ঢাকা, বুধবার ২৪, এপ্রিল ২০২৪ ৯:২৩:২৮ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
‘পদ্মশ্রী’ গ্রহণ করলেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা কাতার-বাংলাদেশ ১০ চুক্তি-সমঝোতা সই কয়েক ঘণ্টায় ৮০ বারেরও বেশি কেঁপে উঠল তাইওয়ান ঢাকা থেকে প্রধান ১৫টি রুটে ট্রেনের ভাড়া যত বাড়ল মাকে অভিভাবকের স্বীকৃতি দিয়ে নীতিমালা করতে হাইকোর্টের রুল আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা নতুন করে ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি

হাতে প্রচুর টাকা, তবু খেটে খেতে হয় তরুণীকে

ফিচার ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৮:৪৩ পিএম, ২৭ অক্টোবর ২০১৯ রবিবার

লটারি পেয়ে গিয়েছিলেন। ভাগ্যের চাকা যে আচমকাই এই গতিতে ঘুরতে শুরু করবে, স্বপ্নেও ভাবেননি তিনি। না চাইতেই প্রায় ১২৩ কোটি টাকা! তাও আবার নিজের কাকার সম্পত্তি! লটারিই বটে। কিন্তু ধরুন, লটারির টিকিটটা নিয়ে লটারি অফিসে গিয়ে জানতে পারলেন, তার সময়সীমা পেরিয়ে গিয়েছে, তখন কেমন লাগবে?
ঠিক এমনটাই লেগেছিল ইতালির ক্লডিয়া মরেটির। ১২৩কোটি তার কাছে এখন কাগজের টুকরো ছাড়া আর কিছুই নয়।
এই টাকা ক্লডিয়া যদিও কোনও লটারির টিকিট কেটে পাননি। একেবারে পুরোটাই নগদ হাতে পেয়েছেন তিনি। কিন্তু সে লটারির টিকিটই হোক বা নগদ টাকা, মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে দুটোই কাগজের টুকরো হিসাবেই থেকে যায়।
নিশ্চয় বুঝতে পারছেন না কী হয়েছে? বিষয়টা খুলে বলা যাক। ক্লডিয়া মরেটি ইতালির আদ্রিয়াটিক উপকূলে পেসারোতে থাকেন। একটা কল সেন্টারে কাজ করেন তিনি। একেবারেই মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে। সংসার চলে কোনও মতেই।
২০১৪ সালে ক্লডিয়ার কাকার মৃত্যু হয়। কাকা একাই থাকতেন। কাকার নিজের কোনও পরিবার ছিল না।
কাকার বাড়ি গিয়েই লটারি পান ক্লডিয়া। কাকার আলমারি থেকে নগদ ১০ কোটি লিরা পান। টাকার মূল্যে হিসাব করলে যা দাঁড়ায় ১২২ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।
হাতে যেন চাঁদ পেয়ে যান ক্লডিয়া। কাকার সম্পত্তি তারই পাওয়ার কথা। এতগুলো টাকা পেয়ে ভবিষ্যৎ নিয়েও অনেক কিছু ভেবে ফেলেন ক্লডিয়া।
কিন্তু ইতালির মুদ্রা বর্তমানে ইউরো। ২০০২ সালের ১ জানুয়ারি থেকেই লিরার পরিবর্তে ইউরো প্রবর্তন করা হয়েছে দেশে। ফলে লিরাগুলোকে ইউরোতে বদলাতে হত ক্লডিয়াকে।
কাকার মৃত্যুর যাবতীয় কাজকর্ম সেরে ইতালির সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কে ১০ কোটি লিরা নিয়ে হাজির হন ক্লডিয়া।
কিন্তু ভাগ্য যে এই ভাবে তার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে, তা কি ক্লডিয়া কখনও ভেবেছিলেন! ব্যাঙ্কে গিয়ে জানতে পারেন, তার লিরার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে।
২০১১ সাল পর্যন্ত যাবতীয় লিরা ইউরোয় বদলে নেওয়ার জন্য সুযোগ দিয়েছিল প্রশাসন। সেই মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। ফলে লিরা আর ইউরোয় বদলানো সম্ভব নয়।
এর পর ব্যাঙ্কে ম্যানেজারের সঙ্গে অনেক আলোচনা করেছেন। কিন্তু কোনওভাবে নিজের কাজটা করিয়ে নিতে পারেননি। মেয়াদ উত্তীর্ণ লিরাগুলো অকেজোই রয়ে গিয়েছে।
ক্লডিয়ার হাতে এখন যে বিপুল অর্থ রয়েছে, সেগুলো নিতান্তই রঙিন কাগজের টুকরো ছাড়া আর কিছুই নয়।