ঢাকা, শুক্রবার ১৯, এপ্রিল ২০২৪ ১৯:২০:২৬ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
সবজির বাজার চড়া, কমেনি মুরগির দাম সারা দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি কৃষক লীগ নেতাদের গণভবনের শাক-সবজি উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি শিশু হাসপাতালের আগুন সম্পূর্ণ নিভেছে শিব নারায়ণ দাশের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক পরলোকে জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ন

সড়কে গাড়ির চাপ, স্বাস্থ্যবিধি নেই আবাসিক এলাকায়

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৩:১৫ পিএম, ১৮ এপ্রিল ২০২১ রবিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

করোনার প্রকোপ আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ার কারণে সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক লকডাউনের পঞ্চম দিন চলছে। সংক্রমণ এড়াতে জরুরি প্রয়োজন ও জরুরি সেবা ছাড়া সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে রাজধানীর সড়কগুলো দেখলে মনে হবে গণপরিবহনের বদলে ব্যক্তিগত পরিবহন প্রথা চালু করা হয়েছে। কারণ রাজধানীর প্রতিটি সড়কে ব্যক্তিগত গাড়ির দীর্ঘ লাইন।

পুলিশ বলছে, এগুলোর বেশির ভাগই মুভমেন্ট পাস নিয়ে চলাচল করছে। আর কিছু যানবাহন হাসপাতাল, বাজারসহ বিভিন্ন ধরনের জরুরি প্রয়োজনের দোহাই দিচ্ছে। তবে চেকপোস্টে জিজ্ঞাসাবাদ করে যেসব যানবাহন ও ব্যক্তিকে অপ্রয়োজনে বেরিয়েছে বলে মনে হচ্ছে তাদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে। এ দিকে রিকশা ও মোটরসাইকেলসহ কিছু যানবাহনকে চেকপোস্ট এড়িয়ে চলাচল করতেও দেখা গেছে। রাজধানীর মিরপুর, ফার্মগেট, তেজগাঁও, বিজয় সরণি, কাকরাইল, পল্টন, মতিঝিল এলাকায় ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

রোববার সকালে রাস্তায় যানবাহন কম দেখা গেলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে যানবাহনের সংখ্যা বাড়তে থাকে। যেখানে নামী-দামি ব্র্যান্ডের কার, জিপ, মাইক্রোবাস, পিকআপ ভ্যান, ছোট বড় ট্রাক, সিএনজি অটোরিকশা, মোটরসাইকেল ভ্যান ও প্রচুর পরিমাণ রিকশা দেখা যায়। দুপুরে মোটরসাইকেল নিয়ে বিজয় সরণি এলাকায় ট্রাফিক জ্যামে আটকা পড়েন আদনান আমির। তিনি বলেন, জরুরি প্রয়োজনে মুভমেন্ট পাস নিয়ে বাসা থেকে বের হয়েছিলাম। ভেবেছিলাম রাস্তায় যানবাহন কম থাকবে। কিন্তু বাইরে এসে দেখি আমার মতোই প্রচুর লোক রাস্তায় নেমেছে। গাড়ির সংখ্যাও অনেক। তবে যাত্রীবাহী বাস চোখে পড়েনি। তিনি আরো বলেন, বিজয় সরণি এলাকায় এসে ট্রাফিক জ্যামে আটকে থাকতে হয়েছে তাকে। প্রায় ৫ মিনিট অপেক্ষার পর তিনি কাওরান বাজারের দিকে যাত্রা করেন।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, তেজগাঁও সাতরাস্তায় পুলিশের পর পর দুটি পোস্ট। নতুন তৈরী করা ইউটার্ন এলাকায় কয়েকটি রিকশা আটক করে রাখা হয়েছে। মামলা করা হয়েছে কয়েকটি মোটরসাইকেলকে। একই অবস্থা সাতরাস্তা মোড়ের চেকপোস্টেও। তবে এর কোনো চেক পোস্টেই প্রাইভেট কার, জিপ বা অন্য যানবাহন থামাতে দেখা যায়নি। প্রতিটি যানবাহনই বিনা বাধায় চেক পোস্ট পার হয়ে চলে যাচ্ছে। চেক পোস্টের একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, রাজধানীতে চলাচলরত যানবাহনগুলোর বেশির ভাগই মুভমেন্ট পাস নিয়ে চলাচল করছে। তারপরও তাদের যে চেক করা হচ্ছে না সেটি ঠিক নয়। আসলে গত দু’দিনে এসব যানবাহন থামানোর পর বেশির ভাগই দেখা গেছে মুভমেন্ট পাস নিয়ে চলাচল করছে।

এদিকে মিরপুর-১০ নম্বরে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালক করিম আহমেদ বলেন, পেট চালানোর জন্য ঝুঁকি নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন। যাত্রী নিয়ে চালানোর সময় চেক পোস্ট পাশ কাটিয়ে যাওয়ার চেষ্টাই করে থাকেন। তবে মাঝে মধ্যে ধরা পড়লে মামলা খেতে হয়।

এদিকে প্রধান সড়কের মতো একই চিত্র আবাসিক এলাকাগুলোর অলিতে-গলিতে। যে যার মতো ঘুরে বেড়াচ্ছে। চায়ের দোকান, হোটেল খোলা। অনেকেই আড্ডা দিচ্ছেন। আবার অনেকে মাস্ক ছাড়া দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন। গলির দুই পাশে সবজি, ফলসহ ভাসমান বিক্রেতারা সারাদিন বসে থাকেন পসরা সাজিয়ে। ফলে সেখানেও ভিড়। এসব দোকানেও উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি। একই চিত্র দেখা মিলেছে আবাসিক এলাকাগুলোর বাজারে।

আবাসিক এলাকাগুলোর মূল সড়কে পুলিশের তৎপরতা দেখা গেলেও অলি-গলিতে দেখা যায়নি। প্রধান সড়কগুলোতে পুলিশের গাড়ি আসলে সবাই হুড়োহুড়ি করে সটকে পড়ে। দোকানগুলো সাটার লাগিয়ে দেয়া হচ্ছে। পুলিশ চলে যাওয়ার পর ফের আগের দৃশ্য।

-জেডসি