ঢাকা, শনিবার ২০, এপ্রিল ২০২৪ ৮:০০:৫০ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
হাসপাতালের কার্ডিয়াক আইসিইউ পুড়ে ছাই, রক্ষা পেল ৭ শিশু সবজির বাজার চড়া, কমেনি মুরগির দাম সারা দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি কৃষক লীগ নেতাদের গণভবনের শাক-সবজি উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি শিশু হাসপাতালের আগুন সম্পূর্ণ নিভেছে

হেঁটে বাড়ি ফিরলেন ‘করোনায় মৃত’ ব্যক্তি!

অনলাইন ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৩৮ পিএম, ২৩ নভেম্বর ২০২০ সোমবার

ছবি: ইন্টারনেট

ছবি: ইন্টারনেট

ফোন কানে তুলেই হতবাক পরিবারের একজন! যার শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানের আয়োজন চলছে হঠাৎ ফোন এসেছে তার সুস্থ হওয়ার খবর। তাও হাসপাতাল থেকে! বারাসাতের জি এন আর সি হাসপাতালের করা ফোনের ওপাশ থেকে বলতে শোনা গেল, ‘আপনার রোগী সুস্থ হয়ে গেছে, অ্যাম্বুলেন্সে তাকে বাড়ি পাঠানো হচ্ছে।’ যখন শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে পরিবার ব্যস্ত তখনই তিনি হেঁটে ফিরলেন বাড়ি। ততক্ষণে বাড়ির ছাদে সাদা কাপড়ের প্যান্ডেলও প্রায় শেষ! যার মৃত্যুশোকে ছলছল পরিবারের সবার চোখ তিনিই হঠাৎ দাঁড়িয়ে আছেন সামনে! চিরতরে হারিয়ে যাওয়া মানুষকে ফিরে পাওয়ার আনন্দ প্রকাশ কীভাবে করতে হয় বুঝতে পারছিলেন না পরিবার।

সৎকার কাজটিও হচ্ছিল ওই হাসপাতালেরই তত্ত্বাবধানে। তাই ফের কাঁদল সবাই! তবে এবার স্বজনকে ফিরে পাওয়ার আনন্দে! হবিষ্যি খেয়ে নিয়মকানুনের মধ্যে দিয়ে মনকে বুঝিয়েছে বাবা আর নেই। মৃত ব্যক্তি আর ফিরে আসে না। তাকে আর ছুঁয়ে দেখা যায় না। কিন্তু এই কঠিন পরিস্থিতি নিমেষে মিথ্যে হয়ে যাওয়াতে ছলছলে চোখে, হাসি ফুটেছে ব্যানার্জি পরিবারের। ঘটনাটি ঘটেছে বিরাটিতে।

খড়দহ থেকে বারাসাতের এক সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে ১১ নভেম্বর ভর্তি করা হয় শিবদাস ব্যানার্জিকে। ১৩ নভেম্বর হাসপাতাল থেকে বলা হয় মৃত্যু হয়েছে শিবদাসের। কিন্তু করোনাবিধি মেনে দূর থেকে দেখানো হবে মৃতকে, হাসপাতালের তত্ত্বাবধানে দাহ করা হবে।

এই ঘটনার সমান্তরালে চলতে থাকে আরও একটি ঘটনা। মোহিনীমোহন মুখার্জি পরিবারকে ফোন করে ওই সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল জানায় তাদের রোগী ভালো হচ্ছে। রোজই ফোন করে খবর নেয় পরিবার। ফোনের ওপার থেকে প্রত্যেকবারই জানান হয়, রোগী একটু একটু করে ভালো হচ্ছে। পরিবার ভাবতে বসেছিল, করোনাকে প্রায় জয় করেই নিয়েছেন মোহিনীমোহন মুখার্জি। কিন্তু ঘটনা বাঁক খায় শুক্রবার। হঠাৎ হাসপাতাল থেকে মুখার্জি পরিবারে ফোন করে বলা হয় রোগী সুস্থ বাড়ি ফিরছে। অ্যাম্বুলেন্সে ওঠার পর রোগী অ্যাম্বুলেন্সের চালককে বলেন বিরাটি যাব, মুখার্জিজি পরিবার বলেন পলতা। এরপরই তারা দেখেন রোগী তাদের নয়। তখনই, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সত্য উদঘাটন হয়। ১৩ নভেম্বর যিনি মারা গেছিলেন তিনি হলেন মোহিনীমোহন মুখার্জি। অন্যদিকে, মুখার্জি পরিবারকে যে রোগীর সুস্থ হওয়ার খোঁজ দেওয়া হচ্ছিল তিনি ছিলেন করোনা জয়ী শিবদাসবাবু।

ঘটনার পর, করোনা মৃত্যুবিভ্রাট নিয়ে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট তলব স্বাস্থ্য ভবনের। ৩ জনের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই গাফিলতির জন্য দোষীদের চিহ্নিত করে কড়া শাস্তি দেওয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, দুই পরিবারকে গোটা ঘটনা প্রকাশ্যে না আনার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল বলে খবর।

-জেডসি