ঢাকা, শুক্রবার ১৯, এপ্রিল ২০২৪ ১০:৩৯:০১ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
তীব্র তাপপ্রবাহ, সতর্ক থাকতে মাইকিং ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপ আজ শুরু জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই দেশ আরও উন্নত হতো টাইমের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা নান্দাইলে নারী শ্রমিককে কুপিয়ে হত্যা তীব্র গরমে জনজীবনে দুর্ভোগ, বাড়ছে জ্বর-ডায়রিয়া

সাহেদের প্রতারণার শিকারদের সহায়তা দিচ্ছে র‍্যাব: ডিজি (র‍্যাব)

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৭:১৪ পিএম, ১৫ জুলাই ২০২০ বুধবার

সাহেদের প্রতারণার শিকারদের সহায়তা দিচ্ছে র‍্যাব: ডিজি (র‍্যাব)

সাহেদের প্রতারণার শিকারদের সহায়তা দিচ্ছে র‍্যাব: ডিজি (র‍্যাব)

রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো: সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম দ্বারা যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সেসব ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষদের সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাবে) মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আজকেই সাহেদ করিমকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হবে। মামলার যিনি তদন্ত কর্মকর্তা আমরা  তার কাছে সাহেদকে হ্যান্ডওভার করব।

আজ বুধবার দুপুের রাজধানীর উত্তরায় র‌্যাবের হেডকোয়ার্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

র‌্যাবের প্রেসব্রিফিংয়ে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) এর গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান লে. কর্ণেল সারোয়ার বিন কাশেম, র‌্যাবের এডিজি (অপারেশন) কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, র‌্যাবের আইনও গণমাধ্যম শাখার মূখপাত্র (পরিচালক) লে. কর্ণেল আশিক বিল্লাহ, র‌্যাব-১ এর কমান্ডিং অফিসার লে. কর্ণেল সাফী উল্লাহ বুলবুল, র‌্যাবের মিডিয়া শাখার সহকারী পরিচালক (এএসপি) সুজয় সরকার, এএসপি  মোস্তাফিজুর রহমানসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

প্রেস ব্রিফিংয়ের পর বিকেলে গ্রেফতারকৃত সাহেদকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কার্যালয়ে হস্তান্তর করা হয়।

এলিট ফোর্স র‌্যাব ডিজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ভুক্তভোগী যারা আমাদের কাছে আসছেন তাদের আমরা আইনানুগ পরামর্শ দিচ্ছি। সহায়তা করছি, কীভাবে তিনি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য থানায় যাবেন বা আমাদের কাছে আসবেন তা জানিয়ে দিচ্ছি।

র‌্যাব ডিজি আরও বলেন, সাহেদ পালিয়ে থাকার সময় আমরা তাকে ফলো করেছি। আমরা যখনই জানতে পেরেছি এবং তাকে পিনপয়েন্ট করতে পেরেছি তখনই তাকে আমরা অ্যারেস্ট করেছি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত আছে। যেখান থেকে আমরা তথ্য পাচ্ছি যাচাই-বাছাই করে আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি। যেখানেই আমরা সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্য পাচ্ছি সেখানেই আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।

র‌্যাবের মহাপরিচালক বলেন, গত ১২ জুলাই আমরা এস এস এ হসপিটালে অভিযান পরিচালনা করেছি। এই হাসপাতালের মালিকের বিরুদ্ধে এবং যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে তৎপর আছি।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে। এটা মন্ত্রণালয়ের আভ্যন্তরীণ বিষয় হিসেবে আমরা দেখছি। তাদের যেটা দরকার, তাদের যে ট্রার্মস অফ রেফারেন্স আছে সে অনুযায়ী তারা দায়িত্ব পালন করছেন।

র‌্যাবের ডিজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আপনারা দেখেছেন, সাতক্ষীরা থেকে সাহেদকে গ্রেফতারের পর আমরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তারপর ঢাকায় এসেছি। ঢাকার উত্তরায় তাকে নিয়ে আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি। সেখান থেকে আমরা ১ লাখ ৪৬ হাজার জাল টাকা উদ্ধার করেছি।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মামলার তদন্ত নিয়ে যদি আমরা বিব্রতবোধ করতাম, তাহলে তো তাকে অ্যারেস্ট করে আনতাম না। বিব্রতবোধ করার কোনো প্রশ্নই আসে না। আমাদের কাছে মামলার তদন্ত গ্রহণের জন্য যে প্রক্রিয়া আছে এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আমরা কার্যক্রম গ্রহণ করছি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে র‌্যাব প্রধান বলেন, ধৃত সাহেদ ঢাকা থেকে অন্যত্র গিয়েছেন, আবার ঢাকাতেই এসেছেন। এক্ষত্রে কখনও তিনি নিজের ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করেছেন, কখনও পায়ে হেঁটে, আবার কখনও ট্রাকে কিংবা বহিরাগত গাড়িতে চলাফেরা করেছেন।

সাহেদকে একজন প্রতারক উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রের স্বনামধন্য ব্যক্তি ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সাথে তার ছবি উঠিয়ে সে মানুষের সাথে বিভিন্ন কৌশলে প্রতারণা করে আসছিল। সাহেদ করিম নিজেকে যতই ক্লিন ইমেজের ব্যক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চেষ্টা করুক না কেন, সে মূলত চতুর ধুরন্ধর, অর্থলিপ্সু। তার বিরুদ্ধে ৫০টিও বেশি মামলা রয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে র‌্যাব প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে অনেক কথা বলেছে। সেসব কথাগুলো এখন তদন্তের স্বার্থে  বলতে চাচ্ছি না। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজকেই তাকে হ্যান্ডওভার করা হবে।  

তিনি আরও বলেন, সরকারের নির্দেশে ও চুক্তিমতে বিনামূল্যে করোনাভাইরাসের রোগীদের পরীক্ষা করার কথা থাকলেও সাহেদ করোনা টেস্টের নামে সাড়ে ৩ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়েছে। কোন কোন ক্ষেত্রে আরও বেশি টাকা কৌশলে হাতিয়ে নিয়েছে সে। এখন পর্যন্ত ১০ হাজারের বেশি পরীক্ষা করে ৬ হাজার ভুয়া রিপোর্ট দিয়েছে সাহেদের প্রতিষ্ঠান। একদিকে রোগীর কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে, আরেক দিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিলও জমা দিয়েছে সাহেদের হাসপাতাল রিজেন্ট।

র‌্যাবের অভিযান ও মামলা প্রসঙ্গ তুলে ধরে র‌্যাব ডিজি সাংবাদিকদের বলেন, প্যাথলজিক্যাল লাইন্সেস নিয়ে ভুয়া সনদপত্র দেখিয়ে সে করোনাভাইরাসের রোগীর পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করছিল। ১৭ জনের নামে উত্তরা পশ্চিম থানায় র‌্যাব বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় প্রথমে ৮ জনকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে ঢাকাও গাজীপুর থেকে মামলার দুই নম্বর আসামী রিজেন্ট হাসপাতালের (এমডি) মাসুদ পাভেজ ও শিবলী নোমানকে আটক করা হয়।