ঢাকা, শুক্রবার ১৯, এপ্রিল ২০২৪ ২২:৩৪:১২ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
হাসপাতালের কার্ডিয়াক আইসিইউ পুড়ে ছাই, রক্ষা পেল ৭ শিশু সবজির বাজার চড়া, কমেনি মুরগির দাম সারা দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি কৃষক লীগ নেতাদের গণভবনের শাক-সবজি উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি শিশু হাসপাতালের আগুন সম্পূর্ণ নিভেছে

সাতক্ষীরার আম এবারও যাচ্ছে ইউরোপ-আমেরিকা

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৯:৪৪ এএম, ১৯ মে ২০১৯ রবিবার

দেশের বাজারে আগেই থেকেই রয়েছে সাতক্ষীরার আমের সুনাম। এখন সেই সুনাম ও চাহিদা দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে ছড়িয়ে পড়েছে ইউরোপ-আমেরিকায়।

এবছর এই জেলা থেকে হিমসাগর, ল্যাংড়া ও আম্রপালি আম ইউরোপে রপ্তানির জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে দুইশ’ টন। এ কারণে জেলার ১৪ হাজার ৪৫১টি হিমসাগর, ল্যাংড়া ও আম্রপালি গাছ বিশেষভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে।

তবে এ আম পেতে এখনো ১৫ দিন সময় লাগবে।গত কয়েক বছরের মত এবারও সাতক্ষীরার হিমসাগর আম ইউরোপ ও আমেরিকার বাজারে রপ্তানি হবে।

তীব্র গরমে এ বছর জেলায় আম আগে থেকেই পরিপক্ব হয়েছে। চলতি মাসের শুরুতেই ব্যবসায়ীরা স্থানীয় জাতের আম ভাঙতে শুরু করেছেন।

১২ মে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্তেরপর গোবিন্দভোগ ও গোপালভোগ আম ব্যাপকভাবে বাজারজাত শুরু হয়। জেলা শহরের বড়বাজার, তালা, পাটকেলঘাটা, নলতা, পারুলিয়া, কালিগঞ্জ ও কলারোয়াসহ গ্রামাঞ্চলের হাটবাজারগুলো আমে ভরে গেছে।

পৌর শহরের বড় বাজারের আম ব্যবসায়ী ইসহাক বলেন, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পাইকারি ব্যবসায়ীরা জেলার বিভিন্ন হাটবাজারে অবস্থান করছেন। এখান থেকে প্রতিদিন প্রায় পাঁচশতাধিক টন আম দেশের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘দুইসপ্তাহ পর হিমসাগর, ল্যাংড়া ও আম্রপালি ভাঙা শুরু হলে আমের বাজার এখনকার থেকে দ্বিগুণ হবে।’
তিনি জানান, বর্তমানে দেশি আম প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া হিমসাগর প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। তবে হিমসাগর এখনো ভাঙা শুরু হয়নি। যাদের কিছু আম পেকেছে শুধু তারাই বাজারজাত করছেন।
তালা উপজেলা সদরের শিবপুর গ্রামের রাবেয়া বসরী বৈশাখী বলেন, ফলন ভালো হলেও তীব্র গরমের কারণে অন্যবছরের তুলনায় এবার আম আগেই পেকেছে। গত বছর থেকে এ বছর আমের ফলনও বেশি হয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক অরবিন্দ বিশ্বাস বলেন, ‘জেলায় এবার আমের ফলন ভালো হয়েছে। ইতিমধ্যে আম বাজারজাত শুরু হয়েছে। এবার এখান থেকে হিমসাগর, ল্যাংড়া ও আম্রপালি আম ইউরোপে রপ্তানির জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২শ টন। এ কারণে জেলার ১৪ হাজার ৪৫১টি হিমসাগর, ল্যাংড়া ও আম্রপালি গাছ বিশেষভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে।’

তিনি জানান, এছাড়া অপরিপক্ব আম ভাঙা থেকে বিরত থাকতে ব্যবসায়ীদের বিশেষভাবে বলা হয়েছে। তাছাড়া আমে কোনো প্রকার কেমিক্যাল না মিশানোর ব্যাপারেও সতর্ক করা হয়েছে।

-অস