ হয়ে গেলে দেখা করেন তাদের পারিবারিক গাইনোলজিষ্টের সঙ্গে। তিনি বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে দেন। সেসব পরীক্ষার রিপোর্ট দেখে ডাক্তার জানান যে, আয়েশা এইচআইভি এইডসে আক্রান্ত। ডাক্তারের কথা শুনে মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে তার।
ডাক্তার তাকে আশ্বাস দেন এইচআইভি পজিটিভ নারী সন্তান নিতে পারবেন না, এমন কোন কথা নেই। তবে এক্ষেত্রে বেশ ঝুঁকি রয়েছে।
গাইনোকলজিষ্ট ডা. মনোয়ারা হক বলেন, “একজন এইচআইভি পজিটিভ নারীও সন্তান নিতে পারবেন। তবে ঝুঁকি রয়েছে।”
তিনি বলেন, “এক্ষেত্রে বেশ কিছু উপায়ে মা থেকে শিশু আক্রান্ত হতে পারে। যেমন গর্ভাবস্থায় শিশু আক্রান্ত পারে। এছাড়া প্রসব এবং বুকের দুধ খাওয়ানোর সময়ও শিশু আক্রান্ত হতে পারে। গর্ভাবস্থায় এইচআইভি প্লাসেন্টার মাধ্যমে ভ্রুণে যেতে পারে এবং ভ্রুণকে সংক্রমিত করতে পারে।”
তিনি বলেন, “প্রসবের সময় শিশু মায়ের রক্ত ও অন্যান্য তরলের মাধ্যমেও ভাইরাসের সংস্পর্শে আসতে পারে। এছাড়াও শিশু বুকের দুধ পান করার সময়ও আক্রান্ত হতে পারে।”
এজন্য বর্তমানে প্রত্যেক নারীকে সন্তান ধারনের সময় অবশ্যই এইচআইভি টেষ্ট করানোর পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারেরা।
তিনি বলেন, “এইচআইভি আক্রান্ত নারীদের সন্তান ধারনের সময় এবং এরপর থেকে অবশ্যই বেশি রকমের সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। আগে থেকে সতর্ক থাকলে ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়।”
ডা. হক বলেন, “এ সময় শিশুর সুরক্ষার জন্য অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল চিকিৎসা গ্রহণ করা প্রয়োজন। এ চিকিৎসা নিলে শিশুর সংক্রমনের ঝুঁকি এক শতাংশের নিচে নেমে আসে।”
এছাড়াও যেসব নারী আগে থেকে এ ভাইরাসে আক্রান্ত এবং সন্তান ধারনের পরিকল্পনা করছেন তাদের অবশ্যই অগ্রীম ডাক্তারের সাথে অলোচনা করার পরামর্শ দেন তিনি।
তিনি বলেন, “বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শে চললে এবং সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করলে এইচআইভি আক্রান্ত নারীও সুস্থ থাকেন এবং শরীরে ভাইরাসের পরিমান কমে আসে। এছাড়াও এইচআইভিতে আক্রান্ত নারী যদি তার সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ান তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।”
সূত্র: বাসস
- বিশ্বে প্রতিদিন খাবার নষ্ট হয় ১০০ কোটি জনের
- টাইটানিকের সেই দরজা নিলামে, ৮ কোটিতে বিক্রি
- ইফতারে রাখতে পারেন চিয়া দিয়ে তৈরি ৩ খাবার
- আজও ঢাকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর
- শহরের চেয়ে গ্রামে বিয়ে-তালাক বেশি
- বাসায় পর্যবেক্ষণে থাকবেন খালেদা জিয়া
- ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার ফল যেভাবে জানবেন
- চাকরির সুযোগ দেবে ইবনে সিনা
- ট্রেনে ঈদযাত্রা: ৭ এপ্রিলের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু
- গাজায় নিহত বেড়ে ৩২ হাজার ৪৯০
- অ্যানেস্থেসিয়ার ওষুধ বদলানোর নির্দেশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের
- ওয়াশিং মেশিনে মিলল কোটি কোটি টাকা!
- ঘরের মাটিতে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
- রোজা রেখে মুখে দুর্গন্ধ? দূর করতে করণীয়
- ব্যাটিং ভরাডুবি বাংলাদেশের, সহজ লক্ষ্য অস্ট্রেলিয়ার
- ‘অণুছড়া’ এবং ‘আমার ছড়া কথা বলে’ চলে এসেছে
- বইমেলায় আইরীন নিয়াজী মান্নার ৭টি বই
- বইমেলায় কানিজ কাদীরের কবিতার বই ‘মন’
- আজ জমবে বইমেলা
- টুথপেস্ট ও হ্যান্ডওয়াশে ক্যান্সারের ঝুঁকি!
- আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা পদ্ধতি যেভাবে কাজ করে
- সংরক্ষিত নারী আসনে আ. লীগের ৪৮ প্রার্থীর নাম ঘোষণা
- সেলাই প্রশিক্ষণে ভাগ্য বদল কুষ্টিয়ার নারীদের
- জিমন্যাস্টিক্স বিশ্বকাপ: ব্রোঞ্জ জিতলেন প্রণতি
- ২৬৩ সাংবাদিকের জন্য ২ কোটি টাকা অনুমোদন
- এসএসসি পরীক্ষা: এক মাস সব কোচিং সেন্টার বন্ধ
- জাপার সভায় গান গাইলেন রওশন এরশাদ
- যুদ্ধশিশু ও এতিম দেখিয়ে শিশু পাচার: পুরনো ঘটনার তদন্ত দেশে
- মাছ চাষে স্বাবলম্বী দিনাজপুরের গৃহবধূ সাদেকা বানু
- জেনে নিন চিয়া সিডস খাওয়ার সঠিক নিয়ম