ঢাকা, শনিবার ২০, এপ্রিল ২০২৪ ১৬:৪২:২৮ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
হাসপাতালের কার্ডিয়াক আইসিইউ পুড়ে ছাই, রক্ষা পেল ৭ শিশু সবজির বাজার চড়া, কমেনি মুরগির দাম সারা দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি কৃষক লীগ নেতাদের গণভবনের শাক-সবজি উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি শিশু হাসপাতালের আগুন সম্পূর্ণ নিভেছে

সন্ধ্যা রায় অসুস্থ, হাসপাতালে চলছে চিকিৎসা

বিনোদন ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৫:০৪ পিএম, ৭ মে ২০২১ শুক্রবার

সন্ধ্যা রায় অসুস্থ, হাসপাতালে চলছে চিকিৎসা

সন্ধ্যা রায় অসুস্থ, হাসপাতালে চলছে চিকিৎসা

কলকাতার বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায় অসুস্থ। একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এই প্রবীণ অভিনেত্রীকে। তার গায়ে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট রয়েছে। তবে হাসপাতাল সূত্র বলছে, এখন তার অবস্থা স্থিতিশীল।

করোনার উপসর্গ থাকায় অভিনেত্রীকে রাখা হয়েছে আইসোলেশন ওয়ার্ডে। তার নমুনা ইতিমধ্যেই পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। উপসর্গ মেনেই শুরু হয়েছে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা।

সাদা কালো থেকে রঙিন, বাংলা সিনেমায় দীর্ঘ ২৫ ধরে দাপটের সঙ্গে অভিনয় করেছেন সন্ধ্যা রায়। মাত্র ১৬ বছর বয়সে রুপোলি জগতে পা রাখেন তিনি। তার প্রথম ছবি ‘মামলার ফল' (১৯৫৭)। অসামান্য অভিনয় কৌশলের তিনি অনায়াসে যে কোনও চরিত্র হয়ে উঠতে পারতেন সার্থকভাবে। তার অন্যতম জনপ্রিয় ছবিগুলির মধ্যে রয়েছে সত্যজিত রায়ের ‘অশনি সংকেত’ এবং তরুণ মজুমদারের ‘ঠগিনি’।

অন্যদিকে পুরোদস্তুর বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন সন্ধ্যা রায়,  যেমন ‘বাবা তারকনাথ’ কিংবা 'দাদার কীর্তি' , 'ছোট বউ'। 'মায়া মৃগয়া', 'কঠিন মায়া', 'বন্ধন', 'পলাতক', 'তিন অধ্যায়', 'আলোর পিপাসা', 'ফুলেশ্বরী', 'সংসার সীমান্তে', 'নিমন্ত্রণ', দীর্ঘ ফিল্মি জীবনে বাঙালিকে অজস্র ছবি উপহার দিয়েছেন সন্ধ্যা রায়।

অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনীতির ময়দানেও সমান সফল তিনি, ২০১৪ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিতে মেদিনীপুর কেন্দ্র থেকে নির্বাচন লড়ে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৯-এর নির্বাচনে বয়সজনিত কারণে নিজেই সরে দাঁড়ান এই বর্ষীয়ান অভিনেত্রী।

সন্ধ্যা রায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নবদ্বীপে জন্মগ্রহণ করেন। জন্মের কিছুদিন পর তিনি তার পরিবারের সাথে বাংলাদেশে চলে আসেন। সন্ধ্যা রায়ের পৈতৃক নিবাস বাংলাদেশের যশোরের বেজপাড়াতে। তার দাদা বাংলাদেশের একজন জমিদার ছিলেন। তিনি ৭ বছর বয়সে তার বাবাকে এবং ৯ বছর বয়সে মাকে হারান। তার একজন ভাই রয়েছে। তার মা-বাবা মৃত্যুর পর তিনি তার মামার কাছে চলে যান এবং স্কুলে ভর্তি হন। ১৯৫৭ সালে তিনি আবার ভারতে ফিরেন।