ঢাকা, শুক্রবার ২৯, মার্চ ২০২৪ ২১:৪৯:৪৯ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
টাঙ্গাইলে শাড়ি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তাঁতীরা রমজানের অর্ধেকেও কমেনি মাছ ও মাংসের দাম সেতু থেকে খাদে পড়ে বাসে আগুন, নিহত ৪৫ রমজানের অর্ধেকেও কমেনি মাছ ও মাংসের দাম ঈদযাত্রা: ৮ এপ্রিলের ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে আজ বিশ্বে প্রতিদিন খাবার নষ্ট হয় ১০০ কোটি জনের বাসায় পর্যবেক্ষণে থাকবেন খালেদা জিয়া

সাংবাদিক নির্যাতন: ফের তদন্ত হবে ডিসি সুলতানার বিরুদ্ধে

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:০৩ পিএম, ৬ জুলাই ২০২০ সোমবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বাংলা ট্রিবিউনের কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি আরিফুল ইসলামকে মধ্যরাতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে নির্যাতন ও ভ্রাম্যমাণ আদালতে শাস্তির ঘটনায় কুড়িগ্রামের সাবেক জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন দায়ী কিনা তা নিশ্চিত হতে আরেক দফা তদন্ত করবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

রবিবার (০৫ জুলাই) রাতে এই তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন। তিনি বলেন, বিভাগীয় মামলা চলছে, বিষয়টি এখনও তদন্ত পর্যায়ে।

এদিকে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিন্টু বিকাশ চাকমা বিভাগীয় মামলার সাক্ষ্যে জানিয়েছেন, তিনি সাজার আদেশে স্বাক্ষর করতে বাধ্য হয়েছিলেন। ঘটনার ১৮ ঘণ্টা পর তিনি সাজার পরোয়ানায় স্বাক্ষর করেন বলে দাবি করেছেন।

সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় এর আগে রংপুরের বিভাগীয় কমিশনারের তদন্ত প্রতিবেদনে কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীনসহ সংশ্লিষ্টদের সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত করা হয়।

তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন, আরডিসি নাজিম উদ্দিন ও সহকারী কমিশনার রিন্টু বিকাশ চাকমা ও এসএম রাহাতুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ঘটনার পর কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসন থেকে প্রত্যাহার সংশ্লিষ্টদের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ১৪ মার্চ কুড়িগ্রামে মধ্যরাতে সাংবাদিক আরিফুল ইসলামের বাড়িতে ঢুকে তাকে ধরে নিয়ে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত এক বছরের কারাদণ্ড দেয়। আরিফের বাড়িতে আধা বোতল মদ ও গাঁজা পাওয়ার অভিযোগ এনে তাকে অমানসিক নির্যাতন চালানো হয়।

সাংবাদিক আরিফকে শাস্তি দেয়া ভ্রাম্যমাণ আদালতের আদেশে স্বাক্ষরকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিন্টু বিকাশ চাকমা ১৮ জুন বিভাগীয় মামলার জবাবে জানান, তিনি সাজার আদেশে (পরোয়ানায়) স্বাক্ষর করতে বাধ্য হয়েছিলেন।

গত ১৮ জুন নির্বাহী বিভাগীয় মামলায় অভিযোগের জবাবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিন্টু বিকাশ চাকমা আরও জানান, জেলা প্রশাসকের নির্দেশনার কথা বলে তাকে স্বাক্ষর করতে চাপ দেন আরডিসি নাজিম উদ্দিন। দীর্ঘ প্রায় ১৮ ঘণ্টা পর প্রসিকিউশন পক্ষকে ডিসি অফিসে ডেকে এনে নথিতে স্বাক্ষর করানো হয় বলে জানান রিন্টু বিকাশ চাকমা।

রিন্টু বিকাশ চাকমার দাবি, নাজিম উদ্দিন পেশকার সাইফুল ইসলামকে ডিসি অফিসে জব্দ তালিকা তৈরির নির্দেশ দিলে পরে আধা লিটার মদ ও দেড়শ গ্রাম গাঁজা উদ্ধারের বিষয়টি তিনি জেনেছেন।

-জেডসি